কলকাতা, 11 সেপ্টেম্বর: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি-র তলব নিয়ে ফের সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর অভিযোগ, বারবার অভিষেককে হেনস্থা করা হচ্ছে ৷ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই ৷ বিদেশ সফরে যাওয়ার আগে নবান্ন থেকে মমতা আবারও বললেন, প্রতিহিংসার রাজনীতি করা হচ্ছে ৷
তিনি আজ বলেন, "অভিষেককে সারাক্ষণ হ্যারাস করে, ডিসটার্ব করে ৷ ওকে অকারণে বিরক্ত করা হচ্ছে ৷ অভিষেককে কখনও নিম্ন আদালতে, কখনও হাইকোর্টে, কখনও সুপ্রিম কোর্টে ছুটতে হচ্ছে বিচারের জন্য ৷ কী করেনি ওর বিরুদ্ধে ৷ কোনও প্রমাণ নেই ৷ তবু ওকে হেনস্থা করে ৷" মমতা এ দিন আরও বলেন, "ওরা যুব প্রজন্মকে বিরক্ত করতে চায় ৷ যুবরা হিম্মত দিয়ে লড়বে ৷ ওরা এটা মেনে নেবে না ৷"
এ দিন অভিষেক নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয়েছিল । নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, অভিষেককে তলব আসলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা । মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "রাজনীতিগতভাবে বিজেপির সঙ্গে আমাদের পার্থক্য রয়েছে । গণতন্ত্রে কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বোঝাপড়া হয়, কারও কারও সঙ্গে হয় না । কিন্তু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার একটা সীমা হয় । সেই সীমা অতিক্রম করে এমন কিছু করা উচিত নয়, যাকে পরবর্তী সময় তার উলটো ছবিও দেখা যেতে পারে । আজ আপনাদের সরকার ক্ষমতায় আছে বলে এ সব করছেন । আগামিকাল আরও একটা সরকার ক্ষমতায় আসতে পারে ৷ সে ক্ষেত্রে তারাও আপনাদের সঙ্গে একই রকম ব্যবহার করতে পারে । আমি মনে করি এমনটা কোনওভাবেই করা উচিত নয় ।"
এ প্রসঙ্গে বাম আমলের উদাহরণ তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি আমার বিরোধীদের সঙ্গে কখনও এই ধরনের ব্যবহার করি না । 34 বছর ক্ষমতায় ছিল ওরা । অথচ আমি সিপিএমের মন্ত্রীদের একজনকেও স্পর্শ করিনি । এটাই গণতন্ত্রের সৌজন্য ।"
এ দিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট করে দিয়েছেন, চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে যা হচ্ছে তাকে তিনি সমর্থন করেন না । মমতার কথায়, "এটা আমি ভালো চোখো দেখিনি ৷ তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের অধিকার রয়েছে সরকারের হাতে । কিন্তু প্রতিহিংসার রাজনীতি সমর্থনযোগ্য নয় । কারও সঙ্গেই প্রতিহিংসাবশত কিছু করা উচিত নয় । এমনটা করলে পরবর্তী সময়ে এটা তাদের জন্য বুমেরাং হতে পারে ।"
আরও পড়ুন: কী লেখা ছিল রাজ্যপালের গোপন চিঠিতে ? রহস্যের উদঘাটন মমতার