কলকাতা, 20 এপ্রিল : লকডাউনের মাঝেই আজ মাঝ রাত থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে জাতীয় সড়কের টোল প্লাজ়া । পাশাপাশি বৃদ্ধি করা হয়েছে টোলের ভাড়াও। একে লকডাউনের জেরে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ ছিল ট্রাক ব্যবসা । তারউপর এই বর্ধিত করের ফলে চরম সমস্যার মুখে পড়েছেন ট্রাক চালক ও মালিকরা।
লকডাউন পরিস্থিতির জেরে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (NHAI) টোল প্লাজ়াগুলিতে টোল ট্যাক্স নেওয়া বন্ধ করে দেয়। সম্প্রতি NHAI থেকে ঘোষণা করা হয় যে আজ মধ্যরাত থেকেই নতুন বর্ধিত ভাড়া চালু করে খুলে দেওয়া হবে জাতীয় সড়কের সবকটি টোল গেট। NHAI-এর ডানকুনি টোল প্লাজ়ার এক আধিকারিক প্রীতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, "প্রতিবছর 1 এপ্রিল জাতীয় সড়কের টোল গেটের কর 5-8 শতাংশ বাড়ানো হয়ে থাকে। এবারও লকডাউনের সময় আমরা নতুন বর্ধিত করের চিঠি ও একটি তালিকা পেয়েছি।" সেইমতো আজ রাত 12 টা থেকে রাজ্যের প্রায় 15টি টোল প্লাজ়ায় পুরোনো টোল করের উপর 4-5 শতাংশ বাড়িয়ে নতুন কর সংগ্রহ করা শুরু হবে।
আর এর জেরেই চরম সমস্যায় পড়েছেন ট্রাক চালক ও মালিকরা। এবিষয়ে ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন, "ইতিমধ্যেই আমরা কেন্দ্র সরকারের ট্রান্সপোর্ট এন্ড হাইওয়েজ়-কে এই টোল কর সংগ্রহ স্থগিত রাখার আর্জি জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। লকডাউনের জেরে এমনিতেই ব্যাপক আর্থিক মন্দার মুখে পড়েছেন ট্রাক ব্যবসায়ীরা। তারউপর যদি এতগুলি টোল প্লাজ়ায় টাকা দিতে হয়ে তাহলে আমাদের পক্ষে জরুরি পরিষেবা দেওয়াও অসম্ভব হয়ে পড়বে। মালিকদের কোটি কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে। তাই ন্যাশনাল হাইওয়ে থেকে যখন টোল কর নেওয়া বন্ধ হয়ে যায় তখন আমরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছিলাম। তবে এবার যা হল সে তো গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মতো। একে আমাদের উপার্জন বন্ধ হয়ে রয়েছে তার উপর আজ থেকে আবার বর্ধিত করের চাপ। আমরা কোথা থেকে এই টাকা জোগাড় করব? আমাদের চালক ও খালাসিরা এমনিতেই অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন।"
ইতিমধ্যেই খরচের আশঙ্কায় বহু ট্রাক মালিকরা রাস্তায় গাড়ি নামাচ্ছেন না। পাশাপাশি বহু ট্রাক মালিক খরচ টানতে পারছেন না দেখে গাড়ি চালানো বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। সজলবাবুর আশঙ্কা, যে এই আর্থিক মন্দার সময় যদি টোল ট্যাক্স না বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাহলে ট্রাক মালিকরা পরিষেবা বন্ধ করতে বাধ্য হবেন। তাহলে বাজারে অত্যাবশ্যক জিনিসপত্রের সরবরাহেও বড়সড় ধাক্কা আসতে পারে ।