কলকাতা, 21 জুন: করোনাকালে পরিযায়ী শ্রমিকদের বেহাল দশার ছবি দেখেছিল দেশ। উদ্বেলিত হওয়ার সেসব ছবি আজও সামাজিক মাধ্যমে ফেরে বারে বারে। এবার সেই পরিযায়ী শ্রমিকরায় 2023 নির্বাচনে বামেদের ইস্তেহারে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব পেল। বুধবার রাজ্য সরকারের সামগ্রিক জনস্বার্থ বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে, বাংলার গ্রামের নির্বাচিত সরকার গড়ে তুলতে বামফ্রন্ট প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়ী করার আহ্বান জানান বামফ্রন্ট চেয়্যারম্যান বিমান বসু। একই সঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বামেদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও ভোট প্রতিশ্রুতির জানান। যা আজ থেকেই জেলায় জেলায় ভোটের প্রচারে তুলে ধরা হবে।
এদিন বিমান বসু বলেন, "পরিযায়ী শ্রমিকরা দ্বিমুখী (দালাল ও মালিক) শোষণের শিকার। নিরাপত্তাহীন অবস্থায় কাজ করতে হয়। নিয়মিত মজুরি পাচ্ছেন না। আগামিদিনে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে বীমার ব্যবস্থা করা হবে। কর্মস্থলে যে কোনও সমস্যায় পঞ্চায়েত পাশে থাকবে। যারা ফিরে আসছেন, তাঁদের বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করা হবে। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য একটি পোর্টাল চালু করা হবে।" রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার একাধিক প্রকল্প চালু করে বাংলার মানুষের মন জয় করেছেন বলে বারে বারে তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন: এত হিংসা হলে পঞ্চায়েত ভোট বন্ধ করে দেওয়া উচিত, মন্তব্য বিচারপতি সিনহার
তার মধ্যে অন্যতম কন্যাশ্রী, 2 টাকা কেজি চাল ইত্যাদি। কিন্তু, ওই প্রকল্পগুলি আসলে বামেদের কষ্টের ফসল বলে দাবি করা হয়েছে। ইস্তেহারে লেখা হয়েছে, "কন্যাশ্রী বা 2 টাকা কেজি চাল বামফ্রন্ট সরকারের সময়ের প্রকল্প। 100 দিনের কাজ বা জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন বামপন্থীদের লড়াইয়ের ফসল। সমাজের আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষের জন্য চালু জনকল্যাণমুখী প্রকল্প অব্যাহত থাকবে এবং সমস্ত সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প হবে প্রয়োজনভিত্তিক এবং রূপায়ণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে।" এদিন বিমান বসু আরও বলেন, "পঞ্চায়েত এখন লুটে খাওয়ার আখড়া। এই সরকার দুর্নীতির আঁতুড়ঘর। কর্মী, নেতা, জনপ্রতিনিধি, মন্ত্রী, এমনকী এক অংশের আমলা এবং পুলিশ-সকলের জন্য লুটে খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।"