ETV Bharat / state

'রেয়ার অব দা রেয়ারেস্ট ', নেতাজি নগর খুনে ধর্ষণও; চার্জশিটে লিখল পুলিশ - Netaji Nagar rape case

নেতাজিনগরের বৃদ্ধ দম্পতি খুনের ঘটনায় 300 পাতার চার্জশিট জমা দিল কলকাতা পুলিশ ৷

ছবি
author img

By

Published : Oct 25, 2019, 10:55 PM IST

Updated : Oct 26, 2019, 12:59 AM IST

কলকাতা , 25 অক্টোবর : শুধু খুন নয় । নেতাজিনগরে বৃদ্ধার উপর চালানো হয়েছিল পাশবিক অত্যাচার । মারধরে বৃদ্ধা অজ্ঞান হয়ে গেলে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় । তারপর তাঁর গোপনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় রং করার রোলার । অন্য আর একটি রোলার ঢোকানো হয় তাঁর মুখে । কলকাতা পুলিশের তরফে আদালতে যে চার্জশিট জমা পড়েছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে এমনই । বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা । সেই সূত্রে পুলিশের তরফে লেখা হয়েছে, এই ঘটনা "রেয়ার অব দা রেয়ারেস্ট" ৷

আরও পড়ুন : নেতাজিনগরে বাড়ি থেকে উদ্ধার বৃদ্ধ দম্পতির মৃতদেহ

90 দিনের আগেই নেতাজিনগর জোড়া খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় ৩০০ পাতার চার্জশিট জমা দিল কলকাতা পুলিশ । গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখা সূত্রে খবর, এই ঘটনায় সাক্ষীর সংখ্যা 50-এরও বেশি ।

আরও পড়ুন : বিড়ির প্যাকেট কার ? নেতাজিনগরে দম্পতি খুনে খতিয়ে দেখছে পুলিশ

29 জুলাই । রাত 10 টা থেকে 11 টার মধ্যে খুন হন বৃদ্ধ দম্পতি । বেশ কয়েকটি তত্ত্ব উঠে এলেও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা দেখে পুলিশ প্রথম থেকেই সন্দেহ করছিল টাকা-পয়সা লুটের জন্যই এই খুন । ETV ভারতের খবরে প্রথম প্রকাশ করা হয়েছিল সেই সন্দেহের কথা । যদিও কোনও কোনও মহল থেকে সন্দেহ করা হয়, প্রোমোটিংয়ের জন্য বাড়ি না দেওয়ায় খুন হন বৃদ্ধা দম্পতি । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছিলেন, "কারও সম্পত্তি জোর করে দখল করে নেওয়া যাবে না । যদি কেউ মনে করে থাকে একাকী বৃদ্ধ দম্পতিকে খুন করে তাঁদের সম্পত্তি দখল করে রেহাই পেয়ে যাবে, তাহলে তারা ভুল করছে । " যদিও দুঁদে গোয়েন্দাদের বক্তব্য, এই খুনের উদ্দেশ্য টাকা-পয়সা হাতানো ।

নেতাজিনগরের অশোকা অ্যাভিনিউয়ের ওই দম্পতির দোতলা বাড়িতে পৌঁছে, সিঁড়ির মাঝের দরজার সামনে তাঁর স্ত্রী স্বপ্নার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷ তখন তাঁর নাকে রক্তের দাগ ছিল । হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দাদের ধারণা ছিল পিছন থেকে তাঁর গলায় চাপ দেওয়া হয়েছে । সম্ভবত সেটাই মৃত্যুর কারণ । চাপের কারণেই তাঁর নাক দিয়ে রক্ত বেরিয়ে এসেছে । অন্যদিকে দোতলার শোয়ার ঘর থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধের দেহ । তাঁর মুখে গোঁজা ছিল একটি তোয়ালে ও বালিশ । ঘরে থাকা 10টি আলমারির মধ্যে 9 টিই ছিল খোলা । খোয়া যায় বেশ কিছু গয়না, প্রায় এক লাখ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন ।

আরও পড়ুন :নেতাজিনগর জোড়া খুনে একাধিক দুষ্কৃতীর হাত, আটক 10

অপরাধ বিজ্ঞান বলছে, প্রমোটিং কিংবা অন্য কোনও কারণে খুন হলে এভাবে আলমারি খুলে জিনিসপত্র লুটপাট করা হত না । যদিও সেই সন্দেহ খুব একটা উড়িয়ে দেয়নি পুলিশ । তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার ক্ষেত্রেও এই কাজ করা হয়ে থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছিল ৷ পুলিশ জানতে পারে ঘটনার দিন পাঁচেক আগে পর্যন্ত দম্পতির বাড়িতে রঙের এবং ছাদ সারাইয়ের কাজ হয় । এই কাজ করা হয়েছিল এক ঠিকাদারের মাধ্যমে । ওই ঠিকাদার বৃদ্ধের পূর্ব পরিচিত । আসলে ওই বৃদ্ধ একটা সময় রুফ রিপেয়ারিং ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । সেই সূত্রে এই ধরনের মিস্ত্রি এবং ঠিকাদারদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল তাঁর । তদন্তকারীরা ওই বাড়ির পরিচারিকা লতার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, বাড়িতে কাজ করানোর সময়েও অনেকটাই খোলামেলা ভাবে মিশতেন ওই দম্পতি । মিস্ত্রিদের সামনেই আলমারি খুলে টাকাপয়সা বের করতেন ।

আরও পড়ুন : নেতাজিনগরে দম্পতি খুনের কিনারা, বিহার থেকে গ্রেপ্তার রংমিস্ত্রি

তদন্তের শুরুতেই ওই ঠিকাদারের খোঁজ নেয় পুলিশ । তাকে জেরা করে জানা যায়, দম্পতির বাড়িতে কাজের জন্য তিনি ঠিকা মিস্ত্রি ভাড়া করে আনতেন । 6-7 জন ঠিকা মিস্ত্রি এই কাজ করেছিল । পুলিশ তাদের প্রত্যেকের খোঁজ শুরু করে । সেই সূত্রেই বিহার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ঠিকা মিস্ত্রি মহম্মদ হামরুজকে । এই খুনের ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে ছিল সে । 3 অগাস্ট বিহারের কাটিহার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে ।

কলকাতা , 25 অক্টোবর : শুধু খুন নয় । নেতাজিনগরে বৃদ্ধার উপর চালানো হয়েছিল পাশবিক অত্যাচার । মারধরে বৃদ্ধা অজ্ঞান হয়ে গেলে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় । তারপর তাঁর গোপনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় রং করার রোলার । অন্য আর একটি রোলার ঢোকানো হয় তাঁর মুখে । কলকাতা পুলিশের তরফে আদালতে যে চার্জশিট জমা পড়েছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে এমনই । বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা । সেই সূত্রে পুলিশের তরফে লেখা হয়েছে, এই ঘটনা "রেয়ার অব দা রেয়ারেস্ট" ৷

আরও পড়ুন : নেতাজিনগরে বাড়ি থেকে উদ্ধার বৃদ্ধ দম্পতির মৃতদেহ

90 দিনের আগেই নেতাজিনগর জোড়া খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় ৩০০ পাতার চার্জশিট জমা দিল কলকাতা পুলিশ । গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখা সূত্রে খবর, এই ঘটনায় সাক্ষীর সংখ্যা 50-এরও বেশি ।

আরও পড়ুন : বিড়ির প্যাকেট কার ? নেতাজিনগরে দম্পতি খুনে খতিয়ে দেখছে পুলিশ

29 জুলাই । রাত 10 টা থেকে 11 টার মধ্যে খুন হন বৃদ্ধ দম্পতি । বেশ কয়েকটি তত্ত্ব উঠে এলেও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা দেখে পুলিশ প্রথম থেকেই সন্দেহ করছিল টাকা-পয়সা লুটের জন্যই এই খুন । ETV ভারতের খবরে প্রথম প্রকাশ করা হয়েছিল সেই সন্দেহের কথা । যদিও কোনও কোনও মহল থেকে সন্দেহ করা হয়, প্রোমোটিংয়ের জন্য বাড়ি না দেওয়ায় খুন হন বৃদ্ধা দম্পতি । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছিলেন, "কারও সম্পত্তি জোর করে দখল করে নেওয়া যাবে না । যদি কেউ মনে করে থাকে একাকী বৃদ্ধ দম্পতিকে খুন করে তাঁদের সম্পত্তি দখল করে রেহাই পেয়ে যাবে, তাহলে তারা ভুল করছে । " যদিও দুঁদে গোয়েন্দাদের বক্তব্য, এই খুনের উদ্দেশ্য টাকা-পয়সা হাতানো ।

নেতাজিনগরের অশোকা অ্যাভিনিউয়ের ওই দম্পতির দোতলা বাড়িতে পৌঁছে, সিঁড়ির মাঝের দরজার সামনে তাঁর স্ত্রী স্বপ্নার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷ তখন তাঁর নাকে রক্তের দাগ ছিল । হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দাদের ধারণা ছিল পিছন থেকে তাঁর গলায় চাপ দেওয়া হয়েছে । সম্ভবত সেটাই মৃত্যুর কারণ । চাপের কারণেই তাঁর নাক দিয়ে রক্ত বেরিয়ে এসেছে । অন্যদিকে দোতলার শোয়ার ঘর থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধের দেহ । তাঁর মুখে গোঁজা ছিল একটি তোয়ালে ও বালিশ । ঘরে থাকা 10টি আলমারির মধ্যে 9 টিই ছিল খোলা । খোয়া যায় বেশ কিছু গয়না, প্রায় এক লাখ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন ।

আরও পড়ুন :নেতাজিনগর জোড়া খুনে একাধিক দুষ্কৃতীর হাত, আটক 10

অপরাধ বিজ্ঞান বলছে, প্রমোটিং কিংবা অন্য কোনও কারণে খুন হলে এভাবে আলমারি খুলে জিনিসপত্র লুটপাট করা হত না । যদিও সেই সন্দেহ খুব একটা উড়িয়ে দেয়নি পুলিশ । তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার ক্ষেত্রেও এই কাজ করা হয়ে থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছিল ৷ পুলিশ জানতে পারে ঘটনার দিন পাঁচেক আগে পর্যন্ত দম্পতির বাড়িতে রঙের এবং ছাদ সারাইয়ের কাজ হয় । এই কাজ করা হয়েছিল এক ঠিকাদারের মাধ্যমে । ওই ঠিকাদার বৃদ্ধের পূর্ব পরিচিত । আসলে ওই বৃদ্ধ একটা সময় রুফ রিপেয়ারিং ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । সেই সূত্রে এই ধরনের মিস্ত্রি এবং ঠিকাদারদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল তাঁর । তদন্তকারীরা ওই বাড়ির পরিচারিকা লতার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, বাড়িতে কাজ করানোর সময়েও অনেকটাই খোলামেলা ভাবে মিশতেন ওই দম্পতি । মিস্ত্রিদের সামনেই আলমারি খুলে টাকাপয়সা বের করতেন ।

আরও পড়ুন : নেতাজিনগরে দম্পতি খুনের কিনারা, বিহার থেকে গ্রেপ্তার রংমিস্ত্রি

তদন্তের শুরুতেই ওই ঠিকাদারের খোঁজ নেয় পুলিশ । তাকে জেরা করে জানা যায়, দম্পতির বাড়িতে কাজের জন্য তিনি ঠিকা মিস্ত্রি ভাড়া করে আনতেন । 6-7 জন ঠিকা মিস্ত্রি এই কাজ করেছিল । পুলিশ তাদের প্রত্যেকের খোঁজ শুরু করে । সেই সূত্রেই বিহার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ঠিকা মিস্ত্রি মহম্মদ হামরুজকে । এই খুনের ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে ছিল সে । 3 অগাস্ট বিহারের কাটিহার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে ।

Intro:কলকাতা, ২৫ অক্টোবর: শুধু খুন নয়। নেতাজি নগরে বৃদ্ধার ওপর চালানো হয় পাশবিক অত্যাচার। মারধরে বৃদ্ধা অজ্ঞান হয়ে গেলে তাঁকে ধর্ষণ করে আততায়ী। তারপর তাঁর গোপনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় রং করার রোলার! আর একটি রোলার ঢোকানো হয় মুখে। কলকাতা পুলিশ আদালতে যে চার্জশিট জমা দিয়েছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে এমন কথাই। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা। সেই সূত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, এই ঘটনা “রেয়ার অব দ্যা রেয়ারেস্ট।"
Body:৯০ দিনের আগেই নেতাজী নগর জোড়া খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় চার্জশিট জমা দিল পুলিশ। ৩০০ পাতার উপর দেওয়া হয়েছে চার্জশিট। গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখা সূত্রে খবর, এই ঘটনায় সাক্ষির সংখ্যা ৫০ এর বেশি।

29 জুলাই। রাত 10 টা থেকে 11 টার মধ্যে খুন হন বৃদ্ধ দম্পতি দিলীপ মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী স্বপ্না মুখোপাধ্যায়। বেশ কয়েকটি তত্ত্ব উঠে এলেও, ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা দেখে পুলিশ প্রথম থেকেই সন্দেহ করছিল টাকা পয়সা লুঠের জন্যই এই খুন। ইটিভি ভারতের খবরে প্রথম প্রকাশ করা হয়েছিল সেই সন্দেহের কথা। যদিও কোনো কোনো মহল থেকে সন্দেহ করা হয়, প্রোমোটিংয়ের জন্য তার বাড়ি না দেওয়ার জেরে এই খুন। সন্দেহ গতি পায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর। ইঙ্গিতপূর্ণভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কারোর সম্পত্তি জোর করে দখল করে নেওয়া যাবে না। যদি কেউ মনে করে থাকে, একাকী বৃদ্ধ দম্পতি খুন করে তাঁদের সম্পত্তি দখল করে রেহাই পেয়ে যাবে, তাহলে তারা ভুল করছে।" যদিও দুঁদে গোয়েন্দাদের লম্বা নাক এবং পোড় খাওয়া চোখ বলছিল, এই খুনের উদ্দেশ্য টাকা পয়সা হাতানো।

নেতাজিনগরের অশোকা অ্যাভিনিউয়ের দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের দোতলা বাড়িতে পৌঁছে, সিঁড়ির মাঝের দরজার সামনে দিলীপবাবুর স্ত্রী স্বপ্নার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷ তাঁর নাকে রক্তের দাগ ছিল। হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দাদের ধারণা ছিল পেছন থেকে তাঁর গলায় চাপ দেওয়া হয়েছে। সম্ভবত সেটাই মৃত্যুর কারণ । চাপের কারণেই তাঁর নাক দিয়ে রক্ত বেরিয়ে এসেছে। দোতলার সবার ঘরে উদ্ধার হয় দীলিপ বাবুর দেহ। তার মুখে গোঁজা ছিল বালিশের কভার দেওয়ার একটি তোয়ালে। চাপা দেওয়া ছিল একটি বালিশ। ঘরে থাকা 10 টি আলমারির মধ্যে ন'টাই খোলা ছিল। খোয়া যায় বেশ কিছু গয়না, প্রায় এক লাখ টাকা নগদ, দুটি মোবাইল ফোন। অপরাধ বিজ্ঞান বলছে, প্রমোটিং কিংবা অন্য কোনও কারণে খুন হলে এভাবে আলমারি খুলে জিনিসপত্র লুটপাট করা হতো না। যদিও সেই সন্দেহ খুব একটা উড়িয়ে দেয়নি পুলিশ। তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার ক্ষেত্রে এ কাজ করা হয়ে থাকতে বলেও একটা সন্দেহ ছিলই।Conclusion:পুলিশ জানতে পারে ঘটনার দিন পাঁচেক আগে পর্যন্ত দেবাশিষবাবুর বাড়িতে রং এবং ছাদ সারাইয়ের কাজ হয়। এই কাজ করা হয়েছিল এক ঠিকাদারের মাধ্যমে। ওই ঠিকাদার বৃদ্ধের পূর্ব পরিচিত। আসলে দেবাশিসবাবু একটা সময় রুফ রিপেয়ারিং ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই সূত্রে এই ধরনের মিস্ত্রি এবং ঠিকাদারদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল তাঁর। তদন্তকারীরা ওই বাড়ির পরিচারিকা লতার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে, বাড়িতে কাজ করানোর সময়েও অনেকটাই খোলামেলা ভাবে মিশতেন ওই দম্পতি। মিস্ত্রিদের সামনেই আলমারি খুলে টাকাপয়সা বের করতেন।

তদন্তের শুরুতেই ওই ঠিকাদারের খোঁজ নেয় পুলিশ। তাকে জেরা করে জানা যায়, দেবাশীষবাবুর বাড়িতে কাজের জন্য তিনি ঠিকা মিস্ত্রি ভাড়া করে আনতেন। 6-7 জন ঠিকা মিস্ত্রি এই কাজ করেছিল। পুলিশ তাদের প্রত্যেকের খোঁজ শুরু করে। সেই সূত্রেই বিহার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ঠিকা মিস্ত্রী মহম্মদ হামরুজকে। এই খুনের ঘটনায় প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িয়ে ছিল সে। বিহারের কাটিহার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। সেটা ৩ অগাস্ট।


Last Updated : Oct 26, 2019, 12:59 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.