কলকাতা, 25 জুন : এবার থেকে চাইলেই শহরের যত্রতত্র টিকাকরণ শিবির করা যাবে না ৷ কসবার ভুয়ো টিকাকরণ শিবির কাণ্ডের পর এমনই পদক্ষেপ নিল লালবাজার ৷ স্বয়ং কলকাতা পুলিশের নগরপাল সৌমেন মিত্রের তরফে এই নির্দেশ শহরের প্রত্যেকটি থানায় ই-মেল মারফত জানানো হয়েছে ৷ লালবাজার সূত্রের খবর, এই নয়া নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই জারি হয়ে গিয়েছে গোটা কলকাতা শহরে ।
এই নির্দেশিকায় ঠিক কী কী বলা আছে ?
- যে কোনও টিকাকরণ শিবির খুলতে গেলে সবার আগে লাগবে স্থানীয় থানার ছাড়পত্র । তবে স্থানীয় থানা ছাড়পত্র দিলেই শিবির করার অনুমতি মিলে যাবে তা নয় ।
- এরপর যেখানে শিবির করার জন্য আবেদন করা হয়েছে তা পরিদর্শনে আসবেন স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিকরা । সেখানে ভাল ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে ।
- খতিয়ে দেখা হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাগজপত্র ।
- কোন টিকা সাধারণ মানুষকে দেওয়া হবে তা পরীক্ষা করে দেখার পর ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৷
- যাঁরা টিকা দেবেন তাঁরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, স্বীকৃত স্বাস্থ্যকর্মী কিনা খতিয়ে দেখা হবে তাও ৷
- প্রয়োজনে স্বাস্থ্য দফতর এবং পুরসভার সঙ্গে কথা বলে সমন্বয় সাধন করে তারপরেই মিলবে চূড়ান্ত ছাড়পত্র ।
আরও পড়ুন : খামখেয়ালি জীবন, পুলিশি জেরায় কবুল কসবা টিকাকাণ্ডে মূল অভিযুক্তের
কসবার ভুয়ো টিকাকরণ কাণ্ডে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে লালবাজার ৷ কারণ মঙ্গলবার কসবায় ভুয়ো আইপিএস আধিকারিক দেবাঞ্জন দেব যে ভুয়ো টিকাকরণ শিবির করেছিল তা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে হচ্ছিল ৷ যার ঢিলছোড়া দূরত্বেই রয়েছে কসবা থানা । অথচ থানার কোনও অফিসার এই ঘটনা সম্পর্কে ঘুণাক্ষরেও টের পাননি ৷ বিষযটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷ কসবার ভুয়ো টিকাকরণ শিবিরের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই এই নির্দেশিকা জারি করল লালবাজার ৷