কলকাতা, 19 এপ্রিল : লকডাউনে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে এগিয়ে এল ভারতীয় ডাকবিভাগ । চিঠিপত্র ও পার্সেল পৌঁছে দেওয়া প্রধান কাজ হলেও, এবার অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী স্থানান্তরের কাজেই প্রাধান্য দিচ্ছে তারা । দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ছোটো-বড় হাসপাতালগুলিতে প্রাণদায়ী ওষুধ, মাস্ক, গ্লাভস, PPE কিট, ভেন্টিলেটর, হ্যান্ড স্যানিটাইজা়র, COVID-19 পরীক্ষার কিটসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে । পাশাপাশি এই লকডাউনের সময় যাঁরা চিঠি বা পার্সেল ডাকের মাধ্যমে পাঠাচ্ছেন, তাঁদের বলে দেওয়া হচ্ছে যে পরিবহন পরিষেবার অভাবে সেগুলি পৌঁছাতে দেরি হতে পারে।
কোরোনা মোকাবিলায় দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে । বন্ধ ট্রেন ও বিমান পরিষেবা । তবে ছাড় দেওয়া হয়েছে মালবাহী বিমান ও ট্রেনগুলিকে । এতদিন খবর পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যম হিসাবে কাজ করলেও, বর্তমানে পোস্ট অফিস সাধারণ মানুষের প্রাণ বাঁচাচ্ছে । ইন্ডিয়ান পোস্টের ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কেলের চিফ পোস্টমাস্টার জেনেরাল গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, "বর্তমানে সব ধরনের পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে । তাই হাসপাতালসহ অন্যান্য জায়গায় যেখানে ওষুধপত্র ও চিকিৎসার সামগ্রীর প্রয়োজন রয়েছে সেখানে তা পৌঁছে দিচ্ছে ডাকবিভাগ। যদিও চিঠিপত্র ও পার্সেল পৌঁছে দেওয়াই আমাদের প্রধান দায়িত্ব। তবে এই মুহূর্তে আমরা জরুরি সামিগ্ৰী সময়মতো পৌঁছে দেওয়ার কাজটিকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছি ।"
গৌতমবাবু আরও বলেন, "এইসব জরুরি সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা হল, কর্মীর অভাব। এখন বহু কর্মী কাজে আসতে পারছেন না । তাই যাঁরা শহর ও শহরতলিতে রয়েছেন তাঁদের আমরা গাড়ি দিয়ে কাজে নিয়ে আসছি । তারপর তাঁরা কাজে যোগ দিতে পারছেন ।"
সাধারণত চিঠি বিমান ও ট্রেনের সাহায্যে পৌঁছানো হয়ে থাকে । তাই বর্তমানে যেসব সামগ্রী বিমানে আসছে সেগুলিকে কলকাতা ও কলকাতার বাইরে মেইল ভ্যানের সাহায্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে । সাধারণত এই মেইল গাড়িগুলি চিঠিপত্র ও পার্সেল পৌঁছানোর কাজেই ব্যবহার করা হয় । ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরের একটি বড় কনসাইনমেন্ট ডাকবিভাগের মাধ্যমে পটনা, শিলিগুড়ি ও বারাণসীতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি বহু বেসরকারি সংস্থার ওষুধপত্রও পৌঁছে দিয়েছে পোস্ট অফিস ।