কলকাতা, 4 ডিসেম্বর : 30 সেপ্টেম্বর কর্মসমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, রিসার্চ স্কলারদের অতিথি অধ্যাপক বা ভিজ়িটিং ফ্যাকাল্টি হিসেবে গণ্য করা হবে না । তবে, বিভাগীয় প্রধানরা রিসার্চ স্কলারদের ক্লাস অ্যালট করতে পারবেন ও নিয়োগপত্রও দিতে পারবেন । এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্মসমিতির বৈঠকে ডেপুটেশন দেন রিসার্চ স্কলারদের সংগঠন JURSA । তাঁদের দাবি কর্তৃপক্ষ কিছুটা মেনে নিলেও তা নিয়ে মতপার্থক্য থাকায় সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে আজকের কর্মসমিতির বৈঠক থেকে । এই কমিটি রিসার্চ স্কলারদের সঙ্গে কথা বলে সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টা করবে ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ স্কলারদের সংগগঠন JURSA-র বক্তব্য, তাঁরা কর্মসমিতির সিদ্ধান্তে অপদস্ত হয়েছেন । তার কারণ কী তা বিস্তারিতভাবে জানিয়ে আজ কর্মসমিতির বৈঠকে ডেপুটেশন দেন তাঁরা । বৈঠক যেখানে হচ্ছিল তার বাইরে শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভও দেখান । এ বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, "রিসার্চ স্কলারদের সমস্যা হল ক্লাস নেওয়া । ওরা এতদিন সবই করছিল । ওদের তরফ থেকে কোনও সমস্যা হয়নি । সমস্যা হয়েছে অন্য একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে । 30 সেপ্টেম্বর একটি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, রিসার্চ স্কলারদের এখন থেকে আর অতিথি অধ্যাপক বা ভিজ়িটিং অধ্যাপক হিসেবে গণ্য করা হবে না । তাঁরা কোনওরকম পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না । এই জায়গাটাতে ওদের আপত্তি আছে, গেস্ট ফ্যাকাল্টি বা ভিজ়িটিং ফ্যাকাল্টি হিসেবে যদি ডেজ়িগনেশনটা পায় তাহলে ভবিষ্যতে চাকরিতে একটা সুবিধা হয় । সেই হিসেবে ওরা ক্লাস নিলে আমরা ভিজ়িটিং বা গেস্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবে ওদের সার্টিফিকেট দেব না । কিন্তু, ওরা যে ক্লাস নিয়েছে কোনও একটি বিষয়ে, কতো ঘণ্টার জন্য সেই সার্টিফিকেটটা আমরা দেব । যেটা সার্টিফায়েড করবেন রেজিস্ট্রার ও এনডোর্স করবেন বিভাগীয় প্রধান বা স্কুলের ডিরেক্টর ।"
রিসার্চ স্কলারদের দাবি, রেজিস্ট্রার আগে একটা সার্টিফিকেট দিতেন । কিন্তু, এখন বিভাগীয় প্রধান যে নিয়োগপত্র দেবেন তার কোনও মূল্য নেই । সে বিষয়ে চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, "এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রারই দেবেন । ইসিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রেজিস্ট্রার আগের মতোই ওদেরকে একটা এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট দেবেন, যা এনডোর্স করবেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধানরা বা স্কুলের ডিরেক্টররা । সেভাবেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল । কিন্তু, তা সত্ত্বেও একটা সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ছাত্রদের ইনভিজিলেশন ডিউটি দিতে হবে । সেটা তাঁরা মানতে রাজি নন । ওরা শুধু ক্লাস নিতে পারেন । আর কোনওরকম পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে তাঁরা যুক্ত থাকবেন না । ওদেরকে ইনভিজিলেশন ডিউটিতে রাখা হয় বহু জায়গাতেই । সেটা সেমেস্টার পরীক্ষা হতে পারে বা ক্লাস টেস্ট হতে পারে । ওদের বক্তব্য, ইনভিজিলেশনও তো পরীক্ষা ব্যবস্থার একটা অংশ । তাহলে ওরা যদি পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত না থাকতে পারে তাহলে ইনভিজিলেশনের ডিউটিও করবে না ।"
রিসার্চ স্কলারদের সেই বক্তব্যে তৈরি হয়েছে মতপার্থক্য । যা কাটাতে ও রিসার্চ স্কলারদের সমস্যার সমাধানে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে গতকালের বৈঠকে। সে বিষয়ে চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, "সেই দাবির প্রেক্ষিতে আজ ইসি থেকে একটা কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে । যে কমিটির চেয়ারম্যান থাকছি আমি সহ-উপাচার্য হিসেবে । আমি আর্টস, সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ISLM ফ্যাকাল্টি থেকে বাকি সদস্যদের নিয়োগ করব । সেখানে পড়ুয়াদের বক্তব্যও শুনব । তারপরে সামান্য হলেও যে সমস্যা হয়েছে সেটাকে কী করে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা যায় সেটা আমরা দেখব এবং যে রিপোর্টটা হবে সেটা পরবর্তী ইসিতে জমা দেব । একটা মতপার্থক্য হয়েছে । এই কমিটি সেই বিষয়গুলো নিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে তার সমাধান করার চেষ্টা করবে ।"
গতকাল কর্মসমিতির বৈঠকের একাধিক দাবি-দাওয়া নিয়ে নিয়ে ডেপুটেশন জমা দেয় আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্ট ইউনিয়নও (AFSU) । হস্টেল সংক্রান্ত, ইন্টার্নাল কমপ্লেইনস কমিটিতে নির্বাচিত প্রতিনিধি, লিফ্টের মতো বেশ কিছু দাবি-দাওয়া সহ আবারও ক্যাম্পাসের দু'টি জেন্ডার নিউট্রাল টয়লেটের দাবি জানান তাঁরা । AFSU-র সাধারণ সম্পাদক দেবরাজ দেবনাথ বলেন, " আমাদের বহুদিন ধরেই দাবি ছিল জেন্ডার নিউট্রাল বাথরুমের । আমরা চেয়েছি, যাতে 24 ঘণ্টা, সাতদিন সেই টয়লেটগুলি খোলা থাকে । আপাতত একটি বাথরুম আছে । সেটা জেন্ডার নিউট্রাল না হলেও 24 ঘণ্টা খোলা থাকে । আমরা আরও দু'টো জেন্ডার নিউট্রাল বাথরুম চেয়েছি । একটা খেলার মাঠের পাশে ও একটা পিজি সায়েন্স বিল্ডিংয়ের পাশে ।" যদিও দু'টি জেন্ডার নিউট্রাল টয়লেট করার নীতিগত সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে ।
রিসার্চ স্কলারদের দাবি মানতে কমিটি গড়ল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
রিসার্চ স্কলারদের অতিথি অধ্যাপক বা ভিজ়িটিং ফ্যাকাল্টি হিসেবে গণ্য করা হবে না । ই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্মসমিতির বৈঠকে ডেপুটেশন দেন রিসার্চ স্কলারদের সংগঠন JURSA ।
কলকাতা, 4 ডিসেম্বর : 30 সেপ্টেম্বর কর্মসমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, রিসার্চ স্কলারদের অতিথি অধ্যাপক বা ভিজ়িটিং ফ্যাকাল্টি হিসেবে গণ্য করা হবে না । তবে, বিভাগীয় প্রধানরা রিসার্চ স্কলারদের ক্লাস অ্যালট করতে পারবেন ও নিয়োগপত্রও দিতে পারবেন । এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্মসমিতির বৈঠকে ডেপুটেশন দেন রিসার্চ স্কলারদের সংগঠন JURSA । তাঁদের দাবি কর্তৃপক্ষ কিছুটা মেনে নিলেও তা নিয়ে মতপার্থক্য থাকায় সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে আজকের কর্মসমিতির বৈঠক থেকে । এই কমিটি রিসার্চ স্কলারদের সঙ্গে কথা বলে সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টা করবে ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ স্কলারদের সংগগঠন JURSA-র বক্তব্য, তাঁরা কর্মসমিতির সিদ্ধান্তে অপদস্ত হয়েছেন । তার কারণ কী তা বিস্তারিতভাবে জানিয়ে আজ কর্মসমিতির বৈঠকে ডেপুটেশন দেন তাঁরা । বৈঠক যেখানে হচ্ছিল তার বাইরে শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভও দেখান । এ বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, "রিসার্চ স্কলারদের সমস্যা হল ক্লাস নেওয়া । ওরা এতদিন সবই করছিল । ওদের তরফ থেকে কোনও সমস্যা হয়নি । সমস্যা হয়েছে অন্য একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে । 30 সেপ্টেম্বর একটি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, রিসার্চ স্কলারদের এখন থেকে আর অতিথি অধ্যাপক বা ভিজ়িটিং অধ্যাপক হিসেবে গণ্য করা হবে না । তাঁরা কোনওরকম পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না । এই জায়গাটাতে ওদের আপত্তি আছে, গেস্ট ফ্যাকাল্টি বা ভিজ়িটিং ফ্যাকাল্টি হিসেবে যদি ডেজ়িগনেশনটা পায় তাহলে ভবিষ্যতে চাকরিতে একটা সুবিধা হয় । সেই হিসেবে ওরা ক্লাস নিলে আমরা ভিজ়িটিং বা গেস্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবে ওদের সার্টিফিকেট দেব না । কিন্তু, ওরা যে ক্লাস নিয়েছে কোনও একটি বিষয়ে, কতো ঘণ্টার জন্য সেই সার্টিফিকেটটা আমরা দেব । যেটা সার্টিফায়েড করবেন রেজিস্ট্রার ও এনডোর্স করবেন বিভাগীয় প্রধান বা স্কুলের ডিরেক্টর ।"
রিসার্চ স্কলারদের দাবি, রেজিস্ট্রার আগে একটা সার্টিফিকেট দিতেন । কিন্তু, এখন বিভাগীয় প্রধান যে নিয়োগপত্র দেবেন তার কোনও মূল্য নেই । সে বিষয়ে চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, "এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রারই দেবেন । ইসিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রেজিস্ট্রার আগের মতোই ওদেরকে একটা এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট দেবেন, যা এনডোর্স করবেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধানরা বা স্কুলের ডিরেক্টররা । সেভাবেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল । কিন্তু, তা সত্ত্বেও একটা সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ছাত্রদের ইনভিজিলেশন ডিউটি দিতে হবে । সেটা তাঁরা মানতে রাজি নন । ওরা শুধু ক্লাস নিতে পারেন । আর কোনওরকম পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে তাঁরা যুক্ত থাকবেন না । ওদেরকে ইনভিজিলেশন ডিউটিতে রাখা হয় বহু জায়গাতেই । সেটা সেমেস্টার পরীক্ষা হতে পারে বা ক্লাস টেস্ট হতে পারে । ওদের বক্তব্য, ইনভিজিলেশনও তো পরীক্ষা ব্যবস্থার একটা অংশ । তাহলে ওরা যদি পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত না থাকতে পারে তাহলে ইনভিজিলেশনের ডিউটিও করবে না ।"
রিসার্চ স্কলারদের সেই বক্তব্যে তৈরি হয়েছে মতপার্থক্য । যা কাটাতে ও রিসার্চ স্কলারদের সমস্যার সমাধানে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে গতকালের বৈঠকে। সে বিষয়ে চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, "সেই দাবির প্রেক্ষিতে আজ ইসি থেকে একটা কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে । যে কমিটির চেয়ারম্যান থাকছি আমি সহ-উপাচার্য হিসেবে । আমি আর্টস, সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ISLM ফ্যাকাল্টি থেকে বাকি সদস্যদের নিয়োগ করব । সেখানে পড়ুয়াদের বক্তব্যও শুনব । তারপরে সামান্য হলেও যে সমস্যা হয়েছে সেটাকে কী করে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা যায় সেটা আমরা দেখব এবং যে রিপোর্টটা হবে সেটা পরবর্তী ইসিতে জমা দেব । একটা মতপার্থক্য হয়েছে । এই কমিটি সেই বিষয়গুলো নিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে তার সমাধান করার চেষ্টা করবে ।"
গতকাল কর্মসমিতির বৈঠকের একাধিক দাবি-দাওয়া নিয়ে নিয়ে ডেপুটেশন জমা দেয় আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্ট ইউনিয়নও (AFSU) । হস্টেল সংক্রান্ত, ইন্টার্নাল কমপ্লেইনস কমিটিতে নির্বাচিত প্রতিনিধি, লিফ্টের মতো বেশ কিছু দাবি-দাওয়া সহ আবারও ক্যাম্পাসের দু'টি জেন্ডার নিউট্রাল টয়লেটের দাবি জানান তাঁরা । AFSU-র সাধারণ সম্পাদক দেবরাজ দেবনাথ বলেন, " আমাদের বহুদিন ধরেই দাবি ছিল জেন্ডার নিউট্রাল বাথরুমের । আমরা চেয়েছি, যাতে 24 ঘণ্টা, সাতদিন সেই টয়লেটগুলি খোলা থাকে । আপাতত একটি বাথরুম আছে । সেটা জেন্ডার নিউট্রাল না হলেও 24 ঘণ্টা খোলা থাকে । আমরা আরও দু'টো জেন্ডার নিউট্রাল বাথরুম চেয়েছি । একটা খেলার মাঠের পাশে ও একটা পিজি সায়েন্স বিল্ডিংয়ের পাশে ।" যদিও দু'টি জেন্ডার নিউট্রাল টয়লেট করার নীতিগত সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে ।
Body:যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ স্কলারদের সংগগঠন JURSA-র বক্তব্য, তাঁরা কর্মসমিতির সিদ্ধান্তে হিউমিলিয়েটেড ফিল করছেন। তার কারণ কী তা বিস্তারিতভাবে জানিয়ে আজ কর্মসমিতির বৈঠকে ডেপুটেশন দেন তাঁরা। বৈঠক যেখানে হচ্ছিল তার বাইরে শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। এ বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, "রিসার্চ স্কলারদের সমস্যা হল ক্লাস নেওয়া। ওরা এতদিন সবই করছিল। ওদের তরফ থেকে কোনও সমস্যা হয়নি। সমস্যা হয়েছে অন্য একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। 30 সেপ্টেম্বর একটা জেনারেল রেজ্যুলুশন নেওয়া হয়েছিল যে, রিসার্চ স্কলারদের এখন থেকে আর অতিথি অধ্যাপক বা ভিজিটিং অধ্যাপক হিসেবে ট্রিট করা হবে না। তাঁরা কোনও রকম পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। এই জায়গাটাতে ওদের আপত্তি আছে যে, গেস্ট ফ্যাকাল্টি বা ভিজিটিং ফ্যাকাল্টি হিসেবে যদি ডেজিগনেশনটা পায় তাহলে ভবিষ্যতে চাকরিতে একটা সুবিধা হয়। সেই হিসেবে ওরা ক্লাস নিলে আমরা ভিজিটিং বা গেস্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবে আমরা ওদের সার্টিফিকেট দেব না। কিন্তু, ওরা যে ক্লাস নিয়েছে কোনও একটি বিষয়ে, কতো ঘন্টার জন্য সেই সার্টিফিকেটটা আমরা দেব। যেটা সার্টিফায়েড করবেন রেজিস্ট্রার ও এনডোর্স করবেন বিভাগীয় প্রধান বা স্কুলের ডিরেক্টর।"
রিসার্চ স্কলারদের দাবি, রেজিস্ট্রার আগে একটা সার্টিফিকেট দিতেন। কিন্তু, এখন বিভাগীয় প্রধান যে নিয়োগপত্র দেবেন তার কোনও মূল্য নেই। সে বিষয়ে চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, "এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রারই দেবেন। ইসিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রেজিস্ট্রার আগের মতোই ওদেরকে একটা এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট দেবেন, যা এনডোর্স করবেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধানরা বা স্কুলের ডিরেক্টররা। সেভাবেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু, তা সত্ত্বেও একটা সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ছাত্রদের ইনভিজিলেশন ডিউটি দিতে হবে। সেটা তাঁরা মানতে রাজি নন। ওরা শুধু ক্লাস নিতে পারে। আর কোনও রকম পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে তাঁরা যুক্ত থাকবেন না। ওদেরকে ইনভিজিলেশন ডিউটিতে রাখা হয় বহু জায়গাতেই। সেটা সেমিস্টার পরীক্ষা হতে পারে ক্লাস টেস্ট হতে পারে। ওদের বক্তব্য, ইনভিজিলেশনও তো পরীক্ষা ব্যবস্থার একটা অংশ। তাহলে ওরা যদি পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত না থাকতে পারে তাহলে ইনভিজিলেশনের ডিউটিও করবে না।"
রিসার্চ স্কলারদের সেই বক্তব্যে তৈরি হয়েছে মতপার্থক্য। যা কাটাতে ও রিসার্চ স্কলারদের সমস্যার সমাধানে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে আজকের বৈঠকে। সে বিষয়ে চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, "সেই দাবির প্রেক্ষিতে আজ ইসি থেকে আজকে একটা কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। যে কমিটির চেয়ারম্যান থাকছি আমি সহ-উপাচার্য হিসেবে। আমি আর্টস, সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ISLM ফ্যাকাল্টি থেকে বাকি সদস্যদের আমি নিয়োগ করব। সেখানে পড়ুয়াদের বক্তব্যও শুনব। তারপরে সামান্য হলেও যে সমস্যা হয়েছে সেটাকে কী করে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা যায় সেটা আমরা দেখব এবং যে রিপোর্টটা হবে সেটা পরবর্তী ইসিতে জমা দেব। একটা মতপার্থক্য হয়েছে। এই কমিটি সেই বিষয়গুলো নিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে তার সমাধান করার চেষ্টা করবে।"
আজ কর্মসমিতির বৈঠকের একাধিক দাবি-দাওয়া নিয়ে নিয়ে ডেপুটেশন জমা দেয় আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্ট ইউনিয়নও (AFSU)। হস্টেল সংক্রান্ত, ইন্টার্নাল কমপ্লেইনস কমিটিতে নির্বাচিত প্রতিনিধি, লিফ্টের মতো বেশ কিছু দাবি-দাওয়া সহ আবারও ক্যাম্পাসের দুটি জেন্ডার নিউট্রাল টয়লেটের দাবি জানান তাঁরা। AFSU-র সাধারণ সম্পাদক দেবরাজ দেবনাথ বলেন, " আমাদের বহুদিন ধরেই দাবি ছিল জেন্ডার নিউট্রাল বাথরুমের। আমরা চেয়েছি, যাতে 24 ঘন্টা, সাতদিন সেই টয়লেটগুলি খোলা থাকে। আপাতত একটি বাথরুম আছে। সেটা জেন্ডার নিউট্রাল না হলেও 24 ঘন্টা খোলা থাকে। আমরা আরও দুটো জেন্ডার নিউট্রাল বাথরুম চেয়েছি। একটা খেলার মাঠের পাশে ও একটা পিজি সায়েন্স বিল্ডিংয়ের পাশে।" যদিও, দুটি জেন্ডার নিউট্রাল টয়লেট করার নীতিগত সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে।
Conclusion: