কলকাতা, 14 অগস্ট: যাদবপুরের প্রথম বর্ষের ছাত্রমৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত যাদবপুর। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। স্পষ্টভাবেই তিনি বলেন, "কোনওভাবেই এই ঘটনার দায় এড়িয়ে যেতে পারে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।" একই সঙ্গে, দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেও তিনি সাফ জানিয়েছেন, এই ঘটনায় কোনওভাবেই যোন নিরপরাধ ছাত্ররা ফেঁসে না যায়। যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা উচিৎ নয় বলেও জানিয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক ৷
সোমবার যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে নওশাদ বলেন, "যাদবপুরে যে ঘটনা ঘটেছে কোনওভাবেই তা কাঙ্ক্ষিত ছিল না। যাদবপুরকে আমরা বিপ্লবের আঁতুড়ঘর বলে জানি। কিন্তু সেই যাদবপুরেও যে এই ঘটনা ঘটে যেতে পারে আমরা কেউ ভাবতেও পারিনি।" এর সঙ্গেই তিনি বলেন, "এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন অনেকে অনেক কিছু বলছে। অনেকেই সক্রিয় হচ্ছেন। তবে আমি বলব, যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কোনও রাজনীতির রং না দেখে তাদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে একথাও বলব, এখানে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে যেন রাজনীতিকরণ না করে ফেলা হয় ৷ নিরীহ ও নিরপরাধ ছেলেরা যাতে এই কাণ্ডে না ফেঁসে যায় সেটাও আমাদের দেখতে হবে।" তিনি আরও জানান, যাদবপুর কর্তৃপক্ষ কোনওভাবেই এই ঘটনার দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। যাদবপুর কর্তৃপক্ষকে সবার প্রথমে এর দায় নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন নওশাদ।
আরও পড়ুন: যাদবপুর-কাণ্ডে লালবাজারের নজরে আরও চার, রয়েছে ভিন রাজ্যের যোগ !
এদিন তিনি বলেন, "প্রাক্তনীদের হস্টেলে থাকা থেকে শুরু করে যে অভিযোগগুলো উঠছে বা সিসিটিভি ওখানে বিকল থাকা সবটাই কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা প্রমাণ করে। একইভাবে লোকাল প্রশাসনও যে উদাসীন ছিল এমন অভিযোগও উঠছে ৷ এক্ষেত্রে কেউ দায় অস্বীকার করতে পারে না।"
নওশাদের কথায়, "আমি চাই না পশ্চিমবঙ্গের কোনও শিক্ষা কেন্দ্রে এ ধরনের ঘটনা ঘটুক। কোনও মাকে এভাবে যেন তাঁর সন্তানকে হারাতে না হয়। একই সঙ্গে আমি বলব ছাত্র-ছাত্রীদের আর সব ছেড়ে শিক্ষায় মনোনিবেশ করা দরকার। যে লক্ষ্যে তাদের পরিবার পাঠিয়েছে সেদিকেই তারা যেন নজর দেন তাও দেখতে হবে। অবশ্যই আন্দোলন -প্রতিবাদ -প্রতিরোধ হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে তার শিক্ষাকে উপেক্ষা করে তা যেন না হয়। যাদবপুরের ছাত্ররা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে। এই ধরনের ঘটনা কোনওভাবেই কাম্য নয়।"