ETV Bharat / state

রাজ্যে কোরোনা আক্রান্তের সংখ‍্যা গোপন করা হচ্ছে, দাবি একাংশ সরকারি চিকিৎসকের

রাজ্যে কোরোনায় আক্রন্তের সংখ্যা অনেক বেশি । কিন্তু তা চেপে যাওয়া হচ্ছে । এমনই অভিযোগ তুললেন সরকারি চিকিৎসকদের একাংশ ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Apr 2, 2020, 12:47 PM IST

কলকাতা, 2 এপ্রিল : রাজ‍্যে নভেল কোরোনা ভাইরাস (COVID-19)-এ প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি । আক্রান্তের সংখ্যা চেপে যাওয়া হচ্ছে । এমনই অভিযোগ তুলল রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের একাংশ । এই রাজ্যের পরিস্থিতি থার্ড, ফোর্থ স্টেজে পৌঁছানোর আগে যাতে তা রুখে দেওয়া সম্ভব হয়, তার জন্য আরও বেশি সংখ্যক নমুনা পরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন সরকারি এই চিকিৎসকরা ।

গতরাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের ঘোষণা অনুযায়ী, এরাজ্যে 37 জন COVID-19 আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে । তাঁদের মধ‍্যে তিন আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে । তিনজন COVID-19 আক্রান্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন । যদিও, একইসঙ্গে রাজ‍্যের স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, 57 এবং 62 বছর বয়সি যে দুই COVID-19 আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে তাদের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে । এর আগে বুধবার বিকালে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পশ্চিমবঙ্গে মোট কোরোনা পজ়িটিভ কেস 37 । এর মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে । এই তিনজনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে নিউমোনিয়ায় ।

মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের জেরে সমালোচনা শুরু হয়েছে । এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের পরে জানা যায়, এরাজ্যে আরও এক COVID-19 আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে পঞ্চসায়রের বেসরকারি একটি হাসপাতালে । এনিয়ে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এরাজ্যে COVID-19 আক্রান্তের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 7।

রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের একটি সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, চিকিৎসক সজল বিশ্বাস বলেন, "এরাজ‍্যে COVID-19-এ মৃত্যুর সংখ্যা 7, যা অত‍্যন্ত উদ্বেগজনক‌। রাজ‍্যে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ‍্যা অনেক বেশি । ঘটনা চেপে যাওয়া হচ্ছে । আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি‌।"

সরকারি চিকিৎসকদের এই সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা দেশের সঙ্গে এরাজ‍্যে যেভাবে আক্রান্তের সংখ‍্যা বেড়ে চলেছে, তা উদ্বেগের । এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, " আমাদের রাজ্যে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা গোপন করা হচ্ছে, তা আরও গভীর উদ্বেগের বিষয় । কারণ, যত বেশি রোগী রোগ নির্ণয়ের বাইরে থাকবেন, সমাজে তত বেশি রোগ ছড়িয়ে পড়বে । সব কিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।"

সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, এপর্যন্ত গোটা বিশ্বে মৃত্যুর হার 4.96 শতাংশের মধ্যে রয়েছে । সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার 3.1 শতাংশ । পশ্চিমবঙ্গে রোগীর সংখ্যা নির্ণয় করা হয়েছে মাত্র 37, মৃত্যু হয়েছে 7 জনের। অর্থাৎ, মৃত্যুর হার 16.21 শতাংশ। অর্থাৎ, এখানে বাস্তবে COVID-19-এর রোগীর সংখ্যা রয়েছে অনেক বেশি । যা অত্যন্ত বিপজ্জনক ।

চিকিৎসক সজল বিশ্বাস বলেন, "এরাজ‍্যের পরিস্থিতি থার্ড অথবা, ফোর্থ স্টেজে যাওয়ার আগে রক্ষা করতে হবে । এর জন্য দ্রুত নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়ে প্রকৃত COVID-19 আক্রান্তের সংখ্যা নির্ণয় করা হোক । প্রয়োজনে কোয়ারান্টাইনের ব্যবস্থা করা হোক।" সরকারি চিকিৎসকদের এমন অভিযোগের বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তীর বক্তব্য জানতে চেয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় । তবে, তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।

কলকাতা, 2 এপ্রিল : রাজ‍্যে নভেল কোরোনা ভাইরাস (COVID-19)-এ প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি । আক্রান্তের সংখ্যা চেপে যাওয়া হচ্ছে । এমনই অভিযোগ তুলল রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের একাংশ । এই রাজ্যের পরিস্থিতি থার্ড, ফোর্থ স্টেজে পৌঁছানোর আগে যাতে তা রুখে দেওয়া সম্ভব হয়, তার জন্য আরও বেশি সংখ্যক নমুনা পরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন সরকারি এই চিকিৎসকরা ।

গতরাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের ঘোষণা অনুযায়ী, এরাজ্যে 37 জন COVID-19 আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে । তাঁদের মধ‍্যে তিন আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে । তিনজন COVID-19 আক্রান্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন । যদিও, একইসঙ্গে রাজ‍্যের স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, 57 এবং 62 বছর বয়সি যে দুই COVID-19 আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে তাদের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে । এর আগে বুধবার বিকালে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পশ্চিমবঙ্গে মোট কোরোনা পজ়িটিভ কেস 37 । এর মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে । এই তিনজনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে নিউমোনিয়ায় ।

মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের জেরে সমালোচনা শুরু হয়েছে । এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের পরে জানা যায়, এরাজ্যে আরও এক COVID-19 আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে পঞ্চসায়রের বেসরকারি একটি হাসপাতালে । এনিয়ে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এরাজ্যে COVID-19 আক্রান্তের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 7।

রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের একটি সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, চিকিৎসক সজল বিশ্বাস বলেন, "এরাজ‍্যে COVID-19-এ মৃত্যুর সংখ্যা 7, যা অত‍্যন্ত উদ্বেগজনক‌। রাজ‍্যে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ‍্যা অনেক বেশি । ঘটনা চেপে যাওয়া হচ্ছে । আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি‌।"

সরকারি চিকিৎসকদের এই সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা দেশের সঙ্গে এরাজ‍্যে যেভাবে আক্রান্তের সংখ‍্যা বেড়ে চলেছে, তা উদ্বেগের । এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, " আমাদের রাজ্যে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা গোপন করা হচ্ছে, তা আরও গভীর উদ্বেগের বিষয় । কারণ, যত বেশি রোগী রোগ নির্ণয়ের বাইরে থাকবেন, সমাজে তত বেশি রোগ ছড়িয়ে পড়বে । সব কিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।"

সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, এপর্যন্ত গোটা বিশ্বে মৃত্যুর হার 4.96 শতাংশের মধ্যে রয়েছে । সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার 3.1 শতাংশ । পশ্চিমবঙ্গে রোগীর সংখ্যা নির্ণয় করা হয়েছে মাত্র 37, মৃত্যু হয়েছে 7 জনের। অর্থাৎ, মৃত্যুর হার 16.21 শতাংশ। অর্থাৎ, এখানে বাস্তবে COVID-19-এর রোগীর সংখ্যা রয়েছে অনেক বেশি । যা অত্যন্ত বিপজ্জনক ।

চিকিৎসক সজল বিশ্বাস বলেন, "এরাজ‍্যের পরিস্থিতি থার্ড অথবা, ফোর্থ স্টেজে যাওয়ার আগে রক্ষা করতে হবে । এর জন্য দ্রুত নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়ে প্রকৃত COVID-19 আক্রান্তের সংখ্যা নির্ণয় করা হোক । প্রয়োজনে কোয়ারান্টাইনের ব্যবস্থা করা হোক।" সরকারি চিকিৎসকদের এমন অভিযোগের বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তীর বক্তব্য জানতে চেয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় । তবে, তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.