কলকাতা, 3 সেপ্টেম্বর: রবিবাসরীয় সল্টলেক সিটি সেন্টারে এক মধ্যবয়সি ব্যক্তির রহস্যমৃত্যু ৷ সিটি সেন্টারের চারতলা থেকে পড়ে মৃত্যু হল চন্দন মণ্ডলের ৷ তিনি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে ৷ দুর্ঘটনার পর চন্দন মণ্ডলকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা ৷
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন মৃতের স্ত্রী, মা-সহ পরিবারের অন্যান্যরা ৷ চন্দন মণ্ডলের স্ত্রী'র দাবি বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ছিলেন তাঁর স্বামী ৷ তবে সেই অবসাদের জেরে চন্দন মণ্ডল যে আত্মহত্যা করেছেন, মানতে নারাজ পরিবারের সদস্যরা ৷ পরিবারের তরফে দাবি করা হচ্ছে কয়েকদিন ধরে কর্মক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপের মুখে ছিলেন চন্দন মণ্ডল ৷ যদিও মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই যাচ্ছে ৷
আরও পড়ুন: রাজারহাটে বৃদ্ধের গলার নলি কেটে খুন, এলাকায় উত্তেজনা
চন্দন মণ্ডলের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল জানান, এদিন দুপুরে স্বামীর নম্বর থেকে মোবাইলে একটি মেসেজ পান। সেখানে চন্দন বাবু লিখেছিলেন তিনি আর চাপ সহ্য করতে পারছেন না। এরপরই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা ৷ তবে চন্দন মণ্ডলের আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে রাজি নন তাঁর স্ত্রী বা মা কেউই ৷ পূর্বতন কোম্পানি এবং বর্তমান কোম্পানিকে এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করছেন মৃতের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস মণ্ডল ৷ দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগে হোয়াটস অ্যাপ বার্তার পাশাপাশি স্বামীর সঙ্গে ফোন কলেও কথা হয় বলে জানান তিনি ৷ কর্মক্ষেত্রে চাপের কারণে চন্দন মণ্ডল হতাশাগ্রস্ত ছিলেন, সংবাদমধ্যমকে জানান স্ত্রী ৷ বাড়ি ফিরে স্বামীকে এ বিষয়ে আলোচনা করার প্রস্তাবও দেন ৷ চন্দন মণ্ডলের স্ত্রী এও বলেন বর্তমান কোম্পানিতে প্রায় কাজও হারাতে বসেছিলেন তাঁর স্বামী ৷
এ ব্যাপারে বিধাননগর উত্তর থানায় ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস মণ্ডল ৷ তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ ৷ এছাড়া চন্দন মণ্ডল যে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন, সেই কোম্পানিতে কর্মরতদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ ৷ এদিকে চন্দন মণ্ডলের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আরজি কর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৷