ETV Bharat / state

হাসপাতালই ঘর, ক্যানসার থেকে মুক্তি ছোট্ট মিনুর - মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

বাবা-মা ছেড়ে গেছিল হাসপাতালে, মুখ ফেরাতে পারেনি হাসপাতালের কর্মীরা । 2 মাস বয়স থেকে তাদের কাছেই সুস্থ হয়ে ওঠা মিনুর । আসলে মিনুর ক্যানসার, যার সমস্ত চিকিৎসার খরচা ও সুস্থ রাখার দায়িত্ব নেয় হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় থেকে নার্স সকলেই । ক্যনসার থেকে এখন সে সম্পূর্ণ মুক্ত । ভালো আছে মিনু, জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা ।

ছোট্ট মিনু
author img

By

Published : Oct 24, 2019, 1:00 PM IST

কলকাতা, 24 অক্টোবর : জন্মের পরে মা-বাবা তাকে হাসপাতালে ফেলে পালিয়েছিল । সেই থেকে হাসপাতালের ওয়ার্ডই তার ঠিকানা, ঘর-বাড়ি । ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা তার পরম আত্মীয় । আর এই পরম আত্মীয়দের আদরেই বেড়ে উঠছে মিনু । বাঁচার আশা ছিল না কোনওভাবেই । তা সত্ত্বেও, 2 মাস বয়সে পেটের টিউমারে অস্ত্রোপচার করা হয় । দেখা যায় সেটা ক্যানসার । এরপর শুরু হয় কেমোথেরাপি । এখন তার বয়স 2 । এখন সে সম্পূর্ণ সুস্থ । তবে, ছোট্ট মিনুর ঘর-বাড়ি এখনও হাসপাতালই ।

কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল । 2017-র 3 অক্টোবর এই হাসপাতালে মিনুর জন্ম হয় । জন্মের পরে দেখা যায়, তার পেটের ভিতর কোমরের দিকে বিশাল একটা টিউমার রয়েছে । যেটা বিরল । বড় মাপের এই টিউমারে অস্ত্রোপচারের জন্য আলোচনা করেন চিকিৎসকরা । এরপর এই শিশুকন্যার মা-বাবার আর খোঁজ মেলেনি । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি পুলিশকে জানায় । যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল, দেখা যায় সেটা ভুয়ো । তখন থেকেই কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের ওয়ার্ডই এই শিশুকন্যার ঘরবাড়ি হয়ে ওঠে । হাসপাতাল থেকেই তার নাম দেওয়া হয় মিনু ।

minu
অন্নপ্রাশনের সময়ে মিনু

এদিকে তার বয়স যখন 2 মাস, তখন অস্ত্রোপচার করা হয় ওই টিউমারে । বায়োপসি রিপোর্টে জানা যায়, ওই টিউমারটি আসলে ক্যানসার । এরপর শুরু হয় কেমোথেরাপি । ইতিমধ্যে তার বয়স যখন ছয় মাস তখন হাসপাতালেই পালন করা হয় অন্নপ্রাশন । হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা সকলের চাঁদায় তার ভরণপোষণ চলে । কেমোথেরাপির কোর্স চলার সময় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় । অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে সে । এর ফলে বন্ধ করে দিতে হয় কেমোথেরাপি । তার পেটে আরও একটি টিউমারের খোঁজ পাওয়া যায় । সেটাও ক্যানসার বলে জানা যায় । সূত্রের খবর, চলতি বছরের গোড়ার দিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায় পেটের মধ্যে ওই টিউমারের অস্তিত্ব আর নেই ।

minu
এভাবেই হাসপাতালে অন্নপ্রাশন হয় মিনুর

এদিকে, দুই বছরের জন্মদিন পালিত হয়েছে মিনুর । চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ছোট্ট মিনু এখন সম্পূর্ণ সুস্থ । এবিষয়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের MSVP (মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপাল) ইন্দ্রনীল বিশ্বাসের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "মা-বাবা ফেলে রেখে চলে যায়, এমন অনেক শিশুকেই আমাদের দায়িত্ব নিতে হয় । পরে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয় । এই শিশুকন্যা হাসপাতালের সকলের আদরের । এখন ও সম্পূর্ণ সুস্থ ।" এই হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, "কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, যার জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল । পরে দেখা যায় টিউমার ভ্যানিশ হয়ে গেছে । এই শিশুকন্যা এখন সম্পূর্ণ সুস্থ । কেমোথেরাপির জন্য হোক বা অন্য যে কোনও কারনেই হোক, চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটা পরীক্ষা সাপেক্ষ ।"

minu
2 বছরের জন্মদিনে মিনু

কলকাতা, 24 অক্টোবর : জন্মের পরে মা-বাবা তাকে হাসপাতালে ফেলে পালিয়েছিল । সেই থেকে হাসপাতালের ওয়ার্ডই তার ঠিকানা, ঘর-বাড়ি । ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা তার পরম আত্মীয় । আর এই পরম আত্মীয়দের আদরেই বেড়ে উঠছে মিনু । বাঁচার আশা ছিল না কোনওভাবেই । তা সত্ত্বেও, 2 মাস বয়সে পেটের টিউমারে অস্ত্রোপচার করা হয় । দেখা যায় সেটা ক্যানসার । এরপর শুরু হয় কেমোথেরাপি । এখন তার বয়স 2 । এখন সে সম্পূর্ণ সুস্থ । তবে, ছোট্ট মিনুর ঘর-বাড়ি এখনও হাসপাতালই ।

কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল । 2017-র 3 অক্টোবর এই হাসপাতালে মিনুর জন্ম হয় । জন্মের পরে দেখা যায়, তার পেটের ভিতর কোমরের দিকে বিশাল একটা টিউমার রয়েছে । যেটা বিরল । বড় মাপের এই টিউমারে অস্ত্রোপচারের জন্য আলোচনা করেন চিকিৎসকরা । এরপর এই শিশুকন্যার মা-বাবার আর খোঁজ মেলেনি । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি পুলিশকে জানায় । যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল, দেখা যায় সেটা ভুয়ো । তখন থেকেই কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের ওয়ার্ডই এই শিশুকন্যার ঘরবাড়ি হয়ে ওঠে । হাসপাতাল থেকেই তার নাম দেওয়া হয় মিনু ।

minu
অন্নপ্রাশনের সময়ে মিনু

এদিকে তার বয়স যখন 2 মাস, তখন অস্ত্রোপচার করা হয় ওই টিউমারে । বায়োপসি রিপোর্টে জানা যায়, ওই টিউমারটি আসলে ক্যানসার । এরপর শুরু হয় কেমোথেরাপি । ইতিমধ্যে তার বয়স যখন ছয় মাস তখন হাসপাতালেই পালন করা হয় অন্নপ্রাশন । হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা সকলের চাঁদায় তার ভরণপোষণ চলে । কেমোথেরাপির কোর্স চলার সময় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় । অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে সে । এর ফলে বন্ধ করে দিতে হয় কেমোথেরাপি । তার পেটে আরও একটি টিউমারের খোঁজ পাওয়া যায় । সেটাও ক্যানসার বলে জানা যায় । সূত্রের খবর, চলতি বছরের গোড়ার দিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায় পেটের মধ্যে ওই টিউমারের অস্তিত্ব আর নেই ।

minu
এভাবেই হাসপাতালে অন্নপ্রাশন হয় মিনুর

এদিকে, দুই বছরের জন্মদিন পালিত হয়েছে মিনুর । চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ছোট্ট মিনু এখন সম্পূর্ণ সুস্থ । এবিষয়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের MSVP (মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপাল) ইন্দ্রনীল বিশ্বাসের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "মা-বাবা ফেলে রেখে চলে যায়, এমন অনেক শিশুকেই আমাদের দায়িত্ব নিতে হয় । পরে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয় । এই শিশুকন্যা হাসপাতালের সকলের আদরের । এখন ও সম্পূর্ণ সুস্থ ।" এই হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, "কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, যার জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল । পরে দেখা যায় টিউমার ভ্যানিশ হয়ে গেছে । এই শিশুকন্যা এখন সম্পূর্ণ সুস্থ । কেমোথেরাপির জন্য হোক বা অন্য যে কোনও কারনেই হোক, চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটা পরীক্ষা সাপেক্ষ ।"

minu
2 বছরের জন্মদিনে মিনু
Intro:কলকাতা, ২৩ অক্টোবর: জন্মের পরে মা-বাবা তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল হাসপাতাল থেকে। সেই থেকে হাসপাতালের ওয়ার্ড-ই তার ঠিকানা, ঘর-বাড়ি। ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা তার পরমাত্মীয়। আর, এই পরম আত্মীয়দের আদরের মিনু সে। বাঁচার আশা ছিল না তার। তা সত্ত্বেও, ২ মাস বয়সে তার পেটের টিউমারে অস্ত্রোপচার করা হয়। দেখা যায় সেটা ক্যানসার। এর পরে শুরু হয় কেমোথেরাপি। এখন তার বয়স ২ বছর। এখন সে সম্পূর্ণ সুস্থ। তবে, ছোট্ট মিনুর ঘর-বাড়ি এখনও হাসপাতাল।
Body:এই ঘটনা কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের। সূত্রের খবর, ২০১৭-র ৩ অক্টোবর এই হাসপাতালে এই শিশুকন্যার জন্ম হয়। জন্মের পরে দেখা যায়, তার পেটের ভিতর কোমরের দিকে বিশাল একটা টিউমার রয়েছে। এটা বিরল। বিশাল বড় মাপের এই টিউমারে অস্ত্রোপচারের জন্য আলোচনা করেন চিকিৎসকরা। এর পরে এই শিশুকন্যার মা-বাবার আর খোঁজ মেলেনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি পুলিশকে জানান। যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল, দেখা যায় সেটা ভুয়ো। তখন থেকেই কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের ওয়ার্ড-ই এই শিশুকন্যার ঘরবাড়ি হয়ে ওঠে। হাসপাতাল থেকে তার নাম দেওয়া হয় মিনু।

এ দিকে তার বয়স যখন ২ মাস, তখন অস্ত্রোপচার করা হয় ওই টিউমারে। বায়োপসি রিপোর্টে জানা যায়, ওই টিউমারটি আসলে ক্যানসার। এর পরে শুরু হয় কেমোথেরাপি। ইতিমধ্যে তার বয়স যখন ছয় মাস তখন হাসপাতালেই পালন করা হয় অন্নপ্রাশন। হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা সকলের চাঁদায় তার ভরণপোষণ চলে। কেমোথেরাপির কোর্স চলার সময় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে সে। এর ফলে বন্ধ করে দিতে হয় কেমোথেরাপি। তার পেটে আরও একটি টিউমারের খোঁজ পাওয়া যায়। সেটাও ক্যানসার বলে জানা যায়। সূত্রের খবর, চলতি বছরের গোড়ার দিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায় পেটের মধ্যে ওই টিউমারের অস্তিত্ব আর নেই।Conclusion:এ দিকে, দুই বছরের জন্মদিন পালিত হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ছোট্ট মিনু এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। এই বিষয়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের MSVP (মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপাল) ইন্দ্রনীল বিশ্বাসের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "মা-বাবা পরিত্যাগ করে চলে যায়, এমন অনেক শিশুকেই আমাদের দায়িত্ব নিতে হয়। পরে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।" তিনি বলেন, "এই শিশুকন্যা হাসপাতালের সকলের আদরের। এখন ও সম্পূর্ণ সুস্থ।" এই হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, "কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, যার জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে দেখা যায় টিউমার ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছে। এই শিশুকন্যা এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। কেমোথেরাপির জন্য হোক বা অন্য যে কোনও কারনেই হোক, চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটা পরীক্ষা সাপেক্ষ।"
_______
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.