ETV Bharat / state

Vishwakarma Puja 2023: পৌরনিগমে বিশ্বকর্মা পুজো আয়োজনে সম্প্রীতির ছবি, উচ্ছ্বসিত মেয়র ফিরহাদ - বিশ্বকর্মা পুজো

সম্প্রীতির ছবি কলকাতা পৌরনিগমের বিশ্বকর্মা পুজোয় ৷ এখানকার পুজোয় আয়োজনে দেখা গেল আফসারা মুমতাজ নামে এক মুসলিম মহিলাকে ৷ এই দৃশ্য দেখে খুশি মেয়র ফিরহাদ হাকিমও ৷

ETV Bharat
কলকাতা পৌরনিগমের বিশ্বকর্মা পুজোয় ফিরহাদ হাকিম
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 18, 2023, 10:44 PM IST

কলকাতা, 18 সেপ্টেম্বর: বিদ্বেষ নয়, বরং সম্প্রীতির মেল বন্ধনের ছবি ধরা দিল কলকাতা কর্পোরেশনের বিশ্বকার্মা পুজোয় । পুজো চেহারা নিল উৎসবের । মুছে গেল ধর্মের ভেদাভেদ । কলকাতা পৌরনিগমে বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজনে দেখা গেল এই সৌজন্যের ছবি । বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে পৌর ভবনের প্রতিটি বিভাগে পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল সোমবার । এদিন সকাল থেকেই সাজো সাজো রব কর্পোরেশন জুড়ে ।

এদিন পৌরনিগমের বিভিন্ন বিভাগের বিশ্বকর্মা পুজো পরিদর্শনে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, পৌর কমিশনার বিনোদ কুমার । প্রতিটি বিভাগ ঘুরে সেক্রেটারি ডিপার্টমেন্টে আসতেই অবাক কাণ্ড । ঠাকুরের পুজোর জোগাড় যন্ত্র করতে ব্যস্ত বিভাগের কর্মী আফসারা মুমতাজ । পাশে দাঁড়িয়ে চন্দনা কাঞ্জিলাল, ইন্দ্রনীল লাহিড়ী । এমন মিলমিশ দেখে তাঁকে কাছে ডাকেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম । বলেন, "এটাই আমাদের বাংলা । আমাদের সংস্কৃতি । এখানে বিশ্বকর্মা পুজোয় হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেন হিন্দু-মুসলিমরা ৷ ইদের দিনেও একসঙ্গে আনন্দে মাতেন দুই ধর্মের মানুষ ।"

মুমতাজ দায়িত্ব নিয়েই এদিন পুজোর অঞ্জলী থেকে শুরু করে সমস্ত কাজই হাতে হাত মিলিয়ে করেছেন । পুজো শেষে পাত পেড়ে ভোগ খেয়েছেন একসঙ্গে । পরিবেশন করেছেন বাকিদের পাতে । তাঁর সহকর্মী ইন্দ্রনীল লাহিড়ী বলেন, "সারাটা বছর একসঙ্গে কাজ করি । কোনও দিন ধর্মের ভিত্তিতে আমরা ভবি না । আমরা সকলেই একে অপরের উৎসব অনুষ্ঠানে আনন্দ ভাগ করে নিই ।"

আরও পড়ুন: নতুন শিল্প স্থাপনের স্বপ্ন, রূপনারায়ণপুরে বন্ধ কারখানায় বিশ্বকর্মা পুজো শ্রমিকদের

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে মন্দিরে প্রবেশ করার অপরাধে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে এক মুসলিম যুবককে । এই ঘটনার নিন্দে করে ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, বাংলায় এ ছবি নেই । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার । সেই বার্তা মেনে চলে কলকাতা কর্পোরেশন । ডেপুটি মেয়রের কথায়, কর্পোরেশন শতাধিক বছরের একটি প্রতিষ্ঠান । এই প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ‌্য মেনেই এখানে বিশ্বকর্মা পুজো, সরস্বতী পুজো সমস্ত ধর্মাবলম্বী মানুষ একসঙ্গে আয়োজন করে থাকেন ।

কলকাতা, 18 সেপ্টেম্বর: বিদ্বেষ নয়, বরং সম্প্রীতির মেল বন্ধনের ছবি ধরা দিল কলকাতা কর্পোরেশনের বিশ্বকার্মা পুজোয় । পুজো চেহারা নিল উৎসবের । মুছে গেল ধর্মের ভেদাভেদ । কলকাতা পৌরনিগমে বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজনে দেখা গেল এই সৌজন্যের ছবি । বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে পৌর ভবনের প্রতিটি বিভাগে পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল সোমবার । এদিন সকাল থেকেই সাজো সাজো রব কর্পোরেশন জুড়ে ।

এদিন পৌরনিগমের বিভিন্ন বিভাগের বিশ্বকর্মা পুজো পরিদর্শনে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, পৌর কমিশনার বিনোদ কুমার । প্রতিটি বিভাগ ঘুরে সেক্রেটারি ডিপার্টমেন্টে আসতেই অবাক কাণ্ড । ঠাকুরের পুজোর জোগাড় যন্ত্র করতে ব্যস্ত বিভাগের কর্মী আফসারা মুমতাজ । পাশে দাঁড়িয়ে চন্দনা কাঞ্জিলাল, ইন্দ্রনীল লাহিড়ী । এমন মিলমিশ দেখে তাঁকে কাছে ডাকেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম । বলেন, "এটাই আমাদের বাংলা । আমাদের সংস্কৃতি । এখানে বিশ্বকর্মা পুজোয় হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেন হিন্দু-মুসলিমরা ৷ ইদের দিনেও একসঙ্গে আনন্দে মাতেন দুই ধর্মের মানুষ ।"

মুমতাজ দায়িত্ব নিয়েই এদিন পুজোর অঞ্জলী থেকে শুরু করে সমস্ত কাজই হাতে হাত মিলিয়ে করেছেন । পুজো শেষে পাত পেড়ে ভোগ খেয়েছেন একসঙ্গে । পরিবেশন করেছেন বাকিদের পাতে । তাঁর সহকর্মী ইন্দ্রনীল লাহিড়ী বলেন, "সারাটা বছর একসঙ্গে কাজ করি । কোনও দিন ধর্মের ভিত্তিতে আমরা ভবি না । আমরা সকলেই একে অপরের উৎসব অনুষ্ঠানে আনন্দ ভাগ করে নিই ।"

আরও পড়ুন: নতুন শিল্প স্থাপনের স্বপ্ন, রূপনারায়ণপুরে বন্ধ কারখানায় বিশ্বকর্মা পুজো শ্রমিকদের

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে মন্দিরে প্রবেশ করার অপরাধে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে এক মুসলিম যুবককে । এই ঘটনার নিন্দে করে ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, বাংলায় এ ছবি নেই । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার । সেই বার্তা মেনে চলে কলকাতা কর্পোরেশন । ডেপুটি মেয়রের কথায়, কর্পোরেশন শতাধিক বছরের একটি প্রতিষ্ঠান । এই প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ‌্য মেনেই এখানে বিশ্বকর্মা পুজো, সরস্বতী পুজো সমস্ত ধর্মাবলম্বী মানুষ একসঙ্গে আয়োজন করে থাকেন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.