কলকাতা, 26 এপ্রিল: কালিয়াগঞ্জ ইস্যুতে বর্তমানে উত্তপ্ত রাজ্যে রাজনীতি । বিষয়টি নিয়ে জাতীয় স্তরের রাজনীতিতেও জলঘোলা কম হচ্ছে না । বিষয়টি নিয়ে আসরে নেমেছে বিজেপি ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে মুখ খুলেছেন ৷ নাবালিকার দেহ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বুধবার জানিয়েছেন, পুলিশের ভুল হয়েছে, ওইভাবে দেহ নিয়ে যাওয়া ঠিক হয়নি ৷ এই প্রসঙ্গে এদিন রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেছেন মহম্মদ সেলিম ৷ রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী কেন ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন না; সেই প্রশ্নও তুলেছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ৷
কালিয়াগঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মহম্মদ সেলিম ৷ বুধবার তিনি জানান, কালিগঞ্জ থেকে দলের কাছে ফোন আসছে, সেখানে মানুষ আতঙ্কে কাঁপছে ৷ এই ঘটনা নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ঝামেলা লাগিয়ে অশান্তি তৈরির চেষ্টা চলছে ৷ সেলিমের কথায়,"কালিয়াগঞ্জ হোক বা হাথরস বা কাশ্মীর। সব জায়গাতেই তৃণমূল আর বিজেপি জাতপাত, হিন্দু-মুসলিম ধর্মের নামে ভাগ করার চেষ্টা করছে। কালিয়াগঞ্জ যা এখন ঘটছে তা মানুষের রাগের কারণ। গোটা রাগটাই শাসকদলের বিরুদ্ধে। প্রশাসনের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রী কেন যাচ্ছেন না সেখানে? ভাইপো উত্তরবঙ্গে আছেন তিনিও তো যেতে পারতেন । শুধু পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেই হবে না, পুলিশমন্ত্রী তিনিও যাচ্ছেন না কেন কালিয়াগঞ্জের নির্যাতিতার বাড়িতে?"
কালিয়াগঞ্জ-সহ রাজ্যের একাধিক এলাকার ঘটনাকে সামনে এনে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মহম্মদ সেলিম ৷ তাঁর প্রশ্ন, "পুলিশ কেন দেহ টেনে নিয়ে গেল ? রিপোর্টের আগেই কেন পুলিশ আগ বাড়িয়ে মন্তব্য করছে? আইন বলবৎ করতে হবে পুলিশ-প্রশাসনকে। তা না হলে মানুষের রাগ ক্রোধ সামলানো যাবে না।"
আরও পড়ুন: বিহার থেকে লোক এনে কালিয়াগঞ্জে পুলিশের উপর হামলা, অভিযোগ মমতার
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় কালিয়াগঞ্জ থানায় ৷ সেই খবর পেয়ে তাঁর দিল্লি সফর কাটছাঁট করে দ্রুত রাজ্যে ফিরেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ রাজ্যের থেকে রিপোর্টও তলব করেছেন রাজ্যপাল ৷ তবে তিনি কালিয়াগঞ্জ যাবেন কি না, সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি ৷ এই প্রসঙ্গে মহম্মদ সেলিম বলেন,"রাজ্যপাল কখন কালিয়াগঞ্জে যাবেন তা জানতে চাই ।"