কলকাতা, 16 মার্চ: বুধবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে ইউক্রেন থেকে আসা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এদিন রাজ্যেই তাঁদের পড়াশোনার সুযোগের ব্যবস্থার করার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এমনকি তাঁদের স্টাইপেন্ড দেওয়ার ব্য়বস্থা করা বলেও জানান তিনি ৷ চতুর্থ বর্ষের মেডিক্যাল ছাত্রদের সরকারি ও বেসরকারি কলেজে পড়ার সুযোগ করে দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী ৷ এ নিয়ে মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া-কে চিঠি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি ৷ এদিনের অনুষ্ঠানে ইউক্রেন ফেরত 391 জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন 364 জন ৷
ইউক্রেন থেকে আসা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বুধবার কথা বললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী(Mamata on Ukraine Students)৷ শুনলেন তাঁদের অসুবিধার কথা ৷ এরপর তিনি পড়ুয়াদের সুবিধার জন্য় ঘোষণা করলেন কিছু পরিকল্পনা ৷
জানা গিয়েছে, ইউক্রেন থেকে প্রায় 391 জন ছাত্রছাত্রী ফিরেছেন, তাঁদের মধ্যে 11 জন ইন্টার্ন ৷ এদিন তাঁদের সমস্ত কথা শুনে মুখ্য়মন্ত্রী জানান, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের পাশাপাশি মেডিক্যালে ইন্টার্নদের সুবিধা দেওয়া হবে ৷ এমনকি সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে তাঁদের ইন্টার্নশিপ করতে দেওয়া হবে ৷ ব্যবস্থা করা হবে স্টাইপেন্ডেরও ৷ চতুর্থ ও পঞ্চম বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে ইন্টার্নশিপের অনুমতির জন্য চিঠি দেওয়া হবে ৷ এমনকি প্রথম বর্ষে যদি কোনও পড়ুয়া ভর্তি হতে চান তাহলে তাঁর জন্য়ও বিশেষ ব্যবস্থা নেবে রাজ্য় সরকার ৷ তিনি জানান, প্রথম বর্ষের পাশাপাশি দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের জন্যও মেডিক্য়াল কমিশনের অনুমতি নিতে হবে। যদি মেডিক্যাল কাউন্সিল কমিশন অনুমতি দেয় তাহলে রাজ্য সরকারের জন্য় ধার্য ফি-তেই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করা হতে পারে।
আরও পড়ুন : যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরলেন জয়নগরের ডাক্তারি পড়ুয়া
মুখ্য়মন্ত্রী আরও জানান, রাজ্য়ের এ সকল পরিকল্পনায় মেডিক্যাল কাউন্সিল যদি আপত্তি করে তাহলে তিনি সবাইকে নিয়ে দিল্লিতে দেখা করতে যাবেন ৷ ইউক্রেন থেকে আসা পড়ুয়ারা ইতিমধ্য়ে অনেক টাকা খরচ করেছে সেই কথা মাথায় রেখে তিনি ঘোষণা করেন, মেডিক্য়াল ছাত্রছাত্রীদের জন্য় রাজ্য সরকার স্কলারশিপ হিসাবে অর্ধেক টাকা দেবে এবং বাকি টাকা দেবে বেসরকারি মেডিক্য়াল কলেজ কর্তৃপক্ষ ৷
মেডিক্যালের পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ার পড়ুয়াদের পড়ার সুযোগ করবে রাজ্যে সরকার ৷ এদিনের অনুষ্ঠানে পড়ুয়ারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইউক্রেনে কাজ হারানো কিছু মানুষ ৷ তাঁরা তাঁদের অসুবিধার কথা তুলে ধরতে মুখ্য়মন্ত্রী আশ্বাস দেন, এ রাজ্য়ে তাঁদের কাজের ব্য়বস্থা করা হবে ৷ এ নিয়ে তাঁদের তিনি পিভি সেলিমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন ৷
শেষে মুখ্য়মন্ত্রী জানতে চান এদেশে থেকে কতজন পড়াশুনা করতে চান ৷ সেই প্রশ্নের উত্তরে সব পড়ুয়াই সহমত দেয় ৷ সার্বিকভাবে বাংলাতেই যে মিলবে পড়াশোনার সুযোগ তা এদিন মুখ্য়মন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন ৷