দার্জিলিং, 6 জানুয়ারি: বছর শুরুতে পাহাড়ে ছুটি কাটাতে গিয়ে দু'টি পৃথক জায়গায় মৃত্যু হল দুই বাঙালি পর্যটকের। তাঁদের মধ্যে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে পাহাড়ের রাস্তার ধারে সেলফি নেওয়ার সময়। আরেক পর্যটকের মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। আচমকা শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানে চিকিৎসকরা ওই পর্যটককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রবিবারের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে দার্জিলিংয়ে।
প্রথম মৃত্যুর ঘটনা
- পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালবাজারের ওয়াসাবাড়িতে বেড়াতে মৃত্যু হয় আলাহিন শেখ নামে এক যুবকের। তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদের হরিহর থানার রমনামাঝ পাড়ায়। ওই যুবক পেশায় একজন শ্রমিক। চার মাস আগে তাঁদের এলাকারই কয়েকজনের সঙ্গে আলাহিন কাজের সূত্রে শিলিগুড়ি আসেন। শিলিগুড়ি থেকে কাজের জন্য মালবাজার যান তাঁরা। মালবাজারের ওদলাবাড়িতে থাকছিলেন তিনি। শনিবার ওদলাবাড়ি থেকে বন্ধুদের সঙ্গে মিলে বেড়াতে যান।
- রবিবার ওয়াসাবাড়িতে পাহাড়ি রাস্তার ধারে সেলফি তুলতে গিয়ে পা ফস্কে গভীর খাদে পড়ে যান যুবক। তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে প্রথমে মালবাজার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে তাঁর পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি ৷ সেখানেই মৃত্যু হয় আলাহিন শেখের ৷ আজ, সোমবার তাঁর দেহ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
দ্বিতীয় মৃত্যুর ঘটনা
- অন্যদিকে, রবিবার রাতে দার্জিলিংয়ে বেড়াতে গিয়ে মৃত্যু হয় আরও এক বাঙালি পর্যটকের। মৃতের নাম দীপাঞ্জন সাহা (58)। তিনি হুগলির ভদ্রেশ্বরের বাসিন্দা। শুক্রবার পরিবার নিয়ে নিজের গাড়িতেই পাহাড়ে বেড়াতে যান। শুক্রবার ও শনিবার লামাহাটায় কাটান তাঁরা। রবিবার সকালে লামাহাটা থেকে দার্জিলিং বেড়াতে যান। এরপর দার্জিলিং থেকে লামাহাটা ফেরার পথে আচমকা অসুস্থ বোধ করেন। তড়িঘড়ি তাঁকে চিকিৎসার জন্য রাতেই আনা হয় দার্জিলিং জেলা সদর হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসিকরা দীপাঞ্জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সোমবার দার্জিলিং জেলা সদর হাসপাতালে তাঁর ময়নাতদন্ত করা হবে। পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে জিটিএ'র পর্যটন বিভাগ।
এবিষয়ে জিটিএ'র চেয়ারম্যান তথা স্বাস্থ্য বিভাগের সভাসদ রাজেশ চৌহান বলেন, "দার্জিলিং বেড়াতে এসে এক বাঙালি পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। জিটিএ থেকেই আমরা মৃতদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে শিলিগুড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করব। তবে কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর, তা ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে। পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।"