কলকাতা, 25 নভেম্বর: হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আগেই ৷ এবার নিজের কথা মতোই কাজ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলেন শুভেন্দু। শুক্রবার রাতেই হেয়ার স্ট্রিট থানার অফিসার ইনচার্জকে মেইল করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, তৃণমূলের চার জনকে জেলে ঢোকালে এবার বিজেপির আট জনকে জেলে ঢোকানো হবে। এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইনের অবমাননা করেছেন, এমনই অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই বিষয়ে খোদ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা টুইটে লিখেছেন, "বিভিন্ন দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে ৷ সেই তদন্তে যাদের নাম উঠে আসছে তাদেরকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে ৷ এতে বিজেপির কোনও ভূমিকা নেই।" যেহেতু নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম হেয়ার স্ট্রিট থানার আওতায় পড়ে, তাই সেখানেই অভিযোগ জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে আরও জানিয়েছেন, থানা যদি 72 ঘণ্টার মধ্যে তাঁর অভিযোগ না-নেয়, সেই ক্ষেত্রে তিনি বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে যেতে বাধ্য হবেন।
এই বিষয় শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, "শুভেন্দু অধিকারী, যাকে সারা পৃথিবীর মানুষ টিভির সামনে টাকা নিতে দেখল, যার নাম সিবিআইয়ের এফআইআরে জ্বলজ্বল করছে, যার বিরুদ্ধে সারদার সুদীপ্ত সেন লিখিত অভিযোগ জানাল, যিনি বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে কোটি টাকা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত, তিনি জেল খাটার ভয়ে বিজেপিতে গিয়েছেন। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর করছেন ! যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য তাঁর রাজনীতিতে পরিচয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বদলা নয়, বদল চাই ঘোষণা না-করতেন তাহলে তাদের অনেকেই, বামফ্রন্টের অনেক মন্ত্রীরা যারা আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত ছিলেন, তাঁরা শ্রীঘরে থাকতেন। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আমাদের নেত্রী ঘোষণা করেছেন যাদের বিরুদ্ধে খুন-সহ বিভিন্ন অভিযোগ আছে, এবার তাদের বিরুদ্ধে যোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে প্রথম দিনের তৃণমূল কর্মীরা যথেষ্ট আনন্দিত যথেষ্ট উল্লসিত।"
প্রসঙ্গত, ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের অনুষ্ঠানের পরেই শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কথা বলেছেন তা রাষ্ট্র বিরোধী। তাই এই কথা বলার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর হওয়া উচিত। আর সেই মতোই শুক্রবার রাতেই তিনি হেয়ার স্ট্রিট থানায় সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে মেইল মারফৎ অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: