কলকাতা, 9 জুন: টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে মিউটেশন, বেআইনি বাড়ি, নিকাশি বা জঞ্জাল সাফাই সমস্যার অভিযোগ আকছার আসে । আজও তার অন্যথা হয়নি । তবে অনলাইনে চেষ্টা করেও 'পর্দা কর' পুনর্নবীকরণ করা সম্ভব হচ্ছে না - এমন অভিযোগ শুনে আকাশ থেকে পড়লেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম । তিনি অকপটে স্বীকার করে নিলেন যে, "এই প্রথম শুনলাম এমন কর আছে ৷" বিষয়টি যাতে অনলাইন পরিষেবা করা যায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিলেন তিনি ।
কলকাতা পৌরনিগমের সিংহভাগ কর্মকাণ্ডই এখন নেট দুনিয়ায় । অর্থাৎ অনলাইন পরিষেবা । তাতেই দোকানের ট্রেড লাইসেন্সও এখন অনলাইনেই আবেদন থেকে পুনর্নবীকরন হয়ে থাকে। কিন্তু এ দিন এক দোকানদার এই অনুষ্ঠানে ফোন করে অভিযোগ করেন, তিনি নিয়ম মাফিক দোকানের লাইসেন্সের সঙ্গে পর্দা কর পুনর্নবীকরণ করেন । কিন্তু অনলাইন মারফত করতে গিয়ে দেখছেন এমন কোনও করের উল্লেখ নেই অনলাইন পরিষেবায় ।
এই ঘটনা শুনে তাজ্জব হয়ে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজেই । আধিকারিকদের জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন এই কর বহু পুরনো । যাঁদের দোকান আছে তাঁদের যেমন ট্রেড লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করতে হয়, তেমন দোকানে রোদ ও বর্ষার জলের ঝাপটা ঠেকাতে দোকানের সামনের শেডে পর্দা লাগাতেও একটি কর দিয়ে হয় । একে পর্দা কর বলে ।
আরও পড়ুন: রাস্তায় বাতিস্তম্ভে বিজ্ঞাপন কাঠামো কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, সমীক্ষায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে খবর, কলকাতায় এই কর চালু থাকলেও উত্তর কলকাতার নির্দিষ্ট কিছু অংশের দোকানদার এই কর দিয়ে থাকেন । কলকাতার সব অংশে লোকবলের অভাবে এই কর কলকাতা পৌরনিগমের পক্ষে আদায় করা সম্ভব হয় না । বড়বাজার-সহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে বার্ষিক প্রায় 45-50 লক্ষ টাকা আয় হয় । এই কর যদি কলকাতার সব অংশের দোকানদারের থেকে আদায় করা হয়, তাহলে আয় বেড়ে দাঁড়াবে 4-5 কোটি টাকা । সেই ব্যবস্থা় করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ।
এ দিন মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "বহু পুরনো আমল থেকে এই কর চালু আছে । আমি শুনলাম প্রথম ।" এই কর যাঁরা দিতে চান তাঁদের যাতে অসুবিধা না হয়, সেই ব্যবস্থা করতে তিনি নির্দেশ দেন আধিকারিকদের । পাশাপশি ট্রেড লাইসেন্সের মতোই এই কর যাতে অনলাইনে দিতে পারেন দোকানদাররা, সেই জন্য পোর্টাল আপডেট করতে বলা হয় আইটি বিভাগকে ।