কলকাতা, 20 অগস্ট: 2021 সালে পাস আউট ৷ তবু তার পরও প্রায় দু বছর ধরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় হস্টেল এবং ক্যাম্পাস চত্বরে আধিপত্য বজায় রেখেছিল ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় সদ্য গ্রেফতার হওয়া জয়দীপ ঘোষ ।
পুলিশ জানতে পেরেছে, 2021 সালে জয়দীপ ঘোষ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে পাস আউট । কিন্তু জয়দীপ ঘোষ এবং এই ঘটনায় প্রথম ধৃত সৌরভ চৌধুরী ছিল একে-অপরের অন্যতম সঙ্গী । পুরনো ছাত্র হওয়ার ফলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের আনাচে-কানাচে জয়দীপের ছিল বিশেষ আধিপত্য । গতকাল জয়দীপ ছাড়াও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা রক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় । নিরাপত্তা রক্ষীরাই পুলিশকে জানিয়েছেন যে, ঘটনার রাতে জয়দীপই তাঁদের বলেছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট বন্ধ করে দিতে, যাতে পুলিশ ঢুকতে না পারে ।
আরও পড়ুন: ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার শান্তশিষ্ট নাসিম ছিলেন 'গ্রামের গর্ব' !
তদন্তকারীদের দাবি, ধৃত জয়দীপ ঘোষের রাজনৈতিক পরিচয়ও রয়েছে । এই রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রভাব খাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে তিনি একাধিক অনৈতিক কাজ করে বেড়াতেন । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যাদবপুরের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর পর, সেই রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল লাগোয়া মাঠে চারবার যে জেনারেল বডি মিটিং সৌরভ চৌধুরীর নেতৃত্বে হয়েছিল, তার অন্যতম কারিগর ছিলেন জয়দীপ ঘোষ ।
তবে ওই ছাত্রের মৃত্যুর সময় জয়দীপ ঘোষ ঘটনাস্থলে ছিলেন, নাকি পরে তাঁকে ফোন করে ডাকা হয়েছিল সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি । এই বিষয়ে তদন্তকারীরা মনে করছেন, যেহেতু সৌরভ চৌধুরীর অত্যন্ত পরিচিত ধৃত জয়দীপ ঘোষ, সেই কারণে সৌরভ এবং জয়দীপকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা যেতে পারে ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট 13 জনকে গ্রেফতার করেছে লালবাজার । এই 13 জনের মধ্যে সিংহভাগই হলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী । ফলে একটা ব্যাপার স্পষ্ট যে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে বর্তমান পড়ুয়ার থেকে বেশি প্রভাব ছিল প্রাক্তন পড়ুয়াদের ।