কলকাতা, 9 জুলাই: পুনর্নির্বাচনের দাবিতে সরব বামেরা ৷ শনিবার রাতেই এই দাবি তুলেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ৷ পাশাপাশি সাধারণ মানুষ, এমনকী মা-বোনেরাও নির্বাচন কেন্দ্রের সুরক্ষারয় যে অনমনীয় মনোভাব দেখিয়েছেন তাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন এই প্রবীণ বামনেতা ৷ ভোট গ্রহণ পর্ব শেষ হওয়ার পর বামেদের তরফে বিবৃতি জারি করা হয়।
তাতে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, "রাজ্যে দশম ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছিল। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের বাধা এবং অন্যদিকে রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অপটু নির্বাচন পরিচালনার ব্যর্থতাকে উপেক্ষা করে গ্রামবাংলার জনগণ যেভাবে উৎসাহ সহকারে প্রতিবাদী মেজাজে ভোটদানে অংশগ্রহণ করেছেন, তার জন্য বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে তাঁদের অভিনন্দন জানাই ৷" তিনি আরও জানান, নির্বাচনে সাধারণ মানুষ, এমনকী মা-বোনেরাও নির্বাচন কেন্দ্রের সুরক্ষার দাবিতে অনমনীয় মনোভাব দেখিয়েছেন ৷
বামের তরফে আরও জানানো হয়, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা প্রচারের থেকে শুরু করে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত গ্রামীণ নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার লক্ষ্যে যে হামলা-আক্রমণ সংগঠিত করেছে, তাকে মোকাবিলা করেই গ্রাম বাংলার মানুষ নিজেদের জীবন বাজি রেখে যেভাবে ভোটদানে অংশ নিয়েছেন । এই বিষয়টি অভিনন্দনযোগ্য ৷
বিবৃতিতেম আরও বলা হয়েছে, নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করতে হয় ৷ সে সম্পর্কে অবহিত না থাকার কারণে সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা, অব্যবস্থার দায় বেমালুম সরকারের উপর চাপিয়ে দেওয়া কমিশনের দৃষ্টিভঙ্গির এক ভয়ঙ্কর প্রবণতা ৷ এটি আসলে নির্বাচন কমিশনারের নিজের অজ্ঞতা ও ব্যর্থতাই প্রকট করে তুলেছে ৷
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার বলি আরও এক, কুলতলিতে খুন তৃণমূল কর্মী
বিমানের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন যেখানে যেখানে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি অথবা যেখানে দুষ্কৃতীরা বুথে ঢুকে ব্যালট বাক্স নষ্ট করেছে,এবং ব্যালট পেপার তছনছ করেছে সেখানে পুনর্নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে ৷ আর সেই নির্বাচনের ফলাফল 11 জুলাইয়ের ভোট গণনায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে ৷