ETV Bharat / state

Kolkata Municipal Corporation: নকশা অনুমোদন থেকে হস্তান্তর পর্যন্ত ফ্ল্যাটের কর মেটানোর দায় প্রমোটারের - Mayor Firhad Hakim

পৌর আইন সংশোধনের চিন্তাভাবনা করছে কলকাতা পৌরনিগম (Kolkata Municipal Corporation) । এবার নয়া আইনে জমি নেওয়ার পর থেকে ফ্ল্যাটের মালিকানা হস্তান্তর পর্যন্ত সময়কালের কর প্রমোটারকেই (Promoter) গুনতে হবে । মূলত প্রোমোটারদের এই স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করতে এবার এমন নিয়ম আনছে পৌরনিগম ।

KMC going to bring new rules for mutation
Kolkata Municipal Corporation
author img

By

Published : Oct 22, 2022, 6:54 PM IST

কলকাতা, 22 অক্টোবর: ইচ্ছা অনুসারে কাজ করতে গিয়ে মেয়াদ পার করেন প্রমোটাররা (Promoter) । আবার লাভের আশায় ফ্ল্যাট তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখছেন । এসবের পরে যখন জমির মালিককে ফ্ল্যাট দিচ্ছেন বা কেউ নতুন ফ্ল্যাট কিনছেন, দেখা যাচ্ছে তার মাথায় চাপছে মোটা অঙ্কের করে বোঝা । কারণ যে দীর্ঘ সময় ধরে ওই জমি বা ফ্ল্যাট হস্তান্তর হওয়ার আগে পর্যন্ত প্রমোটারের আওতাধীন ছিল, সেই সময়কালে এক টাকাও কর মেটাননি সংশ্লিষ্ট প্রমোটার । আর সেই দায় এসে পড়ে জমির মালিক বা নতুন ফ্ল্যাটের মালিকের ঘাড়ে ।

এবার সেই বোঝা যাতে অযাচিতভাবে অন্যের ঘাড়ে না চাপে, তাই পৌর আইন সংশোধনের চিন্তাভাবনা করছে কলকাতা পৌরনিগম (KMC going to bring new rules for mutation)। এবার নয়া আইনে জমি নেওয়ার পর থেকে ফ্ল্যাটের মালিকানা হস্তান্তর পর্যন্ত সময়কালের কর প্রমোটারকেই গুনতে হবে । মূলত প্রোমোটারদের এই স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করতে এবার এমন নিয়ম আনছে পৌরনিগম ।

কলকাতা পৌরনিগমের (Kolkata Municipal Corporation) মাসিক অধিবেশনে জমির নকশা অনুমোদন ও মিউটেশন (mutation) সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন কাউন্সিলর রূপক গঙ্গোপাধ্যায় । সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই মিউটেশনের নিয়ম বদলের কথা জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Mayor Firhad Hakim) । এ বিষয় ফিরহাদ বলেন, "নতুন নিয়মে যার নামে প্ল্যান অনুমোদন হবে বা যে ফ্ল্যাট তৈরি করবেন তাঁকেই ট্যাক্সের টাকা দিতে হবে । এরপর সমস্ত ফ্ল্যাটগুলো তাঁর নামেই মিউটেডেট হয়ে যাবে । যতদিন না ফ্ল্যাট নতুন কারুর কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে, প্রোমোটারকেই ট্যাক্সের টাকা দিতে হবে ।"

পাশাপাশি নো-ডিউ সার্টিফিকেট দেওয়ার আগে ভালো করে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র । এ বিষয়ে খতিয়ে দেখতে কর মুল্যায়ন বিভাগকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে । এতদিন অ্যাসেসমেন্টের আগেই নো-ডিউ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হত পৌরনিগমের তরফে । তার ফলে অ্যাসেসমেন্টের পর দেখা যেত কোন নির্দিষ্ট জমির উপর বিপুল পরিমাণ করের টাকা বকেয়া রয়ে গিয়েছে । আর সেই টাকার চাপ এসে পড়তো নতুন ফ্ল্যাট কেনা মালিকদের উপরে ।

আরও পড়ুন: মহানগরের রাস্তা মসৃণ করতে বড় উদ্যোগ ফিরহাদদের

এবার থেকে জমি বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে আগে অ্যাসেসমেন্ট করা হবে । নির্ধারিত হবে ওই জমির উপরে কোনও পুরনো বকেয়া রয়েছে কি না । সেটা মেটাতে হবে আগে । তারপরই মিলবে নো-ডিউ সার্টিফিকেট ।

কলকাতা, 22 অক্টোবর: ইচ্ছা অনুসারে কাজ করতে গিয়ে মেয়াদ পার করেন প্রমোটাররা (Promoter) । আবার লাভের আশায় ফ্ল্যাট তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখছেন । এসবের পরে যখন জমির মালিককে ফ্ল্যাট দিচ্ছেন বা কেউ নতুন ফ্ল্যাট কিনছেন, দেখা যাচ্ছে তার মাথায় চাপছে মোটা অঙ্কের করে বোঝা । কারণ যে দীর্ঘ সময় ধরে ওই জমি বা ফ্ল্যাট হস্তান্তর হওয়ার আগে পর্যন্ত প্রমোটারের আওতাধীন ছিল, সেই সময়কালে এক টাকাও কর মেটাননি সংশ্লিষ্ট প্রমোটার । আর সেই দায় এসে পড়ে জমির মালিক বা নতুন ফ্ল্যাটের মালিকের ঘাড়ে ।

এবার সেই বোঝা যাতে অযাচিতভাবে অন্যের ঘাড়ে না চাপে, তাই পৌর আইন সংশোধনের চিন্তাভাবনা করছে কলকাতা পৌরনিগম (KMC going to bring new rules for mutation)। এবার নয়া আইনে জমি নেওয়ার পর থেকে ফ্ল্যাটের মালিকানা হস্তান্তর পর্যন্ত সময়কালের কর প্রমোটারকেই গুনতে হবে । মূলত প্রোমোটারদের এই স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করতে এবার এমন নিয়ম আনছে পৌরনিগম ।

কলকাতা পৌরনিগমের (Kolkata Municipal Corporation) মাসিক অধিবেশনে জমির নকশা অনুমোদন ও মিউটেশন (mutation) সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন কাউন্সিলর রূপক গঙ্গোপাধ্যায় । সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই মিউটেশনের নিয়ম বদলের কথা জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Mayor Firhad Hakim) । এ বিষয় ফিরহাদ বলেন, "নতুন নিয়মে যার নামে প্ল্যান অনুমোদন হবে বা যে ফ্ল্যাট তৈরি করবেন তাঁকেই ট্যাক্সের টাকা দিতে হবে । এরপর সমস্ত ফ্ল্যাটগুলো তাঁর নামেই মিউটেডেট হয়ে যাবে । যতদিন না ফ্ল্যাট নতুন কারুর কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে, প্রোমোটারকেই ট্যাক্সের টাকা দিতে হবে ।"

পাশাপাশি নো-ডিউ সার্টিফিকেট দেওয়ার আগে ভালো করে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র । এ বিষয়ে খতিয়ে দেখতে কর মুল্যায়ন বিভাগকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে । এতদিন অ্যাসেসমেন্টের আগেই নো-ডিউ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হত পৌরনিগমের তরফে । তার ফলে অ্যাসেসমেন্টের পর দেখা যেত কোন নির্দিষ্ট জমির উপর বিপুল পরিমাণ করের টাকা বকেয়া রয়ে গিয়েছে । আর সেই টাকার চাপ এসে পড়তো নতুন ফ্ল্যাট কেনা মালিকদের উপরে ।

আরও পড়ুন: মহানগরের রাস্তা মসৃণ করতে বড় উদ্যোগ ফিরহাদদের

এবার থেকে জমি বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে আগে অ্যাসেসমেন্ট করা হবে । নির্ধারিত হবে ওই জমির উপরে কোনও পুরনো বকেয়া রয়েছে কি না । সেটা মেটাতে হবে আগে । তারপরই মিলবে নো-ডিউ সার্টিফিকেট ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.