কলকাতা, 28 নভেম্বর: রাজ্যপালের যাতায়াত খরচ বাবদ কেন্দ্রের কাছে বকেয়া রয়েছে বিপুল টাকা । সেই বকেয়া টাকা চেয়ে এবার রাজভবনকে চিঠি দিল অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক । সিভি আনন্দ বোসের রাজ্যপাল পদে বর্ষপূর্তির দিন পনেরো আগে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে । সূত্রের দাবি, বিমান ভাড়া-হেলিকপ্টার ভাড়া-ট্রেন ভাড়া মিলিয়ে প্রায় 3 কোটি 61 লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে রাজভবনের। তার মধ্যে প্রায় 2 কোটি 40 লক্ষের বেশি টাকা পাবে কেন্দ্র। এই সব টাকা রাজ্য সরকারকে দিতে হবে । অবিলম্বে সেই বকেয়া টাকা পরিশোধের জন্য পশ্চিমবঙ্গের রাজভবনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ।
গত 23 নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের পদে বর্ষপূর্তি হয়েছে ৷ সূত্রের খবর, সেই দিনই রাজ্যের অর্থ সচিবকে ডেকে পাঠানো হয় রাজভবনের তরফে। রাজ্যপাল ও অর্থ সচিবের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা হয়। এই বৈঠকে নানান আর্থিক বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে । যদিও রাজ্যের তরফে কেন্দ্রের বকেয়া টাকা মেটানো হয়েছি কি না, তা নিয়ে কিছু জানা যায়নি ৷
তবে সূত্রের দাবি, যাতায়াত খরচ বাবদ 3 কোটি 61 লক্ষ অর্থের পুরোটা রাজ্যের বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সময় খরচ হয়নি । উপরাষ্ট্রপতি তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের আমলেও বেশ কিছু টাকা বকেয়া রয়েছে বলে খবর । তাঁর আমলে মূলত হেলিকপ্টার ভাড়ার টাকা বকেয়া রয়েছে । সেইসব খরচ মিলিয়ে এই বিপুল টাকা বকেয়া হয়েছে ৷ তবে কতদিন ধরে এই বকেয়া রয়েছে তার সময়সীমা এখনও জানা যায়নি ৷ সূত্রের দাবি, এর আগে বকেয়া টাকা চেয়ে রাজভবনকে চিঠি করতে হয়নি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে ।
এদিকে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা এবং বই ছাপাতে 25 লক্ষের বেশি টাকা বকেয়া রয়েছে কলকাতার ছাপাখানায়। অন্যদিকে, গত এক বছরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নানান কর্মসূচি আয়োজন করেছেন রাজভবনে । ঘোষণা করেছেন নানান রকম স্কলারশিপ বা আর্থিক পুরস্কার । বেসরকারি সংস্থার সিএসআর থেকে আর্থিক সংস্থানের পাশাপাশি রাজ্য সরকারি কোষাগারের থেকেও বেশ কিছু টাকা খরচ হয়েছে ।
সূত্রের দাবি, স্টেট ব্যাংক থেকে প্রায় এক কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য পেয়েছিল রাজভবন । বিভিন্ন পুজো কমিটিকে আর্থিক পুরস্কার এবং একাধিক খাতে সেই টাকা খরচ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে । অন্যদিকে রাজ্যপাল পদে এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি এবং পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ৷ তবে তা বাস্তবায়নের জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, তার অধিকাংশটাই বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সিএসআর-এর টাকা থেকে সংগ্রহ করা হবে বলেই খবর ।
আরও পড়ুন: