- পশ্চিমবঙ্গে 2016-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে একটি স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ পায় ৷ মুহূর্তে শোরগোল পড়ে ৷ ভিডিয়োতে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মোট 12 জন নেতা-মন্ত্রীকে টাকা নিতে দেখা যায় ৷ মুকুল রায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুলতান আহমেদ, সৌগত রায়, শুভেন্দু অধিকারী, কাকলী ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র, ইকবাল আহমেদ এবং ফিরহাদ হাকিমকে টাকা নিতে দেখা যায় ৷ তৃণমূল ঘনিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিক এসএমএইচ আহমেদ মির্জাকেও টাকা নিতে দেখা যায় ফুটেজে ৷ সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েল এই স্টিং অপারেশনটি করেন ৷ ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশিত হওয়ার পরই রাজনৈতিক আক্রমণ শুরু করে বিজেপি ৷ এই ঘটনায় জড়িত সুলতান আহমেদ প্রয়াত হয়েছেন ৷
- ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পরই বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হয় তৃণমূলকে ৷ জনসাধারণের নিন্দাও বাদ যায়নি ৷
- পরের বছর অর্থাৎ 2017-এর মার্চে নারদ স্টিং অপারেশন মামলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআইকে প্রাথমিক তদন্তের ভার দেয় কলকাতা হাইকোর্ট । মামলায় যাঁরা জড়িত রয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে সিবিআইকে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশও দেয় কলকাতা হাইকোর্ট ৷
- কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর স্টে অর্ডার চেয়ে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে অ্যাপিল করে ৷ তবে তিন বিচারকের বেঞ্চ রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে এবং তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন । প্রাথমিক তদন্তের জন্য সিবিআইকে এক মাস সময় দেওয়া হয় ৷ নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে প্রমাণ যথাযথ বলে প্রমাণিত হয় তাহলে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয় ৷
- এই মামলায় পদক্ষেপ করতে চেয়ে লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দেয় সিবিআই ৷ 2018 সালে সাংসদ থাকাকালীনই এই মামলায় জড়িত সুলতান আহমেদের মৃত্যু হয় ৷
- এই বছরের জানুয়ারিতে একাধিক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করতে চেয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে চিঠি দেয় সিবিআই ৷ চার্জশিট পেশের অনুমোদন দেন রাজ্যপাল ৷
- 17 মে সকালে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা ৷ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয় ৷ পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয় ৷
আরও পড়ুন: নারদকাণ্ডে গ্রেফতার ফিরহাদ-সুব্রত-মদন-শোভন