কলকাতা, 25 মে: তাঁর নামের পাশেই জুড়ে গিয়েছে কালারফুল শব্দটা। জামাইষষ্ঠীর দিন ফের একবার কালারফুল মেজাজে ধরা দিলেন মিস্টার এমএম। অর্থাৎ কামারহাটির মদন মিত্র। এই তো কয়েকদিন আগেই আলোচনায় উঠে এসেছিলেন তিনি। অ্যাক্সিডেন্টে মৃত্যুপথযাত্রী এক স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য লড়াই করতে গিয়ে সংবাদ শিরোনাম হয়েছিলেন। সে সময় রাজ্যের অন্যতম প্রধান সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম নিয়ে গরম গরম কথা শোনা যাচ্ছিল তাঁর গলায়। তা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি, যা নিয়ে শেষ পর্যন্ত এফআইআর পর্যন্ত হয়। আপাতত সেই পর্বে ইতি! তাই আবার পুরনো রঙে ফিরেছেন মদন। বৃহস্পতিবার জামাইষষ্ঠীর সাজে সোশাল মিডিয়ায় রীতিমতো তাঁর ফ্যানেদের জন্য ধরা দিলেন।
একইসঙ্গে তার গলায় শোনা গেল গানও টিপস। "ও ননদী আর দু'মুঠো চাল ফেলে দে হাঁড়িতে ঠাকুর জামাই এল বাড়িতে।" আবার খবরে মদন মিত্র। তবে বিতর্কে নয়। এদিন মদন মিত্রের সোশাল সাইটে জামাইষষ্ঠী হিসাবে উঠে এসেছে একটি স্পেশাল ভিডিয়ো।
মাল কোছা করার ধুতি আর কেতা দূরস্ত পাঞ্জাবি এবং সানগ্লাসে তিনি বলছেন, "আজ জামাইষষ্ঠী। জামাইষষ্ঠীতে বাংলার সমস্ত মানুষকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই জামাইষষ্ঠীকে কেন্দ্র করে বাংলার ঘরে ঘরে মা, বাবা, শ্বশুর-শাশুড়িরা তাঁদের জামাই-মেয়েকে আশীর্বাদ করেন।"
তিনি আরও বলেন, "এর সঙ্গে আরও একটা আনন্দ যোগ হয়েছে উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরিয়েছে। সমস্ত সফল পরীক্ষার্থী তারা অনেকদিন ভালো করে খায়নি। রেজাল্টের ভয়ে তারা অপেক্ষা করেছিল। এখন তাদের মনে আবার আনন্দ ফিরেছে।
বলি তারা আবার মন ভরে খেতে পারবেন।" এদিন বাড়ির শ্বশুর-শাশুড়িদের জন্য একটি টিপস দিয়েছেন মদন মিত্র। যে তাঁরা যখন তাদের জামাইকে খেতে বসাবেন তখন পিছনে একটি গান চালিয়ে দেবেন। যে গানটি নিজেই গেয়ে শুনিয়েছেন কামারহাটির বিধায়ক।
আরও পড়ুন: ষষ্ঠীতে ফের বিয়ের পিঁড়িতে বাংলার জামাই, 60 বছরের বিদ্যার্থীর পাত্রী কে ?
"বলি ও ননদি আর দু'মুঠো চাল ফেলে দে হাঁড়িতে। ঠাকুর জামাই এল বাড়িতে...।" এরপরই মদন মিত্রকে দেখা আজ দেখা গিয়েছে অন্য রূপে। হাতে বিশাল বিশাল মাছ নিয়ে ফটোশ্যুটেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। ময়ূরকণ্ঠী নীল আর ক্রিমরঙা পাঞ্জাবিতে একেবারে যেন নতুন জামাই!
কত না রূপ তাঁর! সোশাল মিডিয়ায় সেসব ছবি শেয়ার করেছেন স্বয়ং মদন মিত্র। আর তাতে লাইক, শেয়ারের বন্যা। তাহলেই বুঝুন "হট অ্যান্ড হ্যাপেনিং মদন আবার কিন্তু খবরে।"