কলকাতা, 6 এপ্রিল : লকডাউনের কারণে দূষণের মাত্রা বেশ অনেকটাই কমতে শুরু করেছিল শহরে । কিন্তু গতকাল রাতে দেদার বাজি পোড়ার কারণে দূষণের মাত্রা বেশ অনেকটাই বেড়েছে বলে অভিযোগ পরিবেশবিদদের । তাঁদের মতে, প্রতি ঘনমিটারে শ্বাস বাহিত সূক্ষ্ম ধূলিকণা বর্তমানে 94 মাইক্রো গ্রাম থেকে বেড়ে 101 মাইক্রো গ্রামে দাঁড়িয়েছে । যা লকডাউনের শহরেও মানুষের কাছে দূষণের দুর্ভাগ্য হিসেবে দেখা দিল বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা ।
লকডাউনে শহরের দূষণ অনেকটাই কমে গিয়েছিল । কিন্তু গতকাল রাতে বাজি ফাটার ফলে তা বেড়ে যায় । পরিবেশবিদ সৌমেন্দ্র মোহন ঘোষ ETV ভারতকে বলেন, " বাজির মধ্যে টক্সিক মেটেরিয়াল থাকে সেগুলো যখন স্প্রেড হয় সেটা 9 মিনিট ফাটুক বা 20 মিনিট দূষণ বাড়তেই থাকে । কাল 9টার সময় যখন বাজি ফেটেছে তখন মাত্রা ছিল বাতাসে শ্বাসবাহিত সূক্ষ্ম ধূলিকণা প্রতি ঘনমিটারে ছিল 94 মাইক্রো গ্রাম । এর 14 ঘণ্টা পরে হয়েছে 101 মাইক্রোগ্রাম । WHO -র নিয়ম অনুযায়ী তা 25 মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়।"
লকডাউন হওয়ার আগে ছিল শ্বাসবাহিত সূক্ষ্ম ধূলিকণা প্রতি ঘনমিটার ছিল 134 মাইক্রো গ্রাম । লকডাউন হওয়ার পরে তা কমে দাঁড়িয়েছিল 95 মাইক্রোগ্রামে। এর ফলে দূষণ কমা নিয়ে স্বস্তি পেতে শুরু করেছিল শহরবাসী । কিন্তু গতকাল বাজি ফাটানোর পরে সেটা আবারও 101 মাইক্রোগ্রামে এসে দাঁড়িয়েছে ।
বাতাসের সূক্ষ্ম ধূলিকণা ফুসফুসে গেলে সংক্রমকের আশঙ্কা বেশি থাকে বলেই মাস্ক পড়ার কথা বলে থাকেন চিকিৎসকেরা। কোরোনা পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বাজির ফলে শহরের এই পলিউশন বৃদ্ধি হওয়া বিপদজনক বলেই মনে করছেন পরিবেশবিদ।