ETV Bharat / state

জাগুয়ার দুর্ঘটনায় তথ্যের 'বাক্স' মিললেও খুলল না জট - অত্যাধুনিক থ্রিডি স্ক্যানার ক্যামেরা

শেক্সপিয়র সরণি থানা এলাকার দুর্ঘটনা কী ভাবে ঘটল? কত স্পিডে চলছিল গাড়ি? দুর্ঘটনার আগে ঠিক কোথায় কোথায় গেছিলেন আরসালান পারভেজ? গোয়েন্দা বিভাগ তদন্তভার হাতে নেওয়ার পরে এগুলোই জানতে চাইছে এখন‌ । অবশেষে জাগুয়ার গাড়ি থেকে মিলল তথ্যের 'বাক্স' ৷ সেই সূত্রে গাড়িটির EDR গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারে বলে মনে করছে কলকাতা পুলিশ ।

ফরেন্সিক দল
author img

By

Published : Aug 21, 2019, 7:16 AM IST

Updated : Aug 22, 2019, 12:37 AM IST

কলকাতা, 21 অগাস্ট : অবশেষে জাগুয়ার গাড়ি থেকে মিলল তথ্যের 'বাক্স' ৷ আদতে সেটি EDR (ইভেন্ট ডেটা রেকর্ডার) । জাগুয়ার কর্তৃপক্ষের তরফে দিল্লি থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এলেন । কিন্তু তাতেও জট খুলল না । কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, যে বিশেষজ্ঞ পাঠিয়েছে জাগুয়ার কর্তৃপক্ষ তিনি EDR এনকোড করতে পারেন । কিন্তু ডিকোড যিনি করতে পারেন, তিনি আসেননি । ফলে শেক্সপিয়ার সরণিতে জাগুয়ার দুর্ঘটনায় ধোঁয়াশা এখনও অব্যাহত ।

শেক্সপিয়র সরণি থানা এলাকার দুর্ঘটনা কী ভাবে ঘটল? কত স্পিডে চলছিল গাড়ি? দুর্ঘটনার আগে ঠিক কোথায় কোথায় গেছিলেন আরসালান পারভেজ? গোয়েন্দা বিভাগ তদন্তভার হাতে নেওয়ার পরে এগুলোই জানতে চাইছে এখন‌ । সেই সূত্রে গাড়িটির EDR গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারে বলে মনে করছে কলকাতা পুলিশ । গাড়িটি অত্যন্ত আধুনিক । গাড়িতে বসানো আছে EDR । যা থেকে গাড়িটির কত গতিবেগে ছিল, সিট বেল্ট বাঁধা ছিল কি না অথবা গাড়িটির কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছিল কি না সমস্ত তথ্যই পাওয়া যাবে । এই সব তথ্য বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যাবে অনেক কিছুই । কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, আজ EDR ডিকোডার বিশেষজ্ঞ শহরে আসতে পারেন । তারপরই পরিষ্কার হবে অনেক কিছু ।

তবে এ বিষয়ে তদন্তের কাজে অনেকটাই এগিয়েছেন গোয়েন্দারা । জাগুয়ার যে মার্সিডিজ়ে ধাক্কা মেরেছিল, তদন্তকারীরা সেই মার্সিডিজ় গাড়িকে ছাড়পত্র দিয়েছেন । সেটিকে ঘাতক গাড়ি হিসেবে বিবেচনা করছেন না তাঁরা । CCTV ফুটেজ বলছে, ওই গাড়িটি 40-50 কিলোমিটার গতিবেগে ছিল । তবে ওই ফুটেজ দেখে বোঝা সম্ভব হচ্ছে না জাগুয়ারটির গতিবেগ কত ছিল । তবে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে নেতাজিনগর খুনে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক থ্রি ডি স্ক্যানার ক্যামেরা দিয়ে আশপাশের বাড়ি, রাস্তা, দোকান, পুলিশ কিয়স্ক, এমন কী দুর্ঘটনাস্থানের ছবি তোলা হয় । এই ছবি তদন্তের কাজে অনেকটাই সাহায্য করবে বলে মনে করছে পুলিশ ।

শনিবার রাতে লওডন স্ট্রিটে জাগুয়ার গাড়িটি প্রথমে ধাক্কা মারে মার্সিডিজ় গাড়িকে । তারপর ধাক্কা মারে 3 পথচারীকে । তার মধ্যে দু'জন বাংলাদেশের নাগরিক । তাঁদের SSKM হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন । ঘটনার জেরে গ্রেপ্তার করা হয় আরসালান রেস্তরাঁ চেনের মালিকের ছেলে আরসালানকে ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায় , মৃত দু'জনের নাম মইনুল আলম এবং ফারহানা ইসলাম তানিয়া । মইনুলের বয়স 36 । বাড়ি বাংলাদেশের ঝিনাইদহে । আর তানিয়ার বয়স তিরিশ । বাড়ি ঢাকায় । তৃতীয় ব্যক্তির অবশ্য তেমন বড় চোট লাগেনি । তাঁকে SSKM-এ প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় । তিনিও বাংলাদেশের নাগরিক । নাম কাজি মহম্মদ সফি রহমত উল্লাহ । বয়স ৩৬ । দুর্ঘটনাগ্রস্ত মার্সিডিজ় গাড়িতে থাকা চালক, যাত্রীরাও আহত হয়েছেন । তাঁদের নাম অমিত কাজারিয়া এবং কণিকা কাজারিয়া । পরিবারের লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় । পরে তাঁদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয় ।

কলকাতা, 21 অগাস্ট : অবশেষে জাগুয়ার গাড়ি থেকে মিলল তথ্যের 'বাক্স' ৷ আদতে সেটি EDR (ইভেন্ট ডেটা রেকর্ডার) । জাগুয়ার কর্তৃপক্ষের তরফে দিল্লি থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এলেন । কিন্তু তাতেও জট খুলল না । কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, যে বিশেষজ্ঞ পাঠিয়েছে জাগুয়ার কর্তৃপক্ষ তিনি EDR এনকোড করতে পারেন । কিন্তু ডিকোড যিনি করতে পারেন, তিনি আসেননি । ফলে শেক্সপিয়ার সরণিতে জাগুয়ার দুর্ঘটনায় ধোঁয়াশা এখনও অব্যাহত ।

শেক্সপিয়র সরণি থানা এলাকার দুর্ঘটনা কী ভাবে ঘটল? কত স্পিডে চলছিল গাড়ি? দুর্ঘটনার আগে ঠিক কোথায় কোথায় গেছিলেন আরসালান পারভেজ? গোয়েন্দা বিভাগ তদন্তভার হাতে নেওয়ার পরে এগুলোই জানতে চাইছে এখন‌ । সেই সূত্রে গাড়িটির EDR গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারে বলে মনে করছে কলকাতা পুলিশ । গাড়িটি অত্যন্ত আধুনিক । গাড়িতে বসানো আছে EDR । যা থেকে গাড়িটির কত গতিবেগে ছিল, সিট বেল্ট বাঁধা ছিল কি না অথবা গাড়িটির কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছিল কি না সমস্ত তথ্যই পাওয়া যাবে । এই সব তথ্য বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যাবে অনেক কিছুই । কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, আজ EDR ডিকোডার বিশেষজ্ঞ শহরে আসতে পারেন । তারপরই পরিষ্কার হবে অনেক কিছু ।

তবে এ বিষয়ে তদন্তের কাজে অনেকটাই এগিয়েছেন গোয়েন্দারা । জাগুয়ার যে মার্সিডিজ়ে ধাক্কা মেরেছিল, তদন্তকারীরা সেই মার্সিডিজ় গাড়িকে ছাড়পত্র দিয়েছেন । সেটিকে ঘাতক গাড়ি হিসেবে বিবেচনা করছেন না তাঁরা । CCTV ফুটেজ বলছে, ওই গাড়িটি 40-50 কিলোমিটার গতিবেগে ছিল । তবে ওই ফুটেজ দেখে বোঝা সম্ভব হচ্ছে না জাগুয়ারটির গতিবেগ কত ছিল । তবে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে নেতাজিনগর খুনে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক থ্রি ডি স্ক্যানার ক্যামেরা দিয়ে আশপাশের বাড়ি, রাস্তা, দোকান, পুলিশ কিয়স্ক, এমন কী দুর্ঘটনাস্থানের ছবি তোলা হয় । এই ছবি তদন্তের কাজে অনেকটাই সাহায্য করবে বলে মনে করছে পুলিশ ।

শনিবার রাতে লওডন স্ট্রিটে জাগুয়ার গাড়িটি প্রথমে ধাক্কা মারে মার্সিডিজ় গাড়িকে । তারপর ধাক্কা মারে 3 পথচারীকে । তার মধ্যে দু'জন বাংলাদেশের নাগরিক । তাঁদের SSKM হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন । ঘটনার জেরে গ্রেপ্তার করা হয় আরসালান রেস্তরাঁ চেনের মালিকের ছেলে আরসালানকে ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায় , মৃত দু'জনের নাম মইনুল আলম এবং ফারহানা ইসলাম তানিয়া । মইনুলের বয়স 36 । বাড়ি বাংলাদেশের ঝিনাইদহে । আর তানিয়ার বয়স তিরিশ । বাড়ি ঢাকায় । তৃতীয় ব্যক্তির অবশ্য তেমন বড় চোট লাগেনি । তাঁকে SSKM-এ প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় । তিনিও বাংলাদেশের নাগরিক । নাম কাজি মহম্মদ সফি রহমত উল্লাহ । বয়স ৩৬ । দুর্ঘটনাগ্রস্ত মার্সিডিজ় গাড়িতে থাকা চালক, যাত্রীরাও আহত হয়েছেন । তাঁদের নাম অমিত কাজারিয়া এবং কণিকা কাজারিয়া । পরিবারের লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় । পরে তাঁদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয় ।

Intro:কলকাতা, ২০ অগাস্ট: অবশেষে জাগুয়ার গাড়ি থেকে মিলল তথ্যের “বাক্স"! ভালো কোথায় বললে, সেটি EDR। জাগুয়ার কর্তৃপক্ষের তরফে দিল্লি থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এলেন। কিন্তু তাতেও জট খুললো না। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, যে বিশেষজ্ঞ পাঠিয়েছে জাগুয়ার কর্তৃপক্ষ তিনি EDR এনকোড করতে পারেন। কিন্তু ডি কোড যিনি করতে পারেন, তিনি আসেননি। ফলে শেক্সপিয়ার সরণি দুর্ঘটনায় ধোঁয়াশা এখনো অব্যাহত।
Body:শেক্সপিয়ার সরণি থানা এলাকার দুর্ঘটনা কিভাবে ঘটল? কত স্পিডে চলছিল গাড়ি? দুর্ঘটনার আগে ঠিক কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন আরসানাল পারভেজ? গোয়েন্দা বিভাগ তদন্তভার হাতে নেওয়ার পরে এগুলোই জানতে চাইছে এখন‌। সেই সূত্রে গাড়িটির EDR গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারে বলে মনে করছে কলকাতা পুলিশ। গাড়িটি অত্যন্ত আধুনিক। গাড়িতে বসানো আছে EDR। যা থেকে গাড়িটির কত গতিবেগে ছিল, সিট বেল্ট বাঁধা ছিল কি না অথবা গাড়িটির কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছিল কি না সমস্ত তথ্যই পাওয়া যাবে। এই সব তথ্য বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যাবে অনেক কিছুই। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর আগামীকাল EDR ডিকোডার বিশেষজ্ঞ শহরে আসতে পারেন। তারপরেই পরিষ্কার হবে অনেক কিছু।
Conclusion:তবে এ বিষয়ে তদন্তের কাজে অনেকটাই এগিয়েছে গোয়েন্দারা। তদন্তকারীরা মারসিটিস গাড়ি থেকে ছাড়পত্র দিয়েছে। সেটিকে ঘাতক গাড়ি হিসেবে বিবেচনা করছে না তারা। সিসিটিভি ফুটেজ বলছে, ওই গাড়িটি 40-50 কিলোমিটার গতিবেগে ছিল। তবে ওই ফুটেজ দেখে বোঝা সম্ভব হচ্ছে না জাগুয়ারটির গতিবেগ কত ছিল। তবে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে গতরাতে নেতাজি নগর খুনে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক থ্রিডি স্ক্যানার ক্যামেরা দিয়ে আশপাশের বাড়ি, রাস্তা, দোকান, পুলিশ কিয়স্ক, এমনকি দুর্ঘটনাস্থলের ছবি তোলা হয়। এই ছবি তদন্তের কাজে অনেকটাই সাহায্য করবে বলে মনে করছে পুলিশ।

গত শনিবার রাতে লওডন স্ট্রিটে একটি বেপরোয়া জাগুয়ার গাড়ি প্রথমে ধাক্কা মারে একটি মার্সিডিজ গাড়িকে। তারপর ধাক্কা মারে 3 পথচারীকে। তাদের মধ্যে দুজন বাংলাদেশের নাগরিক। তাদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার জেরে গ্রেপ্তার করা হয় আর্সেনাল রেস্টুরেন্ট চেনের মালিকের ছেলে আরসানালকে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত দুজনের নাম মইনুল আলম এবং ফারহানা ইসলাম তানিয়া। মইনুলের বয়স 36। তিনি বাংলাদেশের ঝিনাইদহর বাসিন্দা ছিলেন।আর তানিয়ার বয়স তিরিশ। তিনি ঢাকাবাসী। তৃতীয় ব্যক্তির অবশ্য তেমন বড় চোট লাগেনি। তাকে এসএসকেএম-এ প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনিও বাংলাদেশের নাগরিক। নাম কাজী মহম্মদ সফি রহমতউল্লাহ। বয়স ৩৬। দুর্ঘটনাগ্রস্ত মার্সিডিজ গাড়িতে থাকা ড্রাইভার প্যাসেঞ্জাররাও আহত হয়েছেন। তাদের নাম অমিত কাজারিয়া এবং কণিকা কাজারিয়া। তাদের অবশ্য পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে তাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়।



Last Updated : Aug 22, 2019, 12:37 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.