ETV Bharat / state

কামদুনি গণধর্ষণ মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ পরিবার

শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে হাইকোর্টে পড়ে রয়েছে মামলাটি । অভিযুক্তরা বহাল তবিয়তে রয়েছে ৷ এই সমস্ত ব্যাপারে আমরা আজ রেজিস্ট্রার জেনেরালের সঙ্গে দেখা করেছি । তিনি বলেছেন, চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানাতে ।  দ্রুত শুনানির বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি । "

kamduni rape case justice
কামদুনি গণধর্ষণ মামলার বিচার
author img

By

Published : Dec 11, 2019, 10:33 PM IST

কলকাতা, 11 ডিসেম্বর: কামদুনি গণধর্ষণ মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন সেখানকার প্রাথমিক স্কুলের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ও নির্যাতিতার ভাই । আজ তাঁরা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনেরালের সঙ্গে দেখা করেন ।

2013 সালের 7 জুন কামদুনি গণধর্ষণ ঘটে । এরপর 2016 সালের 31 জানুয়ারি নগর দায়রা আদালত আট অভিযুক্তের মধ্যে তিনজনের ফাঁসির সাজা শোনায় ৷ তিনজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয় ৷ দু'জনকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয় আদালত । এরপর নির্যাতিতার ভাই ও কামদুনির বাসিন্দাদের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করা হয় । দোষীদের সবাইকে যাতে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয় সেই আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁরা । দীর্ঘদিন ধরে সেই মামলার হাইকোর্টের একাধিক বেঞ্চে শুনানি হওয়ার পর সেটি বর্তমানে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন । আবেদনকারীরা চান, দ্রুত মামলার শুনানি করে নিষ্পত্তি করুক হাইকোর্ট । আজ তাঁরা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনেরালের সঙ্গে দেখা করেন । রেজিস্টার জেনেরাল আবেদনকারীদের চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানাতে বলেছেন ।

শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে হাইকোর্টে পড়ে রয়েছে মামলাটি । অভিযুক্তরা বহাল তবিয়তে রয়েছে ৷ এই সমস্ত ব্যাপারে আমরা আজ রেজিস্ট্রার জেনেরালের সঙ্গে দেখা করেছি । তিনি বলেছেন, চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানাতে । দ্রুত শুনানির বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি । "

নির্যাতিতার ভাই বলেন, "আমরা চাইছি সমস্ত অভিযুক্তদের ফাঁসি হোক ৷ কিন্তু এতদিন হয়ে গেলেও এই মামলার কোনও শুনানি হচ্ছে না ৷ বর্তমানে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন মামলাটি । আমরা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চাই ।" আবেদনকারীদের তরফে আইনজীবী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ছয় বছর কেটে গেলেও মামলার নিষ্পত্তি হয়নি । 2 জন অভিযুক্ত নিম্ন আদালত থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছিল ৷ তাদের বিরুদ্ধে আপিল করা হয় । 3 জনকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছিল । নির্যাতিতার পরিবার এবং কামদুনিবাসীর তরফে যাদের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছিল তাদেরও ফাঁসির দাবি করা হয় । যে তিনজনের ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত তাদের ফাঁসির সাজা যাতে বহাল থাকে সেই আবেদনও জানানো হয় । সাধারণ মানুষের মনে আদালতের তরফে একটা আস্থা জাগিয়ে তোলা খুবই প্রয়োজন । প্রচুর মানুষ প্রশ্ন তুলছেন কেন বিচার ব্যবস্থায় এত দেরি হয় ? বহু মানুষ এনকাউন্টারের পক্ষে ঝুঁকে পড়ছেন । আমরা চাইছি দ্রুত কামদুনি গণধর্ষণ মামলার নিষ্পত্তি হোক ।"

কলকাতা, 11 ডিসেম্বর: কামদুনি গণধর্ষণ মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন সেখানকার প্রাথমিক স্কুলের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ও নির্যাতিতার ভাই । আজ তাঁরা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনেরালের সঙ্গে দেখা করেন ।

2013 সালের 7 জুন কামদুনি গণধর্ষণ ঘটে । এরপর 2016 সালের 31 জানুয়ারি নগর দায়রা আদালত আট অভিযুক্তের মধ্যে তিনজনের ফাঁসির সাজা শোনায় ৷ তিনজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয় ৷ দু'জনকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয় আদালত । এরপর নির্যাতিতার ভাই ও কামদুনির বাসিন্দাদের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করা হয় । দোষীদের সবাইকে যাতে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয় সেই আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁরা । দীর্ঘদিন ধরে সেই মামলার হাইকোর্টের একাধিক বেঞ্চে শুনানি হওয়ার পর সেটি বর্তমানে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন । আবেদনকারীরা চান, দ্রুত মামলার শুনানি করে নিষ্পত্তি করুক হাইকোর্ট । আজ তাঁরা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনেরালের সঙ্গে দেখা করেন । রেজিস্টার জেনেরাল আবেদনকারীদের চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানাতে বলেছেন ।

শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে হাইকোর্টে পড়ে রয়েছে মামলাটি । অভিযুক্তরা বহাল তবিয়তে রয়েছে ৷ এই সমস্ত ব্যাপারে আমরা আজ রেজিস্ট্রার জেনেরালের সঙ্গে দেখা করেছি । তিনি বলেছেন, চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানাতে । দ্রুত শুনানির বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি । "

নির্যাতিতার ভাই বলেন, "আমরা চাইছি সমস্ত অভিযুক্তদের ফাঁসি হোক ৷ কিন্তু এতদিন হয়ে গেলেও এই মামলার কোনও শুনানি হচ্ছে না ৷ বর্তমানে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন মামলাটি । আমরা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চাই ।" আবেদনকারীদের তরফে আইনজীবী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ছয় বছর কেটে গেলেও মামলার নিষ্পত্তি হয়নি । 2 জন অভিযুক্ত নিম্ন আদালত থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছিল ৷ তাদের বিরুদ্ধে আপিল করা হয় । 3 জনকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছিল । নির্যাতিতার পরিবার এবং কামদুনিবাসীর তরফে যাদের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছিল তাদেরও ফাঁসির দাবি করা হয় । যে তিনজনের ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত তাদের ফাঁসির সাজা যাতে বহাল থাকে সেই আবেদনও জানানো হয় । সাধারণ মানুষের মনে আদালতের তরফে একটা আস্থা জাগিয়ে তোলা খুবই প্রয়োজন । প্রচুর মানুষ প্রশ্ন তুলছেন কেন বিচার ব্যবস্থায় এত দেরি হয় ? বহু মানুষ এনকাউন্টারের পক্ষে ঝুঁকে পড়ছেন । আমরা চাইছি দ্রুত কামদুনি গণধর্ষণ মামলার নিষ্পত্তি হোক ।"

Intro:মানস নস্কর

কামদুনি গণধর্ষণ মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে নির্যাতিতার ভাইও কামদুনির মাস্টার মশাই

কলকাতা 11 ই ডিসেম্বর:
কামদুনি গণধর্ষণ মামলা দ্রুত শুনানির আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন কামদুনির মাস্টার মশাই ও নির্যাতিতার ভাই। আজ তারা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের সাথে দেখা করলেন।


Body:2013 সালের 7 জুন কামদুনি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এরপর 2016 সালের 31 জানুয়ারি নগর দায়রা আদালত মোট 8 অভিযুক্তের মধ্যে তিনজনের ফাঁসির সাজা শোনায়, তিনজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং দুজনকে বেকসুর খালাস বলে নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর নির্যাতিতার ভাই ও কামদুনিবাসী তরফে কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। এবং সমস্ত অভিযুক্তই যাতে ফাঁসির নির্দেশ দেওয়া হয় সেই আবেদন জানিয়েছিল তারা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেই মামলা হাইকোর্টের একাধিক বেঞ্চে শুনানি হওয়ার পর বর্তমান প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। আবেদনকারীদের দাবি যাতে দ্রুত এই মামলার শুনানি করে নিষ্পত্তি করা হয় সেই ব্যবস্থা করুক কলকাতা হাইকোর্ট। এই দাবি নিয়ে আজ তারা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের সাথে দেখা করেন। রেজিস্টার জেনারেল একটি লিখিত চিঠি দিয়ে জানাতে বলেছেন। এব্যাপারে কামদুনির মাস্টার মশাই প্রদীপ মুখার্জী জানালেন," আমাদের মামলাটা 2016 সালের 31 জানুয়ারি নগর দায়রা আদালত থেকে একটা বিচার পেয়েছিলাম। থেকে দীর্ঘদিন ধরে হাইকোর্টে পড়ে রয়েছে মামলাটি। অভিযুক্তরা বেশ রাজসিক হলে রয়েছে। এই সমস্ত ব্যাপার আমরা আজ রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে দেখা করে জানালাম। তিনি বলেছেন একটা লিখিত চিঠি দিতে। এবং দ্রুত যাতে শুনানি করা যায় সেই ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন। গণধর্ষণ মামলা একটা চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জায়গায় এসেছে। চরম শাস্তি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু কামদুনির মামলাটা এইভাবে পড়ে থাকবে? এরপর আমরা হয়তো বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।" নির্যাতিতার ভাই জানালেন," আমরা চাইছি সমস্ত অভিযুক্তের ফাঁসি হোক কিন্তু এতদিন হয়ে গেলেও এই মামলার কোনো শুনানি হচ্ছেনা হাইকোর্টে বিচারপতি নাদিরা পাতেরিয়া বিচারপতি অসীম রায় তারপর জয়মাল্য বাগচীর বর্তমানে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন মামলা। আমরা দ্রুত নিষ্পত্তি চাই।" এ ব্যাপারে আবেদনকারীদের তরফে আইনজীবী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় জানালেন," নির্ভয়া কান্ড যেমন একটা আন্দোলন। তেমনি কামদুনির ভয়াবহ আন্দোলন যার জেরে সারা পশ্চিমবঙ্গ কেঁপে উঠেছিল। ছয় বছর কেটে গেলেও আজ অব্দি হাইকোর্টে এই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। এই মামলার মূল তিনটি দিক আছে। 12 জন অভিযুক্ত নিম্ন আদালত থেকে খালাস পেয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। 23 জনকে আমৃত্যু কারাবাস দেওয়া হয়েছিল। কামদুনি তরফে তাদেরও যাতে ফাঁসি দেওয়া হয় তার আবেদন করা হয়েছিল। আত্তিন যে তিন জনের ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত তাদের ফাঁসির সাজা যাতে বহাল থাকে সেই আবেদন জানানো হয়। সাধারণ মানুষের মনে আদালতের তরফ একটা আস্থা জাগিয়ে তোলা এক্ষুনি ভীষণ প্রয়োজন। প্রচুর মানুষ প্রশ্ন তুলছেন কেন বিচারে এত দেরি হয়? বহু মানুষ এনকাউন্টারের পক্ষে ঝুঁকে পড়ছেন। আমরা চাইছি দ্রুত কামদুনি গণধর্ষণ মামলার শুনানি করে নিষ্পত্তি করা হোক।"


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.