কলকাতা, 31 জানুয়ারি: কলকাতা থেকে উদ্ধার হল লক্ষাধিক টাকার জাল নোট ৷ ধর্মতলা চত্বর থেকে 10 লক্ষ টাকার জাল নোট উদ্ধার করেছে কলকাতা পুলিশের টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা (Kolkata Police STF Recovers Fake Notes in Esplanade) ৷ জাল নোট উদ্ধারের পাশাপাশি, এর 2 কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতেরা অসমের বাসিন্দা ৷ তাঁদের নাম শেখর আলি এবং আব্দুল রজ্জাক খান ৷
লালবাজার সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশের টাস্ক ফোর্সের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, কলকাতায় জাল নোটের কারবার শুরু করেছে অসমের কিছু অসাধু চক্র ৷ অসম থেকে জাল নোট রাজ্যে ছড়িয়ে দিতে সক্রিয় হয়েছে একটি দল ৷ এর পরেই টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা তাঁদের বিভিন্ন নেটওয়ার্ককে সতর্ক করে দেয় ৷ প্রায় বেশ কয়েকদিন ধরেই সার্ভিলেন্স চলছিল ৷ সেই সার্ভিলেন্সে অসমের এই দুই জাল নোট কারবারির হদিশ পায় কলকাতা পুলিশের এসটিএফ ৷
গোপন সূত্রে লালবাজারের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, সোমবার রাতে ধর্মতলার মেয়ো রোড ও ডাফরিন রোডে জাল নোট সরবরাহ করতে আসবে ৷ রাজ্যে সেই নোট ছড়িয়ে দিতে স্থানীয় দুষ্কৃতীদের সেগুলি হস্তান্তর করার পরিকল্পনা করেছিল ওই দুই জাল নোটের কারবারি ৷ সূত্র মারফত সেই খবর পেয়ে গোয়েন্দারা সাদাপোশাকে সেখানে হাজির হন ৷ সেখানে ওই দুই ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে পুলিশ ৷ এরপর তাঁদের উপর নজর রাখা শুরু হয় ৷ কিছুক্ষণ পর তাঁদের আটক করে তল্লাশি চালাতেই 10 লক্ষ টাকার জাল নোট উদ্ধার হয় ৷
ধৃতদের লালবাজারে নিয়ে এসে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ 10 লক্ষ টাকার ওই জাল নোট বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা ৷ ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চাইছেন কলকাতা পুলিশের টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা ৷ মূলত, কলকাতায় কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এই জাল নোটগুলি ছড়াতে ? আর কারা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে ? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা ৷
আরও পড়ুন: ইডির দফতরে ফোন করে বয়ান রেকর্ড করাতে চাইলেন ‘নিখোঁজ’ গোপাল
ধৃত জাল নোট কারবারিদের সম্পর্কে জানতে এবং অসমে এই চক্রের বাকিদের ধরতে, সে রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে লালবাজার ৷ পাশাপশি, এই জাল নোট কোথায় ছড়ানোর পরিকল্পনা ছিল ? বড় কোনও আর্থিক সংস্থায় এগুলিকে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল কি না, এমন নানান তথ্য জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা ৷ সূত্রের খবর, প্রয়োজনে অসম পুলিশ কলকাতায় এসে ধৃতদের জেরা করতে পারে ৷