নয়াদিল্লি, 3 জানুয়ারি: তাঁর গতিবিধির উপর নজর রাখছেন তৃণমূলের প্রাক্তন লোকসভা সাংসদ মহুয়া মৈত্র ৷ এমনটাই অভিযোগ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাই ৷ এমনকী এই বেআইনি নজরদারির কথা জানিয়ে সিবিআইয়ের কাছেও অভিযোগ করেছেন ৷ কোনওভাবে তিনি আর মাথা নত করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন আইনজীবী ৷ এদিকে বুধবারই সুপ্রিম কোর্টে মহুয়া মৈত্রের বহিষ্কার মামলার শুনানি ৷
আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাই বলেন, "আমি সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি ৷ এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যু ৷ ওড়িশার কয়েকজন লোক এর সঙ্গে যুক্ত ৷ তাঁরা এতে আর্থিক সাহায্য করছেন এবং সমর্থনও করছেন ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের কাছে জানিয়েছি ৷ এই যুদ্ধটা কিছুটা বিপজ্জনক ৷ তবে আমি মাথা নোয়াব না ৷" এর আগে মঙ্গলবার জয় জানিয়েছিলেন, মহুয়া মৈত্র তাঁর উপর বেআইনিভাবে নজরদারি চালাচ্ছেন ৷ আর এতে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশরা তাঁকে সাহায্য করছে ৷
সিবিআই-এর ডিরেক্টর প্রবীণ সুদ এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তিনি 29 ডিসেম্বর চিঠি লেখেন ৷ চিঠিতে জয় অনন্ত দেহদরাই লেখেন, "মহুয়া মৈত্র তাঁর প্রভাব এবং যোগাযোগের অপব্যবহার করছেন ৷ তিনি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের সাহায্যে অনেকের কল ডিটেলস জোগাড় করছেন ৷ এভাবে মহুয়া অন্যের উপর নজরদারি চালানোর ইচ্ছা তৃপ্ত করছেন ৷ এমনকী ওই ব্যক্তির সঙ্গে যাঁদের যোগাযোগ রয়েছে, তাঁরা কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন, সেসবের উপরেও নজর রাখছেন মহুয়া মৈত্র ৷" জয় অনন্ত দেহদ্রাই আরও অভিযোগ করেছেন, 2019 সালে মহুয়া সুহান মুখার্জি নামের এক ব্যক্তির উপর নজরদারি চালিয়েছিলেন ৷ মহুয়াও অবশ্য এই অভিযোগের পালটা জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে তদন্তের কথা জানান ৷
গত অক্টোবরে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ তোলেন ৷ তিনি লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে লেখা একটি চিঠিতে জানান, ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে উপহার নিয়েছেন তৎকালীন লোকসভা সাংসদ মহুয়া ৷ এমনকী টাকাও নিয়েছেন ৷ এর বদলে তিনি লোকসভায় আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ৷
এদিকে মহুয়া মৈত্র লোকসভায় বরাবরই আদানি গোষ্ঠীর সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ৷ তবে নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করে নিজেকে প্রচারের আলোয় আনতে চেয়েছেন ৷ এছাড়া সংসদের ওয়েবসাইটের সাংসদদের লগ-ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানিকে দিয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র ৷ এই অভিযোগের বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটি গঠিত হয় ৷ এই কমিটির পেশ করা রিপোর্টের ভিত্তিতেই বহিষ্কার করা হয় মহুয়া মৈত্রকে ৷
আরও পড়ুন: