কলকাতা, 31 অক্টোবর: সিঙ্গুরের টাটা ন্যানো কারখানা প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ সিপিএমের যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের । মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘‘সিঙ্গুরের দায় নিতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে । ডিনামাইট দিয়ে কারখানা তিনি ভেঙেছেন । জমি চিহ্নিত না করেই তাতে ধান ছড়িয়েছেন, ভেড়ি করেছেন । বাংলার যুবকদের ভবিষ্যৎ শেষ করেছেন । এই দায় তাঁর । রাজ্যজুড়ে ইনসাফ যাত্রা দাবি তুলবে শিল্পায়নের, কর্মসংস্থানের ।’’
উল্লেখ্য, আগামী 3 নভেম্বর সংগঠনের 44তম প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন কোচবিহার শহর থেকে শুরু হচ্ছে ডিওয়াইএফআই-এর ইনসাফ যাত্রা । কাজ ও শিক্ষা-সহ সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের সমস্যাকে সামনে রেখে এই ইনসাফ যাত্রা হবে । কালিম্পং জেলা বাদ দিয়ে রাজ্যের 22টি জেলা ছুঁয়ে যাবে এই যাত্রা । 60 দিন রাস্তায় থাকবেন সিপিএমের যুব নেতা-কর্মীরা । এই ইনসাফ যাত্রা শেষে 7 জানুয়ারি হবে ব্রিগেড সমাবেশ । সেখানে কলকাতার রাজপথে চাকরির দাবিতে অবস্থানরত যোগ্যরাও অংশগ্রহণ করবেন বলে দাবি করেছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ।
তিনি বলেন, "ঝাণ্ডার জোরে গোটা রাজ্যে আমরা কৌটো পাঠিয়েছি । বাড়ি বাড়ি সেই কৌটো পৌঁছেছে । দিনে এক টাকা হতে পারে । দু’টাকা হতে পারে । তাদের আমরা বলছি, আপনার সাহায্য আমাদের সাহস যোগাবে । জনগণের দাবি নিয়ে ইনসাফ যাত্রা সফল হবে । বাত (কথা বলা), সাথ (সঙ্গে থাকা), হাত (হাত ধরা), তিন বিষয় জুড়ে আমরা এগোবে । গোটা রাজ্য জুড়ে গরিব মানুষের টাকা কীভাবে লুঠ করা যায়, তা তৃণমূল করে দেখিয়েছে । সুন্দরভাবে কীভাবে গরিব মানুষকে নিঃশেষ করা যায়, তা তৃণমূল ক্ষমতায় না এলে রাজ্যের মানুষ জানতে পারত না ।"
আরও পড়ুন: টাটাকে ক্ষতিপূরণ ইস্যুতে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলছে বিজেপি-সিপিএম
সিঙ্গুর প্রসঙ্গে মীনাক্ষীর আরও দাবি, "সিঙ্গুরের কারখানাটা বন্ধ করে দিল । 80 শতাংশ তৈরি হওয়া কারখানা শেষ করে দিল । ধান ছড়িয়ে দিল । সর্ষে ছড়িয়ে দিল । ডিওয়াইএফআই কর্মীরা যখন ক্যামেরায় ভিডিয়ো নিয়ে বিডিও অফিস গেল, তারা বলল আমরা জানি না । মাটি কেটে মাছের ভেরি তৈরি হচ্ছে । যাঁরা ট্রেনিং প্রাপ্ত, তাঁরা আজ টোটো চালাচ্ছেন । ভিনরাজ্যে চলে যাচ্ছেন । তাঁদের গাল ভরা নাম দিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক ।’’
তাঁর অভিযোগ, পরিযায়ী শ্রমিকের হিসেব চেয়ে ডিওয়াইএফআই আরটিআই করে ৷ কিন্তু হিসেব দিতে পারছে না ঠিক নয়, হিসেব দিচ্ছে না সরকার । অন্যদিকে তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘কত শূন্য পদ, কত নিয়োগ হয়েছে । সরকার কৌশল করে উত্তর এড়িয়ে গেল । রাজ্য সরকারি পুলিশে দেড় লক্ষ্য নিয়োগ ? যাঁরা 7-8 হাজার টাকায় সিভিকে কাজ করছেন, তাঁদের ডিগনিটি কি আছে ? এই নকল যুদ্ধ, ডুপ্লিকেট ইস্যু বাদ দিতে হবে । এর বাইরে আসল ইস্যুতে দু’মাস রাস্তায় থাকব । ওয়ার্ক ফর জাস্টিস, আমাদের লড়াই ।"
আরও পড়ুন: সিঙ্গুর নিয়ে টাটাকে ক্ষতিপূরণের রায়ের বিরুদ্ধে আইনি পথে রাজ্য