কলকাতা, 23 অগস্ট: এবার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মূল আকর্ষণ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এমএসএমই)। বুধবার বিশ্ব বঙ্গ মেলা প্রাঙ্গণ থেকে এমন কথাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। প্রসঙ্গত, এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "ক্ষুদ্র শিল্পে এই মুহূর্তে আমরা দেশে এক নম্বর ।"
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এদিন আরও বলেন, "কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ। দেশের মধ্যে আমরা ক্ষুদ্র শিল্পে শীর্ষস্থানে। প্রায় দেড় কোটি মানুষ এখানে কাজ করে। প্রায় 90 লক্ষ এমএসএমই ইউনিট বাংলায় আছে। দিস ইজ নট এ ম্যাটার অফ জোক। চলতি মাসের এক থেকে 18 তারিখ প্রতিটি ব্লকে পঞ্চায়েত, মিউনিসিপ্যালিটিতে আমরা দুয়ারে সরকারের আদলে দুই হাজার 400 ক্যাম্প করা হয়েছে। রাজ্য জুড়ে পাঁচ লক্ষ 55 হাজার মানুষ এই ক্যাম্পে এসেছেন। সবার সহযোগিতায় 675 কোটি টাকা লোন গৃহীত হয়েছে।"
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "একটা সিমেন্টের কারখানা করলে সেখানে অর্থ বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক বেশি হয়। কিন্তু কর্মসংস্থান সেখানে হয় হাতে গোনা। তবে ক্ষুদ্র শিল্পের ক্ষেত্রে যদি 700 থেকে 800 কোটি টাকা আপনি খরচ করেন, তাহলে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়।" মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বর্তমানে বাংলার শাড়ির যাত্রা শুরু হয়েছে। তাঁর কথায়, "আমরা চাই প্রত্যেক জেলায় এর সেলস কাউন্টার তৈরি হোক। এটা সম্ভব হলে আরও অনেক বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।"
আরও পড়ুন: চন্দ্রযানের সফল অবতরণের পরই উচ্ছ্বসিত মমতা, টুইটে শুভেচ্ছাবার্তা
একই সঙ্গে, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আগামী দিনে রাজ্য সরকার মহেশতলা দর্জি হাব করতে চলেছে। সেখানেও প্রায় তিন হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।" এদিন রাজ্যে বিনিয়োগ করতে আসা শিল্পপতিদের যেন কোনওভাবে পুলিশি হয়রানির মুখে না পড়তে হয় তা নিয়ে মুখ্য সচিবকেও সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সাফ কথা, "পুলিশ যেন কোনও অবস্থাতেই এদের থেকে টাকা না নেয়। যদি নেয় তাহলে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী ফোন নম্বরে অভিযোগ জানাবেন।" একই সঙ্গে, এদিন পাঁচ জেলায় পাঁচটি সবুজ আতসবাজি ক্লাস্টারেরও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।