কলকাতা, 10 জুন: রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঘোষণা করেছে বৃহস্পতিবার । শুক্রবার থেকেই মনোনয়ন জমা পড়তে শুরু করেছে। প্রথম দিনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে মনোনয়ন জমা দিতে গেলে দেখা যায় অনেক জায়গাতেই উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই ৷ কোথাও টেবিল আছে কর্মী নেই । কোথাও আবার কর্মী আছেন কিন্তু তিনি মনোনয়ন জমা নেওয়ার প্রশিক্ষণ পাননি। আর জেলায় জেলায় এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম তীব্র আক্রমণ শানালেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে।
ক্ষোভ উগরে দিয়ে তাঁর মন্তব্য, "পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আমরা প্রথম দিন থেকেই প্রস্তুত ছিলাম। এখন দেখছি ভোট নিয়ে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনই প্রস্তুত নয়।" নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বের প্রথম দিন চূড়ান্ত অব্যবস্থা নজরে এল প্রায় এসব জেলায়। এই ঘটনায় প্রায় সব বিরোধী দলই তোপ দেগেছে।
নয়া নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহার নাম না-করেই সেলিম বলেন, "পরিকাঠামো তৈরি করা, কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া বা ফর্ম রাখা সবটাই প্রশাসনের কাজ। রাজ্য সরকারের একজন অবসরপ্রাপ্ত শীর্ষ আধিকারিককে কমিশনার করা হল। তিনি ভাবছেন, এলাম দেখলাম, জয় করলাম এই মনোভাব নিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করবেন!" নির্বাচন ঘোষণার পরেই সমস্ত জেলা প্রশাসনের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করেন তিনি। তবে একদম নীচুতলার কর্মীদের কোনও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি নির্বাচন সমস্ত প্রক্রিয়া নিয়ে।
এদিন সেলিম এই প্রসঙ্গে জানান, সকাল থেকে বামফ্রন্ট কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন। অনেক জায়গায় বিলম্ব হয়েছে ঠিকই তবে অনেক জায়গায় মনোনয়ন জমাও দেওয়া গিয়েছে। কিছু জায়গায় আগামিকাল দেওয়া হবে। দলের সবব প্রার্থীকেই অভিনন্দন জানিয়েছেন রাজ্য় সম্পাদক।
আরও পড়ুন: মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার মেয়াদ বাড়াতে পারে কমিশন
তাঁর অভিযোগ, মানুষের ক্ষোভ না-বুঝে কিছু জায়গায় তৃণমূল বাধা দিতে চেয়েছে। পুলিশেরও প্রস্তুতি ছিল বলে মনে হয় না। কিছু জায়গায় ব্লকে সর্বদলীয় বৈঠক হয় এটা আগেই করা দরকার ছিল। এটা নির্বাচন কমিশনের মাথায় এল না! এর পরেই সেলিম ক্ষোভ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, "নির্বাচনের বিষয় একজন জানলেই হবে. এমন ভাবনা একনায়কতন্ত্রের সামিল। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মাথায় বসে এসব কাজ করা চলবে না।"