ETV Bharat / state

পাল-সেন যুগের কীর্তি ! দামোদরের চরে উদ্ধার 1000 বছরের প্রাচীন সূর্য মূর্তি - ANCIENT SCULPTURE FOUND IN BENGAL

দামোদর নদের চরে উদ্ধার হয়েছে একটা কালো ব্যাসাল্ট পাথরের সূর্য মূর্তি। এই মূর্তিটি পাল-সেন যুগের তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে ।

Pala-Sena era sculpture
দামোদরের চরে উদ্ধার পাল-সেন যুগের সূর্য মূর্তি (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 15, 2025, 8:36 AM IST

রায়না, 15 জানুয়ারি: দামোদর নদের চর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটা কালো ব্যাসাল্ট পাথরের সূর্য মূর্তি। অনুমান করা হচ্ছে, মূর্তিটি দশম-একাদশ শতকে তৈরি। অর্থাৎ, পাল-সেন যুগে তৈরি হয়েছিল এই মূর্তিটি । বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামে ও আর্ট গ্যালারিতে মূর্তিটি রাখা হয়েছে।

দিন কয়েক আগে দামোদর নদের চরে কয়েকজন ছেলে পিকনিক করতে গিয়েছিল। এদিক ওদিক ঘুরতে ঘুরতে তাদের চোখে পড়ে দামোদর নদের চরে একটা কালো পাথর পড়ে আছে। তারা এগিয়ে গিয়ে বালি সরিয়ে দেখে একটা প্রস্তর মূর্তি। তারা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় সেই খবর পাওয়ার পরে পুলিশকে জানায়। এরপর পুলিশ গিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করে। পরে সেই মূর্তি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে অনুমান, যে মূর্তিটা উদ্ধার হয়েছে, সেটা পাল ও সেন যুগের সূর্য মূর্তি।

জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার নতু গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিপুর সংলগ্ন দামোদর নদের চরে পিকনিক করতে যায় রাজকুমার কুন্ডু, মানিক চাঁদ, সঞ্জয় তা-সহ বেশ কয়েকজন যুবক। এদিকে ওদিকে ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে তারা দেখতে পায় দামোদর নদের চরে একটা কালো শিলা মূর্তি পড়ে আছে। তারা এগিয়ে গিয়ে বালি সরিয়ে দেখেন তিন চার ফুটের একটা কালো মূর্তি সেখানে পড়ে আছে। তারা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয় পুলিশকে। পুলিশ গিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করে।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দামোদর নদের চর থেকে একটা কালো ব্যাসল্ট পাথরের তৈরি। পাল ও সেন যুগের হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মূর্তিটির উচ্চতা তিন ফুট চওড়া প্রায় দেড় ফুট। এই মূর্তিতে সাত ঘোড়া যুক্ত একটা রথে সূর্য দেব বসে আছেন। তার দুই হাতে আছে পদ্ম। রথে আছে সারথী ও বেশ কয়েকজন সঙ্গী। এছাড়া, মূর্তির দুই পাশে আছে উষা ও প্রতুষা নামে দুই নারী।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক শ্যামসুন্দর বেরা বলেন, "দামোদর নদের চর থেকে একটা প্রাচীন মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। খুব সম্ভবত মূর্তিটি পাল-সেন যুগের। তিন ফুট উচ্চতার চওড়া মূর্তিটির ওজন প্রায় একশো কেজিরও বেশি। হয়তো দামোদর নদে বন্যার কারণে মূর্তিটা নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছিল। তবে মূর্তিটার মুখ কিছুটা হলেও বিকৃত করা আছে। মূর্তিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামে রাখা আছে।"

রায়না, 15 জানুয়ারি: দামোদর নদের চর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটা কালো ব্যাসাল্ট পাথরের সূর্য মূর্তি। অনুমান করা হচ্ছে, মূর্তিটি দশম-একাদশ শতকে তৈরি। অর্থাৎ, পাল-সেন যুগে তৈরি হয়েছিল এই মূর্তিটি । বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামে ও আর্ট গ্যালারিতে মূর্তিটি রাখা হয়েছে।

দিন কয়েক আগে দামোদর নদের চরে কয়েকজন ছেলে পিকনিক করতে গিয়েছিল। এদিক ওদিক ঘুরতে ঘুরতে তাদের চোখে পড়ে দামোদর নদের চরে একটা কালো পাথর পড়ে আছে। তারা এগিয়ে গিয়ে বালি সরিয়ে দেখে একটা প্রস্তর মূর্তি। তারা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় সেই খবর পাওয়ার পরে পুলিশকে জানায়। এরপর পুলিশ গিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করে। পরে সেই মূর্তি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে অনুমান, যে মূর্তিটা উদ্ধার হয়েছে, সেটা পাল ও সেন যুগের সূর্য মূর্তি।

জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার নতু গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিপুর সংলগ্ন দামোদর নদের চরে পিকনিক করতে যায় রাজকুমার কুন্ডু, মানিক চাঁদ, সঞ্জয় তা-সহ বেশ কয়েকজন যুবক। এদিকে ওদিকে ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে তারা দেখতে পায় দামোদর নদের চরে একটা কালো শিলা মূর্তি পড়ে আছে। তারা এগিয়ে গিয়ে বালি সরিয়ে দেখেন তিন চার ফুটের একটা কালো মূর্তি সেখানে পড়ে আছে। তারা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয় পুলিশকে। পুলিশ গিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করে।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দামোদর নদের চর থেকে একটা কালো ব্যাসল্ট পাথরের তৈরি। পাল ও সেন যুগের হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মূর্তিটির উচ্চতা তিন ফুট চওড়া প্রায় দেড় ফুট। এই মূর্তিতে সাত ঘোড়া যুক্ত একটা রথে সূর্য দেব বসে আছেন। তার দুই হাতে আছে পদ্ম। রথে আছে সারথী ও বেশ কয়েকজন সঙ্গী। এছাড়া, মূর্তির দুই পাশে আছে উষা ও প্রতুষা নামে দুই নারী।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক শ্যামসুন্দর বেরা বলেন, "দামোদর নদের চর থেকে একটা প্রাচীন মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। খুব সম্ভবত মূর্তিটি পাল-সেন যুগের। তিন ফুট উচ্চতার চওড়া মূর্তিটির ওজন প্রায় একশো কেজিরও বেশি। হয়তো দামোদর নদে বন্যার কারণে মূর্তিটা নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছিল। তবে মূর্তিটার মুখ কিছুটা হলেও বিকৃত করা আছে। মূর্তিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামে রাখা আছে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.