কলকাতা, 2 অগস্ট: বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যের বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সমালোচনা করতে গিয়ে প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের তুলনা টানলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ "বিরোধ থাকা সত্ত্বেও প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় কখনও এরকম সিদ্ধান্ত নেননি ৷" এই মন্তব্যও করেন তিনি ৷
রাজ্যে দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগ জানতে বুধবারই রাজভবনে স্পেশাল সেল খুলেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । এই বিষয়টি নিয়ে উষ্মাও প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এদিন নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের এই ভূমিকার সমালোচনা করেন তিনি । এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "রাজ্যপাল মহাশয় দুর্নীতি নিয়ে স্পেশাল সেল করছেন। এটা কিন্তু রাজভবনের কাজ নয়। রাজ্যপালকে আমরা শ্রদ্ধা করি । তিনি নিজে একটা সেল তৈরি করে নিয়েছেন। যেটা রাজ্য সরকারের অধিকার। রাজ্যের অধিকারে অযাচিত হস্তক্ষেপ করছেন তিনি ৷"
আরও পড়ুন: বঞ্চনার প্রতিবাদে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক মমতার
রাজ্যপাল বিজেপি ও কেন্দ্রের ইশারায় চলছেন বলেও অভিযোগ মমতার ৷ তাঁর কথায়, "মুখোশের আড়ালে বিজেপি যা বলছেন তাই করছেন উনি । কাউকে জলখাবারে ডেকে ভিসি করে দেওয়া হচ্ছে । কাউকে আবার খেতে ডেকে ভিসি করছেন। শিক্ষা জগতের লোক নন তাঁকে এনেও উপাচার্য পদে বসাচ্ছেন রাজ্যপাল । এটা নিয়ে আমি রাজ্যপালকে দোষ দিই না । সব কেন্দ্রের ইশারায় হচ্ছে ।"
আরও পড়ুন: মমতার অনুপ্রেরণায় রাজভবনে দুর্নীতি বিরোধী সেল, ঘোষণা রাজ্যপালের
উপাচার্য নিয়োগ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করে এদিন আরও বলেন, "উনি বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে এক্সপার্ট তৈরি করছেন । কেন বাংলায় যোগ্য লোক নেই ! বাইরের লোক নিশ্চয়ই আসতে পারেন, উপাচার্য হতেও পারেন। তা নিয়ে আপত্তি করছি না। কিন্তু যে পদ্ধতিতে এসব করা হচ্ছে সেখানেই আপত্তি । উপাচার্যের নাম তো রাজ্য পাঠাবে, রাজ্যপাল কেন করবেন? রাজ্যপালের কাজ তো আইনে বাঁধা। যা সংবিধানসম্মত সেটাই করবেন তিনি । কখনও কেরলের একজনকে নিয়ে এসে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চেয়ারম্যান করে দিয়েছেন। নিয়ম ছিল আমরা তিনটে নাম পাঠাব। তার মধ্যে থেকে একজনকে বেছে নেবেন তিনি । এই নিয়ে জগদীপ ধনকড় যখন রাজ্যপাল ছিলেন আমাদের সঙ্গে অনেক বিরোধ হয়েছে, ঝগড়াও হয়েছে, কিন্তু তিনি কখনও এমনটা করেননি ।"