কলকাতা, 30 এপ্রিল : এক মহিলা পুলিশকে শাস্তি দেওয়া না হলে লকডাউনের মধ্যেও বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হওয়ার হুঁশিয়ারি দিল নার্সেস ইউনিটি । নার্সদের এই সংগঠনের হুঁশিয়ারির বিষয়টি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে জানানো হয়েছে । অভিযোগ ওই মহিলা পুলিশকর্মী এক নার্সকে চড় মেরেছেন ৷
হুগলিকে কনটেনমেন্ট জ়োন হিসেবে ঘোষণা করার পর থেকে চন্দননগর কমিশনারেটের বিভিন্ন এলাকায় নাকা চেকিং শুরু হয়েছে । সোমবার রাতে চন্দননগর হাসপাতালের একজন নার্স বাইকে হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিলেন । ফটকগোড়া এলাকায় পথ আটকায় পুলিশ । জানা গেছে, নার্সের পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া হয় । অভিযোগ, পরিচয়পত্র দেখাতে না পারার কারণে ওই নার্স ও তাঁর স্বামীকে আটকে রাখা হয় । এরপর বচসা চলাকালীন ওই মহিলা পুলিশ ওই নার্সকে চড় মারেন ৷ এই ঘটনায় ওই মহিলা পুলিশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে নার্সেস ইউনিটি ।
নার্সদের এই সংগঠনের সেক্রেটারি ভাস্বতী মুখোপাধ্যায় বলেন, "একজন নার্স নাইট ডিউটির জন্য স্বামীর সঙ্গে বাইকে চেপে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন । রাস্তায় পুলিশ তাঁকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে । নার্সের উত্তর শুনে মহিলা পুলিশ সন্তুষ্ট না হলে, হাসপাতালের সুপারকে ফোনে কথা বলাতে চাইলে, তাতেও রাজি না হয়ে সটান চড় মারেন । " তিনি বলেন, " স্বাভাবিকভাবেই ওই নার্স হতভম্ভ হয়ে যান । ঘটনার এখানেই শেষ নয় । ওই নার্স ও তাঁর স্বামীকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় । খবর পেয়ে চন্দননগর হাসপাতালের সুপার থানায় যান । সেখানে বাদানুবাদ হয় । "
তিনি আরও বলেন, "আমাদের সংগঠন স্বাভাবিকভাবেই এই অন্যায়কে কোনওভাবেই মেনে নিতে পারে না । দোষী ওই মহিলা পুলিশকর্মীর শাস্তি চেয়ে আমরা রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছে দাবিপত্র পেশ করেছি । আমাদের এই দাবি পূরণ না হলে এই লকডাউনের মধ্যেও সংগঠনের নেতৃত্বে আমরা বৃহত্তর প্রতিবাদে শামিল হব । " জানা গেছে, আজ নার্সেস ইউনিটির তরফে মুখ্যসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে । যদিও, দাবি থেকে এখনও সরে আসেনি নার্সদের এই সংগঠন ।