কলকাতা, 4 জুন: রাজপথ থেকে অলিগলি সর্বত্র আলোকময় হয়ে উঠেছে বাতিস্তম্ভে । আর কমবেশি বহু বাতিস্তম্ভেই আছে বিজ্ঞাপন দেওয়ার কাঠামো । ঝড়জল হলেই বাতিস্তম্ভগুলি ভেঙে পড়ে বিপদ ঘটার সম্ভাবনা থাকে । কখনও কোনও কোনও বাতিস্তম্ভ ভেঙেও পড়ে ৷ তাই এই স্তম্ভগুলো নিরাপদ না নাগরিক জীবনে ঝুঁকিপূর্ণ ? বাতিস্তম্ভে এই বিজ্ঞাপনী কাঠামোগুলি কতটা নিরাপদ ? তা কি খুলে দেওয়াই ভালো ? এই সমস্ত বিষয় নিয়ে এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়ে সমীক্ষা করছে কলকাতা পৌরনিগম কর্তৃপক্ষ ।
ঝড়বৃষ্টি হলেই কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে গাছের ডাল ভেঙে পড়া বা গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনা ঘটে । সঙ্গে দেখা যায় আলোকস্তম্ভ বা সিগন্যাল পোস্ট উপরে গিয়েছে । এর জেরে অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয় গাড়ি, আহত হওয়ার সম্ভবনা থাকে পথচলতি মানুজনের । তবে আরও বেশি ঝুঁকি থাকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ।
কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে খবর, বিপদ আঁচ করে সম্প্রতি মেয়র ফিরহাদ হাকিম মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন শহরের বাতিস্তম্ভগুলো থেকে বিজ্ঞাপন কাঠামো সরিয়ে দেওয়ার ও বিজ্ঞাপন না লাগানোর । এর ফলে প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষতি হবে পৌরনিগমের ৷ কলকাতার প্রায় 10 হাজার পোস্টে এমন বিজ্ঞাপন কাঠামো আছে ।
এই নির্দেশের পর থেকেই ল্যাম্পপোস্টে বিজ্ঞাপন কাঠামো থাকলেও তাতে বিজ্ঞাপন দেওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না কলকাতা কর্পোরেশন । পাশাপশি পোস্টগুলো কী অবস্থায় রয়েছে, বা ঝড় জলের সময় কতটা ঝুঁকি আছে নাকি ঠিক আছে সবটা খতিয়ে দেখতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারস্থ হচ্ছে কলকাতা কর্পোরেশন । তারা এই পোস্টগুলো নিয়ে সমীক্ষা করবে ।
এই প্রসঙ্গে পৌরনিগমের এক আধিকারিক জানান, বাতিস্তম্ভে থাকা এরকম বিজ্ঞাপন কাঠামো থেকে আমদের আয় হতো তিন কোটি টাকা । মেয়র সাহেব এই বিজ্ঞাপন কাঠামো খোলার পক্ষে মত দিয়েছেন । তিনি চাইছেন বিজ্ঞাপনের আয় কমলেও যাতে মানুষের প্রাণহানি না হয় কোনওভাবেই । এখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সমীক্ষা করে কী বলে ঝুঁকি আছে কি না, তার উপর জোর দিয়ে মেয়রের সঙ্গে কথা বলা হবে ।
আরও পড়ুন : বিজ্ঞাপন নীতি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ কর্পোরেশনের, কপালে ভাঁজ বিজ্ঞাপনী সংস্থার