কলকাতা, 19 নভেম্বর: কলকাতা বিমানবন্দরে কর্তব্যরত পুলিশ ও বিমান সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ এডিজি প্রভিশানিং আইপিএস অনির্বাণ রায়ের বিরুদ্ধে। পুলিশের পক্ষ থেকে এনএস সিবিআই এয়ারপোর্ট থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে ৷ রবিবার দুপুরে দিল্লি যাবার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে আসেন এডিজি প্রভিশানিং আইপিএস অনির্বাণ রায়। তখনই এমন অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে ৷
অভিযোগ, কলকাতা বিমানবন্দরে ভিতরে কর্তব্যরত এনএস সিবিআই এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন তিনি। এমনকী কর্তব্যরত মহিলা পুলিশ কর্মীদের খারাপ ভাষাও প্রয়োগ করেন তিনি। আরও অভিযোগ, এরপর লাউঞ্জ-এর ভিতরে অত্যধিক লাগেজ নিয়ে যাওয়া নিয়ে কর্তব্যরত বিমান সংস্থার কর্মীদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন তিনি। ওই অফিসার তাঁর সঙ্গে নিয়ে আসা বেশি জিনিসের জন্য সংশ্লিষ্ট বিমান কর্তৃপক্ষকে কোনও চার্জ দিতে রাজি হননি। এরপরই বাঁধে গণ্ডগোল ৷
এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। পুলিশের পক্ষ থেকে এডিজিকে বিমান বন্দরের ভিতর থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়। এডিজি অনির্বাণ রায়কে আটক করা না-হলেও, পুলিশের পক্ষ থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে এনএস সিবিআই এয়ারপোর্ট থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকেও থানায় ডিজির বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ জানানো হয়েছে।
এদিকে, কলকাতা বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী যাতায়াত করেন। রবিবার দুপুরে একাধিকবার চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হতে বিমানবন্দরের যাত্রীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়। অনেকে যাত্রী ওই আইপিএস অফিসারকে প্রকাশ্যে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়াতে দেখেন। একজন সিনিয়র আইপিএস অফিসারের এমন আচরণ অনভিপ্রেত বলেই মনে করছেন যাত্রীরা।
বিমানবন্দেরর এক যাত্রী বলেন, "সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই পুলিশকর্মীরা দিন রাত এক করে এখানে ডিউটি করেন। কেউ কোনও উচ্চপদে চাকরি করতে পারেন, তার মানে তিনি বাকিদের থেকে কোনওভাবেই আলাদা হয়ে যান না। আইপিএস অফিসার হয়ে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করাটা মোটেই সঠিক কাজ হয়নি। এই ধরের কাজ করা কখনই উচিত নয়।
আরও পড়ুন: