কলকাতা, 15 জুন : লকডাউনের পর ফের রাস্তায় নেমেছে বেসরকারি বাস ৷ যদিও এখন আগের মতো বাসের দেখা নেই ৷ তবে প্রায় সবকটি রুটেই বাস চললেও যাত্রীর সংখ্যা তুনলামূলকভাবে অনেক কম ৷ তাই বেসরকারি বাস ও মিনিবাস মালিক সংগনের তরফে বিদ্যাসাগর সেতুতে সাময়িকভাবে টোল আদায় বন্ধ রাখার আর্জি জানানো হয়েছিল ৷ সেই আবেদনের ভিত্তিতে দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজে বাস ও মিনিবাসের টোল আদায় সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য পরিবহন দপ্তর ৷
এমনিতেই লকডাউন পরিস্থিতিতে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ ছিল গণপরিবহন । বর্তমানে বেসরকারি বাস পরিষেবা চালু হলেও এখনও মিলছে না পর্যাপ্ত যাত্রী । তাই আয়ের সাথে ব্যায়ের সামঞ্জস্য রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বাস মালিকদের ।
অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সন্বদায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "বাস সংগঠনগুলির আবেদনের ভিত্তিতে রাজ্য পরিবহন দপ্তর বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজে টোল আদায় স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে । এর ফলে কিছুটা হলেও বেসরকারি বাস মালিকদের উপর চাপ কমল । লকডাউনের কারণে প্রায় আড়াই মাস বন্ধ বাস ব্যবসা । ব্যাপক আর্থিক মন্দার মুখে পড়েছে লাখ লাখ বাস চালক ও মালিক । লোকসানও হচ্ছে ব্যাপক । এই সিদ্ধান্তের ফলে বেসরকারি বাস মালিকরা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে থাকবেন ।"
হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বাবু ঘোষ বলেন যে, "আমরা পরিবহন দপ্তরের কাছে আবেদন করেছিলাম । সরকারের তরফে জানানো হয় যে যেসব টোল প্লাজ়াগুলি রাজ্য সরকারের আওতায় পড়ে সেগুলির ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে কর মকুব করার বিষয়টি ভেবে দেখা হবে । নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো পদক্ষেপ । এমনিতে যাত্রী নেই বললেই চলে তবুও মানুষের পাশে থাকসর জন্য আমরা লোকসান করেও গাড়ি চালাচ্ছি । তাই এবার কিছুটা হলেও সঞ্চয় করতো পারব ।"
প্রতিদিন প্রায় 430 থেকে 500 বেসরকারি বাস বিদ্যাসাগর সেতু দিয়ে যাতায়াত করে । এই ব্রিজে আসা ও যাওয়ার পথে বাসের ক্ষেত্রে 50 টাকা ও মিনি বাসের ক্ষেত্রে 25 টাকা টোল দিতে হয়ে । প্রসঙ্গত, একটি বাস যদি সারাদিনে 10 বার যাতায়াত করে তাহলে সেই বাসটিকে 500 টাকা টোল বাবদ দিতে হত । আপাতত তা বন্ধ হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে বাসমালিকরা৷