ETV Bharat / state

অনলাইনে ক্লাস, অনলাইন পরিষেবা কই ?

স্কুলগুলি থেকে অনলাইনে পড়াশোনা করার বিকল্প ব্যবস্থা করেছে ঠিকই । কিন্তু অনলাইনে ক্লাস করার সুযোগ নেই সেরকম ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা অনেক ।

not able to take online classes
অনলাইন পরিষেবা কই
author img

By

Published : May 10, 2020, 6:29 PM IST

কলকাতা, 10 মে : দেশের অনেকাংশ ছাত্রছাত্রীর অনলাইন পরিষেবা নেই ৷ স্কুলের পরিসরটুকুই শেখার সুযোগ ৷ লকডাউনের জেরে সেটাও বন্ধ ৷ গৃহবন্দি পরিস্থিতিতে সিলেবাসের নতুন অধ্যায় বুঝিয়ে দেবে কে? কে জাগাবে মলাট ওল্টানোর ইচ্ছে ? অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর তাই পঠনপাঠন বন্ধ হয়েছে । স্কুলগুলি থেকে অনলাইনে পড়াশোনা করার বিকল্প ব্যবস্থা করেছে ঠিকই । কিন্তু অনলাইনে ক্লাস করার সুযোগ নেই সেরকম ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা অনেক । এইসব ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভেবে দুজন ষাটোর্ধ্ব প্রৌঢ়া এগিয়ে এলেন সাহায্য করতে । নিজেদের অতিরিক্ত স্মার্ট ফোন দিয়ে দিলেন দুস্থ মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের । যাতে বাড়িতে বসে সময় নষ্ট না করে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে ।

প্রবাসী বাঙালি মঞ্জু বসু ফ্লোরিডাতে থাকেন ৷ তিনি কলকাতায় এসেছিলেন অসুস্থ মাকে দেখতে । কিন্তু লকডাউন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর আর ফিরতে পারেননি । লকডাউনের বিভিন্ন সমস্যার খবর দেখেছেন বাড়িতে বসে । দীর্ঘদিনের বান্ধবী তমিশ্রা দেবীকে নিয়ে কুমোরটুলিতে গিয়েছিলেন ব্যক্তিগত উদ্যোগে দুস্থ মানুষদের কিছু সাহায্য করতে । সেখানে এক ক্লাস সেভেনের একটি মেয়ের সঙ্গে আলাপ হয় । কথায় কথায় জানতে পারেন অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে কিন্তু স্মার্ট ফোন না থাকায় পড়াশোনা তাঁর বন্ধ । মঞ্জু দেবী জানান, মেয়েটির সমস্যার কথা শুনে মনে হল যদি কোনও মতে এই ধরনের শিশুদের পাশে একটু সাহায্য করতে পারতাম । বাড়িতে এসে খুঁজে পেতে একটা অতিরিক্ত ফোন পেলেন তিনি । বান্ধবী তমিশ্রা দাসকে ফোন করে জানতে চান ওঁর কাছে কোনও অতিরিক্ত স্মার্টফোন আছে কিনা । তারপর দুই বান্ধবী মিলে চারটি স্মার্টফোন জোগাড় করেন । শ্যামবাজারে দুটি সরকারি স্কুলের চারজন মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের হাতে ওই ফোনগুলি তুলে দেন এই দুই বান্ধবী ।

মঞ্জু দেবী জানান, আমরা স্মার্টফোনগুলোতে সিমকার্ড ও নেট কার্ড লাগিয়ে ইলেভেনের একটি ছাত্র, ক্লাস সেভেনের একটি ছাত্র, ক্লাস এইট এর একটি ছাত্রী ও ক্লাস সেভেনের একটি ছাত্রীকে ফোনগুলি দিয়েছি ব্যবহার করার জন্য । আমাদের ক্ষমতা খুব অল্প, যতটুকু ক্ষমতা ছিল সেটুকু সাহায্য করতে পেরেছি । লকডাউনে কাজ হারিয়েছে বহু মানুষ । রোজগার নেই পিতামাতাদের । ফলে আর্থিক সংকট চরমে । এই অবস্থায় অনলাইনে ক্লাস করার মতো অনেকেরই ক্ষমতা নেই । তাই মনে হল যদি সামান্য কিছু সাহায্য করতে পারি এসব শিশুদের তাহলে অন্তত আগামী দিনে এদের ভবিষ্যৎ ভালো হবে । সেকথা ভেবেই এই প্রচেষ্টা ।

মঞ্জু দেবী ও তমিশ্রা দেবীদের মতো মানুষদের অপেক্ষায় এরকমই অনেক দুস্থ ছাত্র-ছাত্রী ৷ অনলাইন পরিষেবা পেলেই পড়াশোনা করার বিকল্প ব্যবস্থায় শামিল হতে পারবে তাঁরা ৷ মঞ্জু দেবীরাও জানিয়েছেন নিজেদের অতিরিক্ত ব্যবহার না করা স্মার্টফোন থাকলে ওঁরা নিজেরাই তা নিয় সেই ফোন পৌঁছে দেবেন দুস্থ ছাত্রছাত্রীদের কাছে । নয়তো এইসব দুস্থ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দেশের শিক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে আরও বেশি করে ৷

কলকাতা, 10 মে : দেশের অনেকাংশ ছাত্রছাত্রীর অনলাইন পরিষেবা নেই ৷ স্কুলের পরিসরটুকুই শেখার সুযোগ ৷ লকডাউনের জেরে সেটাও বন্ধ ৷ গৃহবন্দি পরিস্থিতিতে সিলেবাসের নতুন অধ্যায় বুঝিয়ে দেবে কে? কে জাগাবে মলাট ওল্টানোর ইচ্ছে ? অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর তাই পঠনপাঠন বন্ধ হয়েছে । স্কুলগুলি থেকে অনলাইনে পড়াশোনা করার বিকল্প ব্যবস্থা করেছে ঠিকই । কিন্তু অনলাইনে ক্লাস করার সুযোগ নেই সেরকম ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা অনেক । এইসব ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভেবে দুজন ষাটোর্ধ্ব প্রৌঢ়া এগিয়ে এলেন সাহায্য করতে । নিজেদের অতিরিক্ত স্মার্ট ফোন দিয়ে দিলেন দুস্থ মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের । যাতে বাড়িতে বসে সময় নষ্ট না করে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে ।

প্রবাসী বাঙালি মঞ্জু বসু ফ্লোরিডাতে থাকেন ৷ তিনি কলকাতায় এসেছিলেন অসুস্থ মাকে দেখতে । কিন্তু লকডাউন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর আর ফিরতে পারেননি । লকডাউনের বিভিন্ন সমস্যার খবর দেখেছেন বাড়িতে বসে । দীর্ঘদিনের বান্ধবী তমিশ্রা দেবীকে নিয়ে কুমোরটুলিতে গিয়েছিলেন ব্যক্তিগত উদ্যোগে দুস্থ মানুষদের কিছু সাহায্য করতে । সেখানে এক ক্লাস সেভেনের একটি মেয়ের সঙ্গে আলাপ হয় । কথায় কথায় জানতে পারেন অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে কিন্তু স্মার্ট ফোন না থাকায় পড়াশোনা তাঁর বন্ধ । মঞ্জু দেবী জানান, মেয়েটির সমস্যার কথা শুনে মনে হল যদি কোনও মতে এই ধরনের শিশুদের পাশে একটু সাহায্য করতে পারতাম । বাড়িতে এসে খুঁজে পেতে একটা অতিরিক্ত ফোন পেলেন তিনি । বান্ধবী তমিশ্রা দাসকে ফোন করে জানতে চান ওঁর কাছে কোনও অতিরিক্ত স্মার্টফোন আছে কিনা । তারপর দুই বান্ধবী মিলে চারটি স্মার্টফোন জোগাড় করেন । শ্যামবাজারে দুটি সরকারি স্কুলের চারজন মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের হাতে ওই ফোনগুলি তুলে দেন এই দুই বান্ধবী ।

মঞ্জু দেবী জানান, আমরা স্মার্টফোনগুলোতে সিমকার্ড ও নেট কার্ড লাগিয়ে ইলেভেনের একটি ছাত্র, ক্লাস সেভেনের একটি ছাত্র, ক্লাস এইট এর একটি ছাত্রী ও ক্লাস সেভেনের একটি ছাত্রীকে ফোনগুলি দিয়েছি ব্যবহার করার জন্য । আমাদের ক্ষমতা খুব অল্প, যতটুকু ক্ষমতা ছিল সেটুকু সাহায্য করতে পেরেছি । লকডাউনে কাজ হারিয়েছে বহু মানুষ । রোজগার নেই পিতামাতাদের । ফলে আর্থিক সংকট চরমে । এই অবস্থায় অনলাইনে ক্লাস করার মতো অনেকেরই ক্ষমতা নেই । তাই মনে হল যদি সামান্য কিছু সাহায্য করতে পারি এসব শিশুদের তাহলে অন্তত আগামী দিনে এদের ভবিষ্যৎ ভালো হবে । সেকথা ভেবেই এই প্রচেষ্টা ।

মঞ্জু দেবী ও তমিশ্রা দেবীদের মতো মানুষদের অপেক্ষায় এরকমই অনেক দুস্থ ছাত্র-ছাত্রী ৷ অনলাইন পরিষেবা পেলেই পড়াশোনা করার বিকল্প ব্যবস্থায় শামিল হতে পারবে তাঁরা ৷ মঞ্জু দেবীরাও জানিয়েছেন নিজেদের অতিরিক্ত ব্যবহার না করা স্মার্টফোন থাকলে ওঁরা নিজেরাই তা নিয় সেই ফোন পৌঁছে দেবেন দুস্থ ছাত্রছাত্রীদের কাছে । নয়তো এইসব দুস্থ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দেশের শিক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে আরও বেশি করে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.