কলকাতা, 10 মে : গ্রিন জ়োনে চলবে সরকারি ও বেসরকারি বাস । সরকারি বাসের ক্ষেত্রে ভাড়া এক থাকলেও, দ্বিগুণ ভাড়া বাড়ানো হয়েছে বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রে । তবে গ্রিন জ়োনে লাক্সারি ট্যাক্সি চালানোর নির্দেশ থাকলেও সে বিষয়ে জটিলতা এখনও কাটেনি । গ্রিন জ়োনে লাক্সারি ট্যাক্সি চালানোর বিষয়ে উদাসীন রাজ্য সরকার । এমনটাই অভিযোগ করলেন একাংশ লাক্সারি ট্যাক্সির মালিক ।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, গ্রিন জ়োন জেলাগুলিতে চলবে বাস ও গতিধারার গাড়ি । তবে 20 জনের বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না বাসে । এদিকে লকডাউনে যাত্রী না পাওয়ার আশঙ্কায় গাড়ির মালিকরা পথে গাড়ি নামাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন আগেই । লাক্সারি ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন ওয়েস্টবেঙ্গলের ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈকত পাল বলেন, "বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রে দফায় দফায় বৈঠকের মাধ্যমে দ্বিগুণ ভাড়া বাড়িয়ে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । তবে লাক্সারি ট্যাক্সির ক্ষেত্রে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি এখনও পর্যন্ত । দীর্ঘ লকডাউনে পরিষেবা বন্ধ থাকায় চরম আর্থিক অভাবে পড়েছেন ট্যাক্সি চালক ও মালিকরা । তাঁরা এখন অভাবের তাড়নায় পেশা বদল করে কেউ মুড়ি বিক্রি করছেন, কেউবা ছাতু বিক্রি করছেন বা সবজির দোকান দিয়েছেন ।"
"আমরা গাড়ি চালাতে ইচ্ছুক । তবে পুরানো ভাড়ায় গাড়ি চালানো সম্ভব নয় । তাই আমাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যদি কোনও সুরাহার পথ বের করে গাড়ি আবার পথে নামানো যায় তাহলে আমরা কিছুটা হলেও উপার্জন করতে পারব ।" বলছেন এক গাড়ি মালিক । গাড়ির মালিকরা আগেই জানিয়েছিলেন, যতক্ষণ না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে ততক্ষণ রাস্তায় গাড়ি নামালে কোনও লাভ হবে না । বন্ধ অফিস, ব্যাঙ্ক, স্কুল-কলেজসহ সব কিছু । বন্ধ রয়েছে ট্রেন পরিষেবাও । তাই পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক না হলে কোনও বুকিংই ঢুকবে না । পাশাপাশি লকডাউনের মধ্যে রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে বুকিংয়ের জন্য অপেক্ষা করার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে । ফলে, জ্বালানি খরচও বেড়ে যাবে অনেকটা । দিনের শেষে যাত্রী না পেলে পথে গাড়ি নামিয়ে কোনও লাভ হবে না ।
ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট কাউন্সিল অফ লাক্সারি ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত শংকর ঘোষ বলেন, "গত 11 বছর ধরে আমরা একই ভাড়ায় গাড়ি চালাচ্ছি । এই চরম পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা সরকারের পাশে রয়েছি এবং সাধারণ মানুষের সেবা করে চলেছি । লকডাউনের কারণে প্রচুর চালক অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন । তাই জেলায় যদি নতুন নিয়ম করে গাড়িগুলিকে আবার চালানো যায় তাহলে চালক ও মালিকরা উপকৃত হবেন ।" তিনি আরও বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর পরিবহন দপ্তরের আধিকারিকের সঙ্গে সংগঠনের জন্য সময় চেয়ে যোগাযোগ করা হয় । পুরো বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে । তবে সে বিষয়ে আমরা এখনও কোনও সদুত্তর পাইনি ।"