ETV Bharat / state

গণতন্ত্র নিয়ে রাজ্যপালের খোঁচা, শেষ দেখবেন মমতাও - গণতন্ত্র নিয়ে রাজ্যপালের খোঁচা

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কটাক্ষ করলেন । ঠিক তখনই রাজ্যপালের দিকে খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন মুখ্যমন্ত্রী । রাজ্যপাল সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছেন বলে মুখ্যমন্ত্রীর বাণ উড়ে এল রাজভবনের দিকে ।

Governor vs Mamata
রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত
author img

By

Published : Dec 5, 2019, 7:17 PM IST

কলকাতা, 5 ডিসেম্বর : সংবিধান দিবসে প্রকাশ্যে এসেছিল । আর গণতন্ত্রর মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে রাজ্য প্রশাসন - রাজ্যপাল বিরোধ আরও তীব্র হল । রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কটাক্ষ করলেন । ঠিক তখনই রাজ্যপালের দিকে খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন মুখ্যমন্ত্রী । রাজ্যপাল সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছেন বলে মুখ্যমন্ত্রীর বাণ উড়ে এল রাজভবনের দিকে ।

বিতর্ক শুরু হয়েছিল বিধানসভার গেট বন্ধকে কেন্দ্র করে । আজ বিধানসভা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ধনকড়, কিন্তু গেট বন্ধ থাকায় প্রথমে বিধানসভার ভিতরে ঢুকতে পারেননি । শুধু নির্ধারিত গেট নয় বন্ধ ছিল অন্যান্য গেটগুলিও । ছিলেন না রাজ্য প্রশাসনের কোনও কর্তারাও । এই পরিস্থিতি দেখে ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যপাল । রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিম্নমুখী বলে কটাক্ষ করেন । যদিও রাজ্যপালের সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজ্য প্রশাসনের উত্তর ছিল, অধিবেশন বন্ধ তাই বিধানসভাও বন্ধ । কিন্তু এই যুক্তি শুনেই মেজাজ হারান রাজ্যপাল । তাঁর দাবি, অধিবেশন বন্ধ থাকলেও বিধানসভা বন্ধ থাকার কোনও কারণ নেই ।

বিধানসভার বাইরে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পর হেঁটে অন্য গেট দিয়ে বিধানসভার ভিতরে ঢোকেন জগদীপ ধনকড় । কিন্তু সেখানেও তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য অধ্যক্ষ, মার্শাল কেউই উপস্থিত ছিলেন না । এমনকি, রাজ্যপাল-রাজভবনের জন্য নির্দিষ্ট চিত্রগ্রাহককেও প্রথমে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ । পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে ওঠে যে, রাজ্যপাল তাঁর কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষীকে নিয়েই রাজভবনের ভিতর ঢুকে যান । একইসঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে যান, "হৃদয় রক্তাক্ত হলেও তিনি থামবেন না ।" প্রায় ঘণ্টাখানেক বিধানসভায় ছিলেন রাজ্যপাল । তারপর ফিরে যান । কেন আজ বিধানসভায় গেলেন তিনি ? ধনকড়ের মন্তব্য, বিধানসভা একটি ঐতিহ্যশালী ভবন । এই ভবন পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি ।

জগদীপ ধনকড় যখন রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব । ঠিক তখনই এক অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ খুললেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । রাজভবন তথা রাজ্যপালের মাধ্যমে কেন্দ্র রাজ্য প্রশাসনের পাশাপাশি সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি । মমতার দাবি, "এর আগেও অনেক রাজ্যপালের সঙ্গে কাজ করেছি । কিন্তু এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়নি । "রাজভবনকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য প্রশাসনের কাজে হস্তক্ষেপ করছে বলে সরব হন মমতা । তাঁর দাবি, "রাজ্যে একটা সমান্তরাল সরকার চলছে । মহারাষ্ট্রের থেকেও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে ।" এরপরই তাঁর চ্যালেঞ্জ, "লড়াই চলুক । দেখি কী হয় ।"

জগদীপ ধনকড় রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই একাধিক ইশুতে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়েছেন । রাজ্যপালের কোনও মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সরকারের তরফে যিনি মূলত প্রতিক্রিয়া দেওয়ার দায়িত্বে থাকেন, মুখ খুলেছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও । রাজ্যপালের জনসংযোগ কর্মসূচিকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি । প্রয়োজনে চিড়িয়াখানায় যাওয়ার 'উপদেশও' দিয়েছেন তিনি ।

রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের এই চাপানউতোর যে ক্রমেই রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশকে তপ্ত করছে, তাতে সন্দেহ নেই । যেভাবে বিধানসভায় সংবিধান দিবস পালনের দিন মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল সৌজন্য বিনিময় ইশুতে পরিস্থিতি তপ্ত হয়েছিল তা ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক অনেক দূর গড়িয়েছে । বিষয়টি ক্রমেই তৃণমূল এবং গেরুয়া শিবিরের দ্বন্দ্বে পরিণত হচ্ছে তা এখন দিনের আলোর মত স্পষ্ট । রাজভবন-নবান্নর এই সংঘাত গঙ্গার স্রোত বয়ে কোথায় গিয়ে থামে, এখন সেটাই বড় প্রশ্ন ।

কলকাতা, 5 ডিসেম্বর : সংবিধান দিবসে প্রকাশ্যে এসেছিল । আর গণতন্ত্রর মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে রাজ্য প্রশাসন - রাজ্যপাল বিরোধ আরও তীব্র হল । রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কটাক্ষ করলেন । ঠিক তখনই রাজ্যপালের দিকে খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন মুখ্যমন্ত্রী । রাজ্যপাল সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছেন বলে মুখ্যমন্ত্রীর বাণ উড়ে এল রাজভবনের দিকে ।

বিতর্ক শুরু হয়েছিল বিধানসভার গেট বন্ধকে কেন্দ্র করে । আজ বিধানসভা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ধনকড়, কিন্তু গেট বন্ধ থাকায় প্রথমে বিধানসভার ভিতরে ঢুকতে পারেননি । শুধু নির্ধারিত গেট নয় বন্ধ ছিল অন্যান্য গেটগুলিও । ছিলেন না রাজ্য প্রশাসনের কোনও কর্তারাও । এই পরিস্থিতি দেখে ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যপাল । রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিম্নমুখী বলে কটাক্ষ করেন । যদিও রাজ্যপালের সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজ্য প্রশাসনের উত্তর ছিল, অধিবেশন বন্ধ তাই বিধানসভাও বন্ধ । কিন্তু এই যুক্তি শুনেই মেজাজ হারান রাজ্যপাল । তাঁর দাবি, অধিবেশন বন্ধ থাকলেও বিধানসভা বন্ধ থাকার কোনও কারণ নেই ।

বিধানসভার বাইরে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পর হেঁটে অন্য গেট দিয়ে বিধানসভার ভিতরে ঢোকেন জগদীপ ধনকড় । কিন্তু সেখানেও তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য অধ্যক্ষ, মার্শাল কেউই উপস্থিত ছিলেন না । এমনকি, রাজ্যপাল-রাজভবনের জন্য নির্দিষ্ট চিত্রগ্রাহককেও প্রথমে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ । পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে ওঠে যে, রাজ্যপাল তাঁর কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষীকে নিয়েই রাজভবনের ভিতর ঢুকে যান । একইসঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে যান, "হৃদয় রক্তাক্ত হলেও তিনি থামবেন না ।" প্রায় ঘণ্টাখানেক বিধানসভায় ছিলেন রাজ্যপাল । তারপর ফিরে যান । কেন আজ বিধানসভায় গেলেন তিনি ? ধনকড়ের মন্তব্য, বিধানসভা একটি ঐতিহ্যশালী ভবন । এই ভবন পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি ।

জগদীপ ধনকড় যখন রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব । ঠিক তখনই এক অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ খুললেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । রাজভবন তথা রাজ্যপালের মাধ্যমে কেন্দ্র রাজ্য প্রশাসনের পাশাপাশি সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি । মমতার দাবি, "এর আগেও অনেক রাজ্যপালের সঙ্গে কাজ করেছি । কিন্তু এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়নি । "রাজভবনকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য প্রশাসনের কাজে হস্তক্ষেপ করছে বলে সরব হন মমতা । তাঁর দাবি, "রাজ্যে একটা সমান্তরাল সরকার চলছে । মহারাষ্ট্রের থেকেও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে ।" এরপরই তাঁর চ্যালেঞ্জ, "লড়াই চলুক । দেখি কী হয় ।"

জগদীপ ধনকড় রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই একাধিক ইশুতে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়েছেন । রাজ্যপালের কোনও মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সরকারের তরফে যিনি মূলত প্রতিক্রিয়া দেওয়ার দায়িত্বে থাকেন, মুখ খুলেছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও । রাজ্যপালের জনসংযোগ কর্মসূচিকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি । প্রয়োজনে চিড়িয়াখানায় যাওয়ার 'উপদেশও' দিয়েছেন তিনি ।

রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের এই চাপানউতোর যে ক্রমেই রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশকে তপ্ত করছে, তাতে সন্দেহ নেই । যেভাবে বিধানসভায় সংবিধান দিবস পালনের দিন মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল সৌজন্য বিনিময় ইশুতে পরিস্থিতি তপ্ত হয়েছিল তা ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক অনেক দূর গড়িয়েছে । বিষয়টি ক্রমেই তৃণমূল এবং গেরুয়া শিবিরের দ্বন্দ্বে পরিণত হচ্ছে তা এখন দিনের আলোর মত স্পষ্ট । রাজভবন-নবান্নর এই সংঘাত গঙ্গার স্রোত বয়ে কোথায় গিয়ে থামে, এখন সেটাই বড় প্রশ্ন ।

New Delhi, Dec 05 (ANI): Full of anger, several people came out to protest over the recent crimes against women on December 05. 'We want justice', slogans were raised by the furious protestors near Rashtrapati Bhavan. Recently, several brutal crimes against women including rapes and murders have come to light. Meanwhile, DWC Chairperson is also on an indefinite hunger strike unless centre assures death penalty to rapists within 6 months. A man with his daughter also raised his voice at Vijay Chowk.

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.