ETV Bharat / state

মোহনবাগানকে 3-2 গোলে হারিয়ে জয় মহামেডানের, চোখ এবার খেতাবে

author img

By

Published : Sep 19, 2019, 9:50 PM IST

Updated : Sep 19, 2019, 10:08 PM IST

2016 সালের পর আজ ফের মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জয় পেল মহামেডান । দীপেন্দু বলছেন, ইতিহাসে চোখ রাখতে চান না ৷ তাঁরা ইতিহাস গড়তে চান । 16 পয়েন্ট নিয়ে দু'নম্বরে উঠে আসা মহামেডান এখন পরের ম্যাচে পিয়ারলেসকে হারিয়ে খেতাব জয়ের স্বপ্ন দেখছে ।

photo

কলকাতা , 19 সেপ্টেম্বর : অমল আলোয় মহমেডান । 22 বছর আগে এক তরুণ ফুটবলারকে ভরসা জুগিয়ে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে উঠতে সাহায্য করেছিলেন অমল দত্ত৷ সেই স্ট্রাইকার আজ মহামেডানের টেকনিকাল ডিরেক্টর । প্রশিক্ষকের চেয়ারে বসে কালো সাদা শিবিরের TD আজও প্রয়াত অমল দত্তর শিক্ষা মেনে সাফল্যের পথ খোঁজেন । মোহনবাগানকে 3-2 গোলে হারিয়ে খেতাবি লড়াইয়ে উঠে আসার দিনে দীপেন্দু বিশ্বাস জয় উৎসর্গ করলেন সেই অমল স্যারকে ৷

মোহনবাগানের বিরুদ্ধে প্রথম 11 মিনিটে দু'গোলে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা ৷ খেলার রাশ তুলে নিয়ে নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠছিলেন তাঁরাই ৷ স্টেডিয়ামের বাইরে থাকা সমর্থকরা প্রথমে বিশ্বাস করতে চাননি । কিন্তু, অবিশ্বাস্য পারফরমেন্সে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিল মহামেডান । দীপেন্দু বিশ্বাসের ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগের আভাস সত্যি হল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের মাঠে । তাই বলাই যায় স্প্যানিশ আর্মাডাকে সামলে জয় বাঙালিয়ানার । অন্য দলে বিদেশি খেলোয়াড়ের সংখ্যা বেশি ৷ এদিকে মহামেডান দলের সিংহভাগ বাংলারই ছেলে । চিডি, মুদ্দে মুসা, ফিরোজ আলির নাছোড় মানসিকতা মোহনবাগানকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল । যা থেকে ফিরে আসার পথ পায়নি তারা ।

আট মিনিটে তীর্থঙ্করের কর্নার থেকে করিম ওমোলোজার গোল । তিন মিনিট পর বাঁ-পায়ের দুরন্ত শটে ব্যবধান বাড়ান তীর্থঙ্কর । প্রতিপক্ষের তিকিতাকায় বাজিমাতের ছক তীর্থঙ্কর একাই ভেঙে দেন । 63 মিনিটে তীর্থঙ্কর সরকারের জোরালো শট মোহনবাগান গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদার প্রতিহত করলে তা দৌড়ে গিয়ে জালে পাঠান চিডি । দলের তিন গোলে একটি নিজে করেছেন এবং বাকি দুটোর রূপকার । ফলে ম্যাচের সেরা হিসেবে তীর্থঙ্করকে বাছতে দুবার ভাবতে হয়নি বিচারকদের ।

ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক বৈঠকে দীপেন্দু বলছেন, 6-2 গোলে জিততে পারতেন । 25 মিনিটে বেইটার দুরন্ত ফ্রিকিকে গোল ও 71 মিনিটে বেইটার ফ্রিকিকে মাথা ছুঁইয়ে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা সালভো চামারোর ব্যবধান কমানো ছাড়া মোহনবাগান এই ম্যাচে দাগ কাটতে পারেনি । বরং অন্তত তিনবার তীর্থঙ্করের পাস চান্টে সদ্ব্যবহার করতে পারলে আরও বড় লজ্জা হত মোহনবাগানের । 2016 সালের পর মোহনবাগানের বিরুদ্ধে আজ জয় পেল মহামেডান । দীপেন্দু বলছেন, ইতিহাসে চোখ রাখতে চান না ৷ তাঁরা ইতিহাস গড়তে চান । 16 পয়েন্ট নিয়ে দু'নম্বরে উঠে আসা মহামেডান এখন পরের ম্যাচে পিয়ারলেসকে হারিয়ে খেতাব জয়ের স্বপ্ন দেখছে ।

কলকাতা , 19 সেপ্টেম্বর : অমল আলোয় মহমেডান । 22 বছর আগে এক তরুণ ফুটবলারকে ভরসা জুগিয়ে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে উঠতে সাহায্য করেছিলেন অমল দত্ত৷ সেই স্ট্রাইকার আজ মহামেডানের টেকনিকাল ডিরেক্টর । প্রশিক্ষকের চেয়ারে বসে কালো সাদা শিবিরের TD আজও প্রয়াত অমল দত্তর শিক্ষা মেনে সাফল্যের পথ খোঁজেন । মোহনবাগানকে 3-2 গোলে হারিয়ে খেতাবি লড়াইয়ে উঠে আসার দিনে দীপেন্দু বিশ্বাস জয় উৎসর্গ করলেন সেই অমল স্যারকে ৷

মোহনবাগানের বিরুদ্ধে প্রথম 11 মিনিটে দু'গোলে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা ৷ খেলার রাশ তুলে নিয়ে নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠছিলেন তাঁরাই ৷ স্টেডিয়ামের বাইরে থাকা সমর্থকরা প্রথমে বিশ্বাস করতে চাননি । কিন্তু, অবিশ্বাস্য পারফরমেন্সে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিল মহামেডান । দীপেন্দু বিশ্বাসের ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগের আভাস সত্যি হল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের মাঠে । তাই বলাই যায় স্প্যানিশ আর্মাডাকে সামলে জয় বাঙালিয়ানার । অন্য দলে বিদেশি খেলোয়াড়ের সংখ্যা বেশি ৷ এদিকে মহামেডান দলের সিংহভাগ বাংলারই ছেলে । চিডি, মুদ্দে মুসা, ফিরোজ আলির নাছোড় মানসিকতা মোহনবাগানকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল । যা থেকে ফিরে আসার পথ পায়নি তারা ।

আট মিনিটে তীর্থঙ্করের কর্নার থেকে করিম ওমোলোজার গোল । তিন মিনিট পর বাঁ-পায়ের দুরন্ত শটে ব্যবধান বাড়ান তীর্থঙ্কর । প্রতিপক্ষের তিকিতাকায় বাজিমাতের ছক তীর্থঙ্কর একাই ভেঙে দেন । 63 মিনিটে তীর্থঙ্কর সরকারের জোরালো শট মোহনবাগান গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদার প্রতিহত করলে তা দৌড়ে গিয়ে জালে পাঠান চিডি । দলের তিন গোলে একটি নিজে করেছেন এবং বাকি দুটোর রূপকার । ফলে ম্যাচের সেরা হিসেবে তীর্থঙ্করকে বাছতে দুবার ভাবতে হয়নি বিচারকদের ।

ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক বৈঠকে দীপেন্দু বলছেন, 6-2 গোলে জিততে পারতেন । 25 মিনিটে বেইটার দুরন্ত ফ্রিকিকে গোল ও 71 মিনিটে বেইটার ফ্রিকিকে মাথা ছুঁইয়ে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা সালভো চামারোর ব্যবধান কমানো ছাড়া মোহনবাগান এই ম্যাচে দাগ কাটতে পারেনি । বরং অন্তত তিনবার তীর্থঙ্করের পাস চান্টে সদ্ব্যবহার করতে পারলে আরও বড় লজ্জা হত মোহনবাগানের । 2016 সালের পর মোহনবাগানের বিরুদ্ধে আজ জয় পেল মহামেডান । দীপেন্দু বলছেন, ইতিহাসে চোখ রাখতে চান না ৷ তাঁরা ইতিহাস গড়তে চান । 16 পয়েন্ট নিয়ে দু'নম্বরে উঠে আসা মহামেডান এখন পরের ম্যাচে পিয়ারলেসকে হারিয়ে খেতাব জয়ের স্বপ্ন দেখছে ।

Intro:অমল আলোয় মহমেডান। বাইশবছর আগে যে তরুণ ফুটবলারকে ভরসা যুগিয়ে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে উঠতে সাহায্য করেছিলেন অমল দত্ত,সেদিনের সেই স্ট্রাইকার মহমেডানের আজকের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর। প্রশিক্ষকের চেয়ারে বসে কালো সাদা শিবিরের টিডি আজও প্রয়াত অমল দত্তর শিক্ষা মেনে সাফল্যের পথ খোঁজেন। তাই মোহনবাগান কে 3-2 গোলে হারিয়ে খেতাবি লড়াইয়ে উঠে আসার দিনে দীপেন্দু বিশ্বাস যখন জয় উৎসর্গ করেন অমল স্যার কে তখন গুরুদক্ষিনার চিরকালীন ছবি তৈরি হয়।
মহমেডান মানে ময়দানী ফুটবলে তৃতীয় প্রধান। কালের নিয়মে তারা এতটাই ব্যর্থতার অন্ধকারে যে নামেই তালপুকুর সাফল্যের আলো প্রায় ঢোকে না। এমন একটা দল মোহনবাগানের বিরুদ্ধে প্রথম এগারো মিনিটে দুগোলে এগিয়ে যাচ্ছে, খেলার রাশ তুলে নিয়ে নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠছে তা স্টেডিয়ামে র বাইরে থাকা সমর্থক কুল প্রথমে বিশ্বাস করতে চায়নি। কোনও সন্দেহ নেই অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে ভর দিয়ে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিল মহমেডান। জয়ের নায়ক সবুজ মেরুন এর ব
রাত্য তীর্থঙ্কর সরকার ও বিধায়ক টিডি দীপেন্দু বিশ্বাসের ম্যান ম্যানেজমেন্ট ও ম্যাচ রিডিং। ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগে যে ছবির আগাম আভাস দিয়েছিলেন তার ই বাস্তবায়ন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন মাঠে দেখল। তাই বলাই যায় স্প্যানিশ আর্মাডাকে সামলে জয় বাঙালিয়ানার। অন্য দল য খন বিদেশি নির্ভরতায় আক্রান্ত তখন চল্লিশ লক্ষ টাকায় গড়া মহমেডান দলের সিংহভাগ বাংলার ছেলে। তীর্থঙ্কর সরকারের বুদ্ধি দীপ্ত শিল্পী ফুটবলেরপাশে চিডি, মুদ্দে মুসা,ফিরোজ আলির নাছোড় মানসিকতা মোহনবাগান কে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল। যা থেকে ফিরে আসার পথ পায়নি তারা।
আট মিনিটে তীর্থঙ্করের কর্নার থেকে করিম ওমোলোজা র গোল। তিন মিনিট পরে বাপায়ের দুরন্ত শটে ব্যবধান বাড়ান তীর্থঙ্কর স্বয়ং। বেলঘড়িয়ার ছেলে বাপায়ের ফুটবলারটির স্কিল আজকের গতি ও গাজোয়ারি ফুটবলের দিনে চোখের আরাম। প্রতিপক্ষের স্প্যানিশ তিকিতাকায় বাজিমাতের ছক তীর্থঙ্কর একাই গুড়িয়ে দিলেন। 63মিনিটে তীর্থঙ্কর সরকারের গড়ানো কিন্তু জোরালো শট মোহনবাগান গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদার প্রতিহত করলে তা দৌড়ে গিয়ে জালে পাঠান চিডি। দলের তিন গোলে একটি নিজে করেছেন বাকি দুটোর রূপকার। ফলে ম্যাচের সেরা হিসেবে তীর্থঙ্কর কে বাছতে দুবার ভাবতে হয়নি বিচারক দের।
ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে দীপেন্দু বলছেন 6-2 গোলে জিততে পারতেন। 25 মিনিটে বেইটার দুরন্ত ফ্রিকিকে গোল ও 71 মিনিটে বেইটার ফ্রিকিকে মাথা ছুইয়ে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা সালভো চামারোর ব্যবধান কমানো ছাড়া মোহনবাগান এই ম্যাচে দাগ কাটতে পারেনি। বরং অন্তত তিনবার তীর্থঙ্কর এর পাস চান্টে সদব্যবহার করতে পারলে আরও বড় লজ্জা মোহনবাগানের জন্য অপেক্ষা করত। 2016সালের পরে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জয় পেল মহমেডান। দীপেন্দু বলছেন ইতিহাসে চোখ নয় তারা ইতিহাস গড়তে চান। 16পয়েন্ট নিয়ে দুনম্বরে উঠে আসা মহমেডান এখন পরের ম্যাচে পিয়ারলেস কে হারিয়ে খেতাবের স্বপ্ন দেখছে।


Body:জয়


Conclusion:
Last Updated : Sep 19, 2019, 10:08 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.