কলকাতা, 24 অগস্ট: ইডি'র প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম থাকা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে টুইট যুদ্ধ চলেছে । সেই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "ক্ষমতা থাকলে সামনে এসে মুখোমুখি বসুক শুভেন্দু। সেখানে সংবাদমাধ্যম থাকুক। সবাই জানতে পারবে কার কত ক্ষমতা আছে। নারোদা স্টিং অপারেশনে ওনাকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। চোর, চিটিংবাজ, জালিয়াত গ্রেফতারি বাঁচাতে বিজেপিতে গিয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভাসিয়ে দেওয়া বিজেপির দেউলিয়াপনা রাজনীতির অন্যতম উদাহরণ।"
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে একাধিক প্রসঙ্গে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ করেন কুণাল ঘোষ । তিনি বলেন, "লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে শুভেন্দু অধিকারী । বিজেপির জুতো পালিশ করতে গিয়েছে। এখন পা কাঁপছে বলে টুইট করে যাচ্ছেন। মুখোমুখি বিতর্কে বসার ক্ষমতা তাঁর নেই। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিতর্কে মুখোমুখি বসুক ৷ দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হয়ে যাবে ।"
রাজ্যের নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিনই বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীকে এও বলতে শোনা গিয়েছিল, উত্তরপ্রদেশের মত এখানেও অপরাধীদের এনকাউন্টার করা দরকার ৷ এবং সেক্ষেত্রে যোগী আদিত্যনাথের মতো মুখ্যমন্ত্রী দরকার বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি ৷ তারই পরিপ্রেক্ষিতে কুণাল ঘোষ এদিন পালটা বলেন, "হত্যা, এনকাউন্টার, বিজেপি সরকার এইসব করে । নিরাপদতম রাজ্য ও শহর কলকাতা। বাংলায় অশান্তি বা এই ধরনের ঘটনা কম ঘটছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যে অনেক বেশি ঘটছে।"
আরও পড়ুন: রাজ্যে এল পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের 1600 কোটি টাকা, এক বছরে 60 শতাংশ খরচের শর্ত কেন্দ্রের
একই সঙ্গে, আদালতের রক্ষাকবচ পেয়ে শুভেন্দু হিংসা ছড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন কুণাল। তাঁর বক্তব্য, "শুভেন্দুর এনকাউন্টার মন্তব্য হিংসা ছড়াচ্ছে । হাইকোর্ট সুরক্ষা কবচ দিয়ে রেখেছে । এটাও দেখুন ।" হাইকোর্ট-এর মদতেই এই ধরনের বাড়াবাড়ি হচ্ছে বলেও জানান কুণাল ।