কলকাতা, 16 অক্টোবর: মহানগরের রাস্তায় সাধারণ মানুষের ভিড় দেখলে বোঝাই যাচ্ছে যে দুর্গাপুজো চলে এসেছে। পুজোয় মোটামুটি পঞ্চমীর দিন সকাল থেকেই ময়দানে নেমে পড়ে কলকাতা পুলিশ। আর পুজোর দিন কাটাতে যাতে শহরের রাস্তাঘাটে যান চলাচল ব্যবস্থা সঠিকভাবে থাকে এবং পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাতে আঁটসাঁট অবস্থায় থাকে তার জন্য বদ্ধপরিকর লালবাজার। কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল ইতিমধ্যেই সবকটা ট্রাফিক গার্ড এবং থানাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন যে পুজোর সময় কর্তব্যরত অবস্থায় কোনও পুলিশকর্মী পিঠে ব্যাগ এবং মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।
এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা মনে করছেন যে কর্তব্যরত অবস্থায় যদি কোনও পুলিশকর্মী পিঠে ব্যাগ রাখেন বা মোবাইলে অন্যমনস্ক হয়ে পড়েন তবে তা ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাকে সচল রাখার জন্য মুশকিল হতে পারে। লালবাজার সূত্রের খবর, প্রত্যেকবারের মতোই এবারও প্রত্যেক পুজো মণ্ডপে থাকবে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ। যার মধ্যে বড় পুজো মণ্ডপগুলিতে নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন কলকাতা পুলিশের দু'জন করে ডিসি। এর পাশাপাশি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুজোতে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনাররা নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: মহালয়ায় খুলে গেল মণ্ডপ, দেবীপক্ষের শুরুতেই শ্রীভূমির ডিজনিল্যান্ডে মানুষের ঢল
এছাড়াও লালবাজার সূত্রের খবর, ছোট পুজোগুলিতে প্রয়োজনে পুলিশ মোতায়েন করতে পারেন ডিসিরা। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মণ্ডপগুলিতে ভিড় কম হওয়ায় ওই সময় কম সংখ্যক মোতায়েন থাকবে। জানিয়েছে, পুজোর সময় পুলিশ ডিউটি করবে দুপুর 3টে থেকে রাত 12টা পর্যন্ত। রাত 12টার পর থেকে সকাল পর্যন্ত তৃতীয় দফায় মোতায়েন করা হবে পুলিশ। মূলত বিকেলের পর থেকে মণ্ডপগুলিতে ভিড় শুরু হয়ে যাবে। সেই কারণে ওই সময়ের পর থেকে বেশি সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলে নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান।
আরও পড়ুন: গৃহবন্দি কাটবে পুজো, ঘরে বসে চেতলার মায়ের চক্ষুদান সারবেন মমতা