কলকাতা, 7 ডিসেম্বর: মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর অভিযোগে সংগীতশিল্পী উস্তাদ রশিদ খানের (Ustad Rashid Khan) গাড়িচালককে আটক করল কলকাতা পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম বাকবিতণ্ডায় জড়ালেন রশিদ খানের স্ত্রী এবং কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। ফলশ্রুতি হিসেবে উস্তাদ রশিদ খানকে ভোরবেলা থানার বাইরে ঘণ্টাদেড়েক দাঁড় করিয়ে রাখারও অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে (Kolkata Police allegedly misbehaved with Ustad Rashid Khan and his family) ৷
যদিও লালবাজার জানিয়েছে, রশিদ খানের গাড়ি চালককে আটক করা হয়েছে এবং হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে তিনি মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পালটা রশিদ খানের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে কলকাতা পুলিশ। এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলিধর শর্মা জানিয়েছেন, পুলিশের বিরুদ্ধে এখনও কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ জমা পড়লে তা খতিয়ে দেখা হবে।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার গভীর রাতে ৷ এক অনুষ্ঠানের শেষে উস্তাদ রশিদ খান এবং তাঁর কয়েকজন বন্ধুকে কলকাতা বিমানবন্দরে নামাতে যায় সংগীতশিল্পীর গাড়ি ৷ রশিদ খানের পরিবারের সদস্যরাও একই গাড়িতে ছিলেন। চিংড়িঘাটা মোড়ের কাছে গাড়ির গতি স্লথ হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বেলেঘাটা ট্রাফিক গার্ডের কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা রশিদ খানের গাড়িটি সে সময় আটক করে চালককে গাড়ির বাইরে ডাকেন এবং মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগে তাঁকে আটক করা হয় ৷
চালক আটক হতেই পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন রশিদ খানের স্ত্রী। অভিযোগ, পুলিশ মধ্যরাতে গাড়িটি আটক করে স্থানীয় প্রগতি ময়দান থানায় নিয়ে যায় এবং সেখানকার পুলিশকর্মীরা অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেন রশিদ খানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ৷ ঘটনা পরম্পরায় উস্তাদ রশিদ খানকে থানায় ডেকে পাঠায় পুলিশ। তবে রশিদ খানের পরিবারের অভিযোগ, প্রায় ঘন্টাতিনেক ধরে প্রগতি ময়দান থানা এবং বেলেঘাটা ট্রাফিক গার্ডের বাইরে অপেক্ষা করলেও সংগীতশিল্পীর সঙ্গে পুলিশ কোনও কথা বলেননি। পরিবারের দাবি, তাঁদের গাড়িচালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন না।
আরও পড়ুন: চাকরির নামে প্রতারণা, অভিযোগ দায়ের প্রসেনজিৎ-জিতের নায়িকার বিরুদ্ধে
লালবাজারে তরফে অভিযোগ, উস্তাদ রশিদ খানের স্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। তাঁদের কাজ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলিধর শর্মা জানিয়েছেন, সংগীতশিল্পীর পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ এখনও পর্যন্ত জমা পড়েনি। অভিযোগ জমা পড়লে গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে।