ETV Bharat / state

ঝরল মুকুল; শুভেন্দু-আদিখ্যেতার মাশুল দিল বিজেপি ?

author img

By

Published : Jun 11, 2021, 5:56 PM IST

Updated : Jun 11, 2021, 6:13 PM IST

শুভেন্দু অধিকারী নিঃসন্দেহে দক্ষ সংগঠক । কিন্তু বয়সের ভারেই হোক অথবা রাজনীতির দুনিয়াতেই হোক, শুভেন্দুর থেকে অনেকটাই সিনিয়র মুকুল রায় । সেখানে মুকুলকে অবহেলায় ফেলে রেখে শুভেন্দুকে নিয়ে বঙ্গীয় বিজেপি যে ধরনের আদিখ্যেতা দেখিয়েছে... তা দেখেই অনেকে প্রমাদ গুণেছিলেন ।

Suvendu Adhikari
ছবি

কলকাতা, 11 জুন : অবশেষে ঘর ওয়াপসি । সাড়ে তিন বছরের অভিমান কাটিয়ে ফের একবার তৃণমূল ভবনে । এই তৃণমূল ভবনের প্রতিটি কোণা তাঁর চেনা । একটা সময় এখানে বসেই তৃণমূলের রণকৌশল তৈরি করতেন মুকুল রায় (Mukul Roy) । ছিলেন তৃণমূলের চাণক্য । দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড । আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যখন সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের প্রাসঙ্গিকতা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন, তখন মুকুল রায়ের এই ঘর ওয়াপসি নিঃসন্দেহে তৃণমূলকে এক পা এগিয়ে রাখবে দিল্লির দিকে ।

তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন । সেখান থেকে বেরিয়ে বিজেপিতে । কিন্তু দীর্ঘদিন গেরুয়া শিবিরে সেভাবে কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি । মুকুলের ঘনিষ্ঠ মহলে এই নিয়ে বেশ ক্ষোভও ছিল । পরে অবশ্য দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি পদে বসানো হয় । তখনকার মতো ক্ষতে প্রলেপ লাগানো হয় । রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষো শোনা যায়, উনিশের লোকসভা ভোটে বিজেপি যে লম্বা লাফ দিয়েছিল বাংলায়, তাতে মুকুল রায়ের অভিজ্ঞতা অনেকটা কাজে লেগেছিল ।

কিন্তু এরপর আবার তাল কাটে । ঠোকাঠুকি শুরু হয় শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নিয়ে । শুভেন্দু নিঃসন্দেহে দক্ষ সংগঠক । কিন্তু বয়সের ভারেই হোক অথবা রাজনীতির দুনিয়াতেই হোক, শুভেন্দুর থেকে অনেকটাই সিনিয়র মুকুল । সেখানে মুকুলকে অবহেলায় ফেলে রেখে শুভেন্দুকে নিয়ে বঙ্গীয় বিজেপি যে ধরনের আদিখ্যেতা দেখিয়েছে... তা দেখেই অনেকে প্রমাদ গুণেছিলেন । মুকুল অনুগামীদের দাবি, এখনও মুকুল রায়ের যা যোগাযোগ রয়েছে, তাতে যে কোনও সময়ে তিনি শুভেন্দুর থেকে দক্ষ সংগঠক ।

আরও পড়ুন : লবিবাজি করে অবজ্ঞার করুণ পরিণতি, ফেসবুকে ক্ষোভ অনুপমের

কানাঘুষো রয়েছে, মুকুল রায় নাকি এবার বিধানসভা ভোটেও লড়তে চাননি । তিনি চেয়েছিলেন গোটা ভোটপ্রচার প্রক্রিয়ার তদারকি করতে, রাজ্যজুড়ে প্রচার করতে দলের হয়ে । কিন্তু তা না করে মুকুলকে একটি নির্দিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রে বসিয়ে দেওয়া হয় । কৃষ্ণনগর উত্তর । গোটা বিধানসভা ভোটে ওই একটি কেন্দ্রের বাইরে সেভাবে প্রচারের জন্য ডাক পড়েনি মুকুলের । দীর্ঘদিনের পোড় খাওয়া মুকুলকে একপ্রকার হাত-পা বেঁধে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল কৃষ্ণনগর উত্তরে । আর অন্যদিকে গোটা রাজ্যে বিজেপির পোস্টার বয় শুভেন্দু অধিকারী । রোড শো করেছেন । সভা করেছেন ।

তখনও চুপ ছিলেন মুকুল রায় । নীরবে লড়ে গিয়েছেন । জিতে এসেছেন কৃষ্ণনগর উত্তর । কিন্তু তারপরও শুভেন্দুকে নিয়ে লাফালাফির শেষ নেই বিজেপিতে । বিধায়করা শপথগ্রহণ করলেন । সেদিন থেকেই ইঙ্গিত মিলছিল... বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা করা হতে পারে শুভেন্দুকে । হলও তাই ।

আরও পড়ুন : Mukul Roy : পদ্ম ঘুরে ফের ঘাস-ফুলেই ফুটল মুকুল, একনজরে ঘর ওয়াপসির সফরনামা

এরপর দিল্লিতেও শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে ডাক পড়ল শুভেন্দুর । এখানেও ব্রাত্য মুকুল । তবে কখনও বিজেপির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি ।

বিধায়ক পদে শপথ নেওয়ার দিনও নীরব । সুব্রত বক্সির সঙ্গে দেখা করে যখন বিধানসভা ছাড়ছিলেন তখন বলেছিলেন, "আমি এখন কিছু বলব না । যখন বলার হবে, তখন সাংবাদিকদের ডেকে নেব ।" আর আজ তাই হল । মমতার সঙ্গে বৈঠক শেষে তৃণমূল ভবনে বসেই সাংবাদিক বৈঠক করলেন । মমতার পাশে বসে । অভিষেক উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানালেন দলে । চাণক্যের গলাতেও আজ স্পষ্ট, সাড়ে তিন বছরেই বিজেপিতে বীতশ্রদ্ধ তিনি । ঘর ওয়াপসির পর বললেন, বিজেপিতে থাকতে না পেরেই ফিরে এসেছি । বিজেপি করব না বলেই পুরনো দলে ফিরেছি ।

কলকাতা, 11 জুন : অবশেষে ঘর ওয়াপসি । সাড়ে তিন বছরের অভিমান কাটিয়ে ফের একবার তৃণমূল ভবনে । এই তৃণমূল ভবনের প্রতিটি কোণা তাঁর চেনা । একটা সময় এখানে বসেই তৃণমূলের রণকৌশল তৈরি করতেন মুকুল রায় (Mukul Roy) । ছিলেন তৃণমূলের চাণক্য । দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড । আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যখন সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের প্রাসঙ্গিকতা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন, তখন মুকুল রায়ের এই ঘর ওয়াপসি নিঃসন্দেহে তৃণমূলকে এক পা এগিয়ে রাখবে দিল্লির দিকে ।

তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন । সেখান থেকে বেরিয়ে বিজেপিতে । কিন্তু দীর্ঘদিন গেরুয়া শিবিরে সেভাবে কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি । মুকুলের ঘনিষ্ঠ মহলে এই নিয়ে বেশ ক্ষোভও ছিল । পরে অবশ্য দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি পদে বসানো হয় । তখনকার মতো ক্ষতে প্রলেপ লাগানো হয় । রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষো শোনা যায়, উনিশের লোকসভা ভোটে বিজেপি যে লম্বা লাফ দিয়েছিল বাংলায়, তাতে মুকুল রায়ের অভিজ্ঞতা অনেকটা কাজে লেগেছিল ।

কিন্তু এরপর আবার তাল কাটে । ঠোকাঠুকি শুরু হয় শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নিয়ে । শুভেন্দু নিঃসন্দেহে দক্ষ সংগঠক । কিন্তু বয়সের ভারেই হোক অথবা রাজনীতির দুনিয়াতেই হোক, শুভেন্দুর থেকে অনেকটাই সিনিয়র মুকুল । সেখানে মুকুলকে অবহেলায় ফেলে রেখে শুভেন্দুকে নিয়ে বঙ্গীয় বিজেপি যে ধরনের আদিখ্যেতা দেখিয়েছে... তা দেখেই অনেকে প্রমাদ গুণেছিলেন । মুকুল অনুগামীদের দাবি, এখনও মুকুল রায়ের যা যোগাযোগ রয়েছে, তাতে যে কোনও সময়ে তিনি শুভেন্দুর থেকে দক্ষ সংগঠক ।

আরও পড়ুন : লবিবাজি করে অবজ্ঞার করুণ পরিণতি, ফেসবুকে ক্ষোভ অনুপমের

কানাঘুষো রয়েছে, মুকুল রায় নাকি এবার বিধানসভা ভোটেও লড়তে চাননি । তিনি চেয়েছিলেন গোটা ভোটপ্রচার প্রক্রিয়ার তদারকি করতে, রাজ্যজুড়ে প্রচার করতে দলের হয়ে । কিন্তু তা না করে মুকুলকে একটি নির্দিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রে বসিয়ে দেওয়া হয় । কৃষ্ণনগর উত্তর । গোটা বিধানসভা ভোটে ওই একটি কেন্দ্রের বাইরে সেভাবে প্রচারের জন্য ডাক পড়েনি মুকুলের । দীর্ঘদিনের পোড় খাওয়া মুকুলকে একপ্রকার হাত-পা বেঁধে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল কৃষ্ণনগর উত্তরে । আর অন্যদিকে গোটা রাজ্যে বিজেপির পোস্টার বয় শুভেন্দু অধিকারী । রোড শো করেছেন । সভা করেছেন ।

তখনও চুপ ছিলেন মুকুল রায় । নীরবে লড়ে গিয়েছেন । জিতে এসেছেন কৃষ্ণনগর উত্তর । কিন্তু তারপরও শুভেন্দুকে নিয়ে লাফালাফির শেষ নেই বিজেপিতে । বিধায়করা শপথগ্রহণ করলেন । সেদিন থেকেই ইঙ্গিত মিলছিল... বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা করা হতে পারে শুভেন্দুকে । হলও তাই ।

আরও পড়ুন : Mukul Roy : পদ্ম ঘুরে ফের ঘাস-ফুলেই ফুটল মুকুল, একনজরে ঘর ওয়াপসির সফরনামা

এরপর দিল্লিতেও শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে ডাক পড়ল শুভেন্দুর । এখানেও ব্রাত্য মুকুল । তবে কখনও বিজেপির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি ।

বিধায়ক পদে শপথ নেওয়ার দিনও নীরব । সুব্রত বক্সির সঙ্গে দেখা করে যখন বিধানসভা ছাড়ছিলেন তখন বলেছিলেন, "আমি এখন কিছু বলব না । যখন বলার হবে, তখন সাংবাদিকদের ডেকে নেব ।" আর আজ তাই হল । মমতার সঙ্গে বৈঠক শেষে তৃণমূল ভবনে বসেই সাংবাদিক বৈঠক করলেন । মমতার পাশে বসে । অভিষেক উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানালেন দলে । চাণক্যের গলাতেও আজ স্পষ্ট, সাড়ে তিন বছরেই বিজেপিতে বীতশ্রদ্ধ তিনি । ঘর ওয়াপসির পর বললেন, বিজেপিতে থাকতে না পেরেই ফিরে এসেছি । বিজেপি করব না বলেই পুরনো দলে ফিরেছি ।

Last Updated : Jun 11, 2021, 6:13 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.