ETV Bharat / state

কড়েয়া খুনের কিনারা, গ্রেপ্তার মহম্মদ ইসমাইল - karaya murder case

কড়েয়া খুনের কিনারা । গ্রেপ্তার করা হল খুনিকে । ধৃতের নাম মহম্মদ ইসমাইল ।

ছবি
author img

By

Published : Nov 2, 2019, 3:11 PM IST

Updated : Nov 2, 2019, 4:59 PM IST

কলকাতা, 2 নভেম্বর : অবশেষে কড়েয়া খুনের কিনারা করল পুলিশ । গ্রেপ্তার করা হয়েছে খুনিকে । ধৃতের নাম মহম্মদ ইসমাইল । কড়েয়া এলাকারই বাসিন্দা সে । গত রাতে তাকে কড়েয়া থানার পুলিশ আটক করে । আজ জিজ্ঞাসাবাদে রফিককে খুনের কথা স্বীকার করে ইসমাইল । সে জানায়, তাঁর স্ত্রীকে কুনজরে দেখত আবদুল রফিক । তাই ভাইফোঁটার দিন সুযোগ পেয়ে চপার দিয়ে রফিককে খুন করে সে ।

ভাইফোঁটার দিন সন্ধে 7 টা 15 মিনিট নাগাদ জামাকাপড় নিতে এসে ফ্ল্যাটের দরজা দিয়ে টাটকা রক্ত বেরিয়ে আসতে দেখেন স্থানীয় লন্ড্রিওয়ালা । খবর দেন আশপাশের ফ্ল্যাটের লোকেদের । সেই সময় রফিকের বিবি বাড়িতে ছিলেন না । একদিন আগে 28 অক্টোবর জাহেদা সেলিম ওরফে নিলু বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন । কড়েয়া এলাকাতেই তাঁর বাপের বাড়ি । দ্রুত তাঁকে ফোন করা হয় । তিনি এসে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন রফিক ।

পুলিশি তদন্ত অনুযায়ী, বিবির সঙ্গে রফিকের শেষবার কথা হয় সন্ধে 6 টা নাগাদ । তাই সন্ধে 6 টা থেকে 7 টা 15 মিনিটের মধ্যে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান । মূলত, চপার দিয়ে আঘাত করেই এই খুন করা হয়েছে । তবে, এক সময় বক্সার হওয়ার কারণে খুনের সময় তিনি আততায়ীকে যথেষ্ট বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন । দেহে সেই চিহ্ন পাওয়া গেছে ।

একটা সময় যথেষ্ট অবস্থাপন্ন ছিল রফিকের পরিবার । তিলজলা রোডে তাদের পারিবারিক 60 কাঠা জমি রয়েছে । সেই জমিতে এখন প্রোমোটিংয়ের কাজ । ওই জমিতে শরিক রয়েছেন 40 জন । রফিকরা চার ভাই । তাঁর বাকি তিন ভাই বাংলাদেশের নাগরিক । তাঁরা সেখানেই থাকে । প্রোমোটারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ওই 60 কাঠা জমিতে নির্মীয়মান বিল্ডিংয়ে একটি করে ফ্ল্যাট ও নগদ টাকা পেয়েছেন 40 শরিক । ইতিমধ্যেই সেখানে চারটি টাওয়ার তৈরি হয়েছে । বেশিরভাগ শরিক নতুন ফ্ল্যাটে চলে গেছেন । এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়নি পাঁচ নম্বর টাওয়ারটি । সেটি তৈরির কাজ চলছে । তাই যে ফ্ল্যাটে রফিক খুন হয়েছেন সেখানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করেছিল প্রোমোটার ।

64 বছরের রফিক পেশায় অটোচালক । বছর তিনেক আগে তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারা যায় । কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি নীলুকে বিয়ে করেন । তখন নীলুর বয়স 37 । দরিদ্র পরিবারের নীলুর সঙ্গে অসমবয়সী রফিকের বিয়ে দিয়েছিল তাঁর পরিবারের লোকজনই ।

খুন হওয়া রফিকের ফ্ল্যাটে একটি ড্রয়ার খোলা ছিল । যার তালা ভাঙা ছিল । সেই ড্রয়ারে ছিল প্রায় 7 লাখ টাকা । সেটি একটি ট্রান্সপারেন্ট কনটেইনারে রাখা ছিল । ছিল বেশ কিছু সোনার গয়নাও । তার কিছুই খোয়া যায়নি । ড্রয়ারের পাশে পড়েছিল একটি স্ক্রু ড্রাইভার । প্রাথমিকভাবে দেখলে মনে হবে ওই স্ক্রু ড্রাইভার দিয়েই ভাঙা হয়েছে ড্রয়ারের লক । কিন্তু পুলিশ সূত্রে খবর, ফরেনসিকের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, ওই স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে লক ভাঙা হয়নি । অর্থাৎ বিভ্রান্ত করতেই এই পথ নেওয়া হয় বলে তদন্তকারীদের অনুমান ।

কলকাতা, 2 নভেম্বর : অবশেষে কড়েয়া খুনের কিনারা করল পুলিশ । গ্রেপ্তার করা হয়েছে খুনিকে । ধৃতের নাম মহম্মদ ইসমাইল । কড়েয়া এলাকারই বাসিন্দা সে । গত রাতে তাকে কড়েয়া থানার পুলিশ আটক করে । আজ জিজ্ঞাসাবাদে রফিককে খুনের কথা স্বীকার করে ইসমাইল । সে জানায়, তাঁর স্ত্রীকে কুনজরে দেখত আবদুল রফিক । তাই ভাইফোঁটার দিন সুযোগ পেয়ে চপার দিয়ে রফিককে খুন করে সে ।

ভাইফোঁটার দিন সন্ধে 7 টা 15 মিনিট নাগাদ জামাকাপড় নিতে এসে ফ্ল্যাটের দরজা দিয়ে টাটকা রক্ত বেরিয়ে আসতে দেখেন স্থানীয় লন্ড্রিওয়ালা । খবর দেন আশপাশের ফ্ল্যাটের লোকেদের । সেই সময় রফিকের বিবি বাড়িতে ছিলেন না । একদিন আগে 28 অক্টোবর জাহেদা সেলিম ওরফে নিলু বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন । কড়েয়া এলাকাতেই তাঁর বাপের বাড়ি । দ্রুত তাঁকে ফোন করা হয় । তিনি এসে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন রফিক ।

পুলিশি তদন্ত অনুযায়ী, বিবির সঙ্গে রফিকের শেষবার কথা হয় সন্ধে 6 টা নাগাদ । তাই সন্ধে 6 টা থেকে 7 টা 15 মিনিটের মধ্যে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান । মূলত, চপার দিয়ে আঘাত করেই এই খুন করা হয়েছে । তবে, এক সময় বক্সার হওয়ার কারণে খুনের সময় তিনি আততায়ীকে যথেষ্ট বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন । দেহে সেই চিহ্ন পাওয়া গেছে ।

একটা সময় যথেষ্ট অবস্থাপন্ন ছিল রফিকের পরিবার । তিলজলা রোডে তাদের পারিবারিক 60 কাঠা জমি রয়েছে । সেই জমিতে এখন প্রোমোটিংয়ের কাজ । ওই জমিতে শরিক রয়েছেন 40 জন । রফিকরা চার ভাই । তাঁর বাকি তিন ভাই বাংলাদেশের নাগরিক । তাঁরা সেখানেই থাকে । প্রোমোটারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ওই 60 কাঠা জমিতে নির্মীয়মান বিল্ডিংয়ে একটি করে ফ্ল্যাট ও নগদ টাকা পেয়েছেন 40 শরিক । ইতিমধ্যেই সেখানে চারটি টাওয়ার তৈরি হয়েছে । বেশিরভাগ শরিক নতুন ফ্ল্যাটে চলে গেছেন । এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়নি পাঁচ নম্বর টাওয়ারটি । সেটি তৈরির কাজ চলছে । তাই যে ফ্ল্যাটে রফিক খুন হয়েছেন সেখানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করেছিল প্রোমোটার ।

64 বছরের রফিক পেশায় অটোচালক । বছর তিনেক আগে তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারা যায় । কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি নীলুকে বিয়ে করেন । তখন নীলুর বয়স 37 । দরিদ্র পরিবারের নীলুর সঙ্গে অসমবয়সী রফিকের বিয়ে দিয়েছিল তাঁর পরিবারের লোকজনই ।

খুন হওয়া রফিকের ফ্ল্যাটে একটি ড্রয়ার খোলা ছিল । যার তালা ভাঙা ছিল । সেই ড্রয়ারে ছিল প্রায় 7 লাখ টাকা । সেটি একটি ট্রান্সপারেন্ট কনটেইনারে রাখা ছিল । ছিল বেশ কিছু সোনার গয়নাও । তার কিছুই খোয়া যায়নি । ড্রয়ারের পাশে পড়েছিল একটি স্ক্রু ড্রাইভার । প্রাথমিকভাবে দেখলে মনে হবে ওই স্ক্রু ড্রাইভার দিয়েই ভাঙা হয়েছে ড্রয়ারের লক । কিন্তু পুলিশ সূত্রে খবর, ফরেনসিকের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, ওই স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে লক ভাঙা হয়নি । অর্থাৎ বিভ্রান্ত করতেই এই পথ নেওয়া হয় বলে তদন্তকারীদের অনুমান ।

Intro:কলকাতা, ২ নভেম্বর: অবশেষে কড়েয়া খুনের কিনারা করে ফেলল পুলিশ। পাকড়াও করা হল খুনীকে। ধৃতের নাম মহম্মদ ইসমাইল। সে ওই এলাকারই বাসিন্দা। ইসমাইলের স্ত্রীর দিকে কুনজরে দেখত মৃত আব্দুল রফিক। সেই কারণেই ইসমাইলের সঙ্গে রফিকের মাঝেমধ্যেই ঝগড়াঝাটি হতো। ভাইফোঁটার দিন সুযোগকে ইসমাইল চপার দিয়ে খুন করে রফিককে। গতরাতে ইসমাইলকে আটক করে পুলিশ। আজ কিছুক্ষণ আগেই সে খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। তাকে গ্রেপ্তার করেছে কড়েয়া থানা।
Body:ভাইফোঁটার দিন সন্ধ্যা সাতটা পনেরো নাগাদ জামা-কাপড় নিতে এসে ফ্ল্যাটের দরজা দিয়ে টাটকা রক্ত বেরিয়ে আসতে দেখেন স্থানীয় লন্ড্রিওয়ালা। বিষয়টি সন্দেহজনক থাকায় আশে পাশের ফ্ল্যাটের লোকেদের খবর দেন তিনি। সেই সময় রফিকের বিবি বাড়িতে ছিলেন না। একদিন আগে অর্থাৎ 28 অক্টোবর জাহেদা সেলিম ওরফে নিলু বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন। এলাকাতেই তার বাপের বাড়ি। দ্রুত তাকে ফোন করা হলে তিনি এসে দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন রফিক। পুলিশি তদন্ত বলছে, বিবির সঙ্গে রফিকের শেষবার কথা হয় সন্ধ্যে ছটা নাগাদ। অর্থাৎ এই খুনের ঘটনা ঘটেছে সন্ধ্যে ছটা থেকে 07: 15র মধ্যে। মূলত চপার দিয়ে আঘাত করেই এই খুন। একটা সময় বক্সার ছিলেন রফিক। খুনের সময় তিনি আততায়ীকে যথেষ্ট বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বেহে পাওয়া গেছে তার চিহ্ন। তার হাতের সামনের দিকে কুনুইয়ের নিচে চপারের আঘাত ছিল।

একটা সময় যথেষ্ট অবস্থাপন্ন ছিল রফিকের পরিবার। তিলজলা রোডে তাদের পারিবারিক ৬০ কাঠা জমি রয়েছে। সেই জমিতে এখন চলছে প্রমোটিংয়ের কাজ। ওই জমিতে শরিক রয়েছেন 40 জন। এমনিতে রফিকরা চার ভাই। তার বাকি তিন ভাই বাংলাদেশের নাগরিক। তারা সেখানেই থাকে। প্রোমোটারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ওই শাট কাটা জমিতে নির্মীয়মান বিল্ডিংয়ে একটি করে ফ্ল্যাট এবং নগদ টাকা পেয়েছেন 40 শরিক। ইতিমধ্যেই সেখানে চারটি টাওয়ার তৈরি হয়েছে। বেশিরভাগ শরিক নতুন ফ্ল্যাটে চলে গেছেন। এখনো পর্যন্ত তৈরি হয়নি পাঁচ নম্বর টাওয়ারটি। সেটি তৈরীর কাজ চলছে। তাই যে ফ্ল্যাটে রফিক খুন হয়েছেন সেখানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করেছিল প্রোমোটার।

৬৪ বছরের রফিক পেশায় অটোচালক। বছর তিনেক আগে তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারা যায়। কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি নীলুকে বিয়ে করেন। তখন নীলুর বয়স ৩৭। দরিদ্র পরিবারের নীলুর অসমবয়সী বিয়ে দিয়েছিল তার পরিবারের লোকজনই। এমনিতে তাদের মধ্যে যে খুব অশান্তি ছিল, তেমনটা বলছেন না প্রায় কেউই।
Conclusion:খুন হওয়া রফিকের ফ্ল্যাটে খোলা ছিল একটি ড্রয়ার। যার তালা ভাঙা ছিল। সেই ড্রয়ারে ছিল প্রায় 7 লাখ টাকা। সেটি একটি ট্রান্সপারেন্ট কনটেইনারে রাখা ছিল। ওই দাঁড়িয়ে ছিল বেশ কিছু সোনার গয়না। তার কিছুই খোয়া যায়নি। ড্রয়ারের পাশে পড়েছিল একটি স্ক্রু ড্রাইভার। প্রাথমিকভাবে দেখলে মনে হবে ওই স্ক্রু ড্রাইভার দিয়েই ভাঙা হয়েছে ড্রয়ারের লক। কিন্তু পুলিশ সূত্রে খবর, ফরেনসিকের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, ওই স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে লক ভাঙা হয়নি। অর্থাৎ তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতেই এই পথ নেওয়া হয়।



Last Updated : Nov 2, 2019, 4:59 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.