ETV Bharat / state

Behala Water Crisis: বেহালায় পানীয় জলের খোঁজে পাতালে ! গরমের আগেই মিটবে সমস্যা, আশ্বাস কাউন্সিলরের

পানীয় জল নিয়ে দুর্ভোগে বেহালাবাসী ৷ একদিকে বর্ষাকালে জল জমে ডুবে যায় রাস্তাঘাট ৷ অন্যসময়ে সিঁড়ি দিয়ে নীচে নেমে জল বয়ে আনতে হয় (Water Problem in Behala) ৷ তাই প্রায় সারাবছর জল কিনে খেতে হয় স্থানীয়দের ৷

Water Problem
ETV Bharat
author img

By

Published : Dec 10, 2022, 1:43 PM IST

Updated : Dec 10, 2022, 4:37 PM IST

বেহালায় 3 থেকে 6 ফুট পর্যন্ত গভীরে নেমে জল তুলতে হয়, বর্ষাকালে জল কিনে খেতে হয়

কলকাতা, 10 ডিসেম্বর: শহরতলিতে পানীয় জল সংগ্রহ করতে বাসিন্দাদের প্রায় পাতালে নামতে হয় ৷ দিনের পর দিন এমনটা ঘটছে কলকাতা পৌরনিগমের 121 নম্বর ওয়ার্ডের বেহালা স্বামীজি সড়ক এলাকায় ৷ কোথাও 3 ফুট তো কোথাও 5 ফুটের বেশি গভীরে ঢুকতে হয় বাসিন্দাদের ৷ চরমে পানীয় জলের আকাল ৷ রাস্তায় আছে ট্যাপ কল ৷ সিঁড়ি দিয়ে নামতে হয় গভীরে ৷ তারপর পানীয় জলের ট্যাপ ৷ সেখানে সরু সুতোর মতো জল পড়ে ৷ অনেকক্ষণ লাগে একেকটি পাত্র ভরতে । তারপর সেই জল ভরতি ভারী পাত্র টেনে উপরে নিয়ে আসতে হয় ৷ বেহালায় এমন বেহাল পানীয় জলের ছবি (Locals face serious water problem in Behala) ৷

এলাকার বাসিন্দা শিলা সরকার বলেন, "সকালে দফায় যখন জল আস, তাও কিছুটা বেগ থাকে ৷ আর বিকেলে সরু সুতোর মতো জল আসে ৷" আরও এক ভুক্তভোগী বাসিন্দা গোপা সামন্তর কথায়, "বছরের অন্য সময় এভাবে জল তুলি ৷ কিন্তু বর্ষাকালে দুর্ভোগ চরমে ওঠে ৷ কারণ এই গর্তগুলোয় জল জমে যায় ৷ কল বন্ধ করে রাখতে হয়, যাতে নোংরা জল পাইপে না ঢুকে যায় ৷ ওই সময়ে জল কিনে খাওয়া ছাড়া আমাদের আর কোনও পথ খোলা থাকে না ৷"

স্থানীয়দের যাঁরা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে স্বচ্ছল, তাঁরা সারা বছর জল কিনে খান ৷ তবে বর্ষাকালে সবাই জল কিনে খেতে বাধ্য হতে হয় ৷ আরও এক বাসিন্দা প্রিয়া সরকার কাউন্সিলর থেকে কলকাতা পৌরনিগম, প্রশাসনের সব স্তরের আধিকারিকের উপর ক্ষোভ উগরে দেন ৷ তাঁর দাবি, পৌর অফিস থেকে কাউন্সিলর- সর্বত্র বারবার অভিযোগ জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি ৷ প্রবীণদের জল তুলতে খুব কষ্ট হয় ৷ কিন্তু এর বিকল্প উপায় নেই ৷

আরও পড়ুন: কথা রাখলেন মমতা ! মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের 24 ঘণ্টার মধ্যেই গ্রামে পৌঁছল পানীয় জল

আবার এত নীচে গিয়েও অনেক জায়গায় জলের তোড় না-থাকায় আর্সেনিকের আশঙ্কা নিয়েই টিউবওয়েল উপর ভরসা করতে হয় ৷ নলকূপ নিষিদ্ধ হলেও এখানে এছাড়া গতি নেই ৷ আবার গর্তের মধ্যে ট্যাপ থেকে পড়া জল প্রতিদিন জমছে ৷ আর এতে মশার আঁতুড়ঘর তৈরি হচ্ছে ৷

এলাকার মানুষের ক্ষোভ, বছরের পর বছর ঘুরলেও পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি ৷ স্বামীজি সড়কে একদিকে গভীরে নেমে জল তোলা কষ্টকর, তেমনই আর্সেনিকের আশঙ্কাও আছে । আবার জমা জলে মশার উপদ্রব ৷ আর এই সবকিছু নিয়ে দিনের পর দিন কাটাচ্ছেন বেহালাবাসী ৷

তবে বেহালাবাসীর জল নিয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেননি স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর রূপক গঙ্গোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, "বেহালার এই সব এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে পানীয় জলের পাইপলাইন বসানো হয়েছে । আর তার জেরে এমন সমস্যা ৷ এই অসুবিধের কথা অধিবেশনে প্রস্তাব আকারে রাখা হয়েছে ৷ যাতে কলকাতা পৌরনিগমের জল সরবরাহ বিভাগ তৎপর হয় ৷" এমনকী সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন স্বয়ং মেয়র ফিরহাদ হাকিম, জানালেন কাউন্সিলর ৷ তিনি আরও বলেন, "বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি হবে একটা ৷ জলাধারও হবে ৷ আগামী বছরে গরমের আগেই জলের সমাধান হয়ে যাবে ৷ দুর্ভোগ ঘুঁচবে এলাকাবাসীর ৷"

আরও পড়ুন: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশে পানীয় জলের সমস্যা মেটার আশায় গ্রামবাসীরা

বেহালায় 3 থেকে 6 ফুট পর্যন্ত গভীরে নেমে জল তুলতে হয়, বর্ষাকালে জল কিনে খেতে হয়

কলকাতা, 10 ডিসেম্বর: শহরতলিতে পানীয় জল সংগ্রহ করতে বাসিন্দাদের প্রায় পাতালে নামতে হয় ৷ দিনের পর দিন এমনটা ঘটছে কলকাতা পৌরনিগমের 121 নম্বর ওয়ার্ডের বেহালা স্বামীজি সড়ক এলাকায় ৷ কোথাও 3 ফুট তো কোথাও 5 ফুটের বেশি গভীরে ঢুকতে হয় বাসিন্দাদের ৷ চরমে পানীয় জলের আকাল ৷ রাস্তায় আছে ট্যাপ কল ৷ সিঁড়ি দিয়ে নামতে হয় গভীরে ৷ তারপর পানীয় জলের ট্যাপ ৷ সেখানে সরু সুতোর মতো জল পড়ে ৷ অনেকক্ষণ লাগে একেকটি পাত্র ভরতে । তারপর সেই জল ভরতি ভারী পাত্র টেনে উপরে নিয়ে আসতে হয় ৷ বেহালায় এমন বেহাল পানীয় জলের ছবি (Locals face serious water problem in Behala) ৷

এলাকার বাসিন্দা শিলা সরকার বলেন, "সকালে দফায় যখন জল আস, তাও কিছুটা বেগ থাকে ৷ আর বিকেলে সরু সুতোর মতো জল আসে ৷" আরও এক ভুক্তভোগী বাসিন্দা গোপা সামন্তর কথায়, "বছরের অন্য সময় এভাবে জল তুলি ৷ কিন্তু বর্ষাকালে দুর্ভোগ চরমে ওঠে ৷ কারণ এই গর্তগুলোয় জল জমে যায় ৷ কল বন্ধ করে রাখতে হয়, যাতে নোংরা জল পাইপে না ঢুকে যায় ৷ ওই সময়ে জল কিনে খাওয়া ছাড়া আমাদের আর কোনও পথ খোলা থাকে না ৷"

স্থানীয়দের যাঁরা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে স্বচ্ছল, তাঁরা সারা বছর জল কিনে খান ৷ তবে বর্ষাকালে সবাই জল কিনে খেতে বাধ্য হতে হয় ৷ আরও এক বাসিন্দা প্রিয়া সরকার কাউন্সিলর থেকে কলকাতা পৌরনিগম, প্রশাসনের সব স্তরের আধিকারিকের উপর ক্ষোভ উগরে দেন ৷ তাঁর দাবি, পৌর অফিস থেকে কাউন্সিলর- সর্বত্র বারবার অভিযোগ জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি ৷ প্রবীণদের জল তুলতে খুব কষ্ট হয় ৷ কিন্তু এর বিকল্প উপায় নেই ৷

আরও পড়ুন: কথা রাখলেন মমতা ! মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের 24 ঘণ্টার মধ্যেই গ্রামে পৌঁছল পানীয় জল

আবার এত নীচে গিয়েও অনেক জায়গায় জলের তোড় না-থাকায় আর্সেনিকের আশঙ্কা নিয়েই টিউবওয়েল উপর ভরসা করতে হয় ৷ নলকূপ নিষিদ্ধ হলেও এখানে এছাড়া গতি নেই ৷ আবার গর্তের মধ্যে ট্যাপ থেকে পড়া জল প্রতিদিন জমছে ৷ আর এতে মশার আঁতুড়ঘর তৈরি হচ্ছে ৷

এলাকার মানুষের ক্ষোভ, বছরের পর বছর ঘুরলেও পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি ৷ স্বামীজি সড়কে একদিকে গভীরে নেমে জল তোলা কষ্টকর, তেমনই আর্সেনিকের আশঙ্কাও আছে । আবার জমা জলে মশার উপদ্রব ৷ আর এই সবকিছু নিয়ে দিনের পর দিন কাটাচ্ছেন বেহালাবাসী ৷

তবে বেহালাবাসীর জল নিয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেননি স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর রূপক গঙ্গোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, "বেহালার এই সব এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে পানীয় জলের পাইপলাইন বসানো হয়েছে । আর তার জেরে এমন সমস্যা ৷ এই অসুবিধের কথা অধিবেশনে প্রস্তাব আকারে রাখা হয়েছে ৷ যাতে কলকাতা পৌরনিগমের জল সরবরাহ বিভাগ তৎপর হয় ৷" এমনকী সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন স্বয়ং মেয়র ফিরহাদ হাকিম, জানালেন কাউন্সিলর ৷ তিনি আরও বলেন, "বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি হবে একটা ৷ জলাধারও হবে ৷ আগামী বছরে গরমের আগেই জলের সমাধান হয়ে যাবে ৷ দুর্ভোগ ঘুঁচবে এলাকাবাসীর ৷"

আরও পড়ুন: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশে পানীয় জলের সমস্যা মেটার আশায় গ্রামবাসীরা

Last Updated : Dec 10, 2022, 4:37 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.