ETV Bharat / state

পথে গাড়ি নামাতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চাইছেন ট্যাক্সি মালিকরা

পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক না হলে কোনও বুকিংই ঢুকবে না। পাশাপাশি লকডাউনের মধ্যে রাস্তায় ট্য়াক্সি দাঁড় করিয়ে বুকিংয়ের জন্য অপেক্ষা করার ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে । এর ফলে জ্বালানি খরচও বেড়ে যাবে অনেকটা । দিনের শেষে যাত্রী না পেলে পথে গাড়ি নামিয়ে কোনও লাভ হবে না । জানাচ্ছেন লাক্সারি ট্যাক্সি মালিকরা ।

taxi
ট্যাক্সি মালিকরা
author img

By

Published : May 10, 2020, 12:34 PM IST

কলকাতা, 10 মে : গ্রিন জ়োনে চলবে সরকারি ও বেসরকারি বাস । সরকারি বাসের ক্ষেত্রে ভাড়া এক থাকলেও, দ্বিগুণ ভাড়া বাড়ানো হয়েছে বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রে । তবে গ্রিন জ়োনে লাক্সারি ট্যাক্সি চালানোর নির্দেশ থাকলেও সে বিষয়ে জটিলতা এখনও কাটেনি । গ্রিন জ়োনে লাক্সারি ট্যাক্সি চালানোর বিষয়ে উদাসীন রাজ্য সরকার । এমনটাই অভিযোগ করলেন একাংশ লাক্সারি ট্যাক্সির মালিক ।

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, গ্রিন জ়োন জেলাগুলিতে চলবে বাস ও গতিধারার গাড়ি । তবে 20 জনের বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না বাসে । এদিকে লকডাউনে যাত্রী না পাওয়ার আশঙ্কায় গাড়ির মালিকরা পথে গাড়ি নামাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন আগেই । লাক্সারি ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন ওয়েস্টবেঙ্গলের ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈকত পাল বলেন, "বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রে দফায় দফায় বৈঠকের মাধ্যমে দ্বিগুণ ভাড়া বাড়িয়ে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । তবে লাক্সারি ট্যাক্সির ক্ষেত্রে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি এখনও পর্যন্ত । দীর্ঘ লকডাউনে পরিষেবা বন্ধ থাকায় চরম আর্থিক অভাবে পড়েছেন ট্যাক্সি চালক ও মালিকরা । তাঁরা এখন অভাবের তাড়নায় পেশা বদল করে কেউ মুড়ি বিক্রি করছেন, কেউবা ছাতু বিক্রি করছেন বা সবজির দোকান দিয়েছেন ।"

"আমরা গাড়ি চালাতে ইচ্ছুক । তবে পুরানো ভাড়ায় গাড়ি চালানো সম্ভব নয় । তাই আমাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যদি কোনও সুরাহার পথ বের করে গাড়ি আবার পথে নামানো যায় তাহলে আমরা কিছুটা হলেও উপার্জন করতে পারব ।" বলছেন এক গাড়ি মালিক । গাড়ির মালিকরা আগেই জানিয়েছিলেন, যতক্ষণ না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে ততক্ষণ রাস্তায় গাড়ি নামালে কোনও লাভ হবে না । বন্ধ অফিস, ব্যাঙ্ক, স্কুল-কলেজসহ সব কিছু । বন্ধ রয়েছে ট্রেন পরিষেবাও । তাই পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক না হলে কোনও বুকিংই ঢুকবে না । পাশাপাশি লকডাউনের মধ্যে রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে বুকিংয়ের জন্য অপেক্ষা করার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে । ফলে, জ্বালানি খরচও বেড়ে যাবে অনেকটা । দিনের শেষে যাত্রী না পেলে পথে গাড়ি নামিয়ে কোনও লাভ হবে না ।

ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট কাউন্সিল অফ লাক্সারি ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত শংকর ঘোষ বলেন, "গত 11 বছর ধরে আমরা একই ভাড়ায় গাড়ি চালাচ্ছি । এই চরম পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা সরকারের পাশে রয়েছি এবং সাধারণ মানুষের সেবা করে চলেছি । লকডাউনের কারণে প্রচুর চালক অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন । তাই জেলায় যদি নতুন নিয়ম করে গাড়িগুলিকে আবার চালানো যায় তাহলে চালক ও মালিকরা উপকৃত হবেন ।" তিনি আরও বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর পরিবহন দপ্তরের আধিকারিকের সঙ্গে সংগঠনের জন্য সময় চেয়ে যোগাযোগ করা হয় । পুরো বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে । তবে সে বিষয়ে আমরা এখনও কোনও সদুত্তর পাইনি ।"

কলকাতা, 10 মে : গ্রিন জ়োনে চলবে সরকারি ও বেসরকারি বাস । সরকারি বাসের ক্ষেত্রে ভাড়া এক থাকলেও, দ্বিগুণ ভাড়া বাড়ানো হয়েছে বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রে । তবে গ্রিন জ়োনে লাক্সারি ট্যাক্সি চালানোর নির্দেশ থাকলেও সে বিষয়ে জটিলতা এখনও কাটেনি । গ্রিন জ়োনে লাক্সারি ট্যাক্সি চালানোর বিষয়ে উদাসীন রাজ্য সরকার । এমনটাই অভিযোগ করলেন একাংশ লাক্সারি ট্যাক্সির মালিক ।

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, গ্রিন জ়োন জেলাগুলিতে চলবে বাস ও গতিধারার গাড়ি । তবে 20 জনের বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না বাসে । এদিকে লকডাউনে যাত্রী না পাওয়ার আশঙ্কায় গাড়ির মালিকরা পথে গাড়ি নামাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন আগেই । লাক্সারি ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন ওয়েস্টবেঙ্গলের ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈকত পাল বলেন, "বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রে দফায় দফায় বৈঠকের মাধ্যমে দ্বিগুণ ভাড়া বাড়িয়ে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । তবে লাক্সারি ট্যাক্সির ক্ষেত্রে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি এখনও পর্যন্ত । দীর্ঘ লকডাউনে পরিষেবা বন্ধ থাকায় চরম আর্থিক অভাবে পড়েছেন ট্যাক্সি চালক ও মালিকরা । তাঁরা এখন অভাবের তাড়নায় পেশা বদল করে কেউ মুড়ি বিক্রি করছেন, কেউবা ছাতু বিক্রি করছেন বা সবজির দোকান দিয়েছেন ।"

"আমরা গাড়ি চালাতে ইচ্ছুক । তবে পুরানো ভাড়ায় গাড়ি চালানো সম্ভব নয় । তাই আমাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যদি কোনও সুরাহার পথ বের করে গাড়ি আবার পথে নামানো যায় তাহলে আমরা কিছুটা হলেও উপার্জন করতে পারব ।" বলছেন এক গাড়ি মালিক । গাড়ির মালিকরা আগেই জানিয়েছিলেন, যতক্ষণ না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে ততক্ষণ রাস্তায় গাড়ি নামালে কোনও লাভ হবে না । বন্ধ অফিস, ব্যাঙ্ক, স্কুল-কলেজসহ সব কিছু । বন্ধ রয়েছে ট্রেন পরিষেবাও । তাই পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক না হলে কোনও বুকিংই ঢুকবে না । পাশাপাশি লকডাউনের মধ্যে রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে বুকিংয়ের জন্য অপেক্ষা করার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে । ফলে, জ্বালানি খরচও বেড়ে যাবে অনেকটা । দিনের শেষে যাত্রী না পেলে পথে গাড়ি নামিয়ে কোনও লাভ হবে না ।

ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট কাউন্সিল অফ লাক্সারি ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত শংকর ঘোষ বলেন, "গত 11 বছর ধরে আমরা একই ভাড়ায় গাড়ি চালাচ্ছি । এই চরম পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা সরকারের পাশে রয়েছি এবং সাধারণ মানুষের সেবা করে চলেছি । লকডাউনের কারণে প্রচুর চালক অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন । তাই জেলায় যদি নতুন নিয়ম করে গাড়িগুলিকে আবার চালানো যায় তাহলে চালক ও মালিকরা উপকৃত হবেন ।" তিনি আরও বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর পরিবহন দপ্তরের আধিকারিকের সঙ্গে সংগঠনের জন্য সময় চেয়ে যোগাযোগ করা হয় । পুরো বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে । তবে সে বিষয়ে আমরা এখনও কোনও সদুত্তর পাইনি ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.