কলকাতা, 11 এপ্রিল : কেমন ছিল প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ছাত্র রাজনীতির দিনগুলি ? কীভাবে তাঁরা বঙ্গ রাজনীতিতে হয়ে উঠেছিলেন অভিন্ন প্রিয়-সুব্রত জুটি ? বর্তমান প্রজন্মের কাছে একদম ছবির মতো সেই স্মৃতি তুলে ধরতে কলম ধরেছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। লকডাউনের মধ্যে স্মৃতির কোলাজ সাজিয়ে একটি আস্ত বই লিখে ফেলতে চান তিনি। ETV ভারতকে সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানালেন তাঁর এই দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণের কথা।
ষাটের দশক থেকে সত্তরের দশকের কথা। সকলের মুখে মুখে ফিরত ডানপন্থী ছাত্র-যুব আন্দোলনের দুই মুখের কথা। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায় । আলাদা করে কোনও পরিচিতি ছিল না। তাঁদের ছিল একটাই পরিচিতি। সকলের কাছে অচিরেই হয়ে উঠেছিলেন "প্রিয় - সুব্রত"। দিন বদলেছে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে অভিন্ন হৃদয়ের এই জুটির কথা কিছুটা অজানা থাকলেও, এখনো ভোলেননি প্রবীণ মানুষেরা। বেশ কয়েক বছর কোমায় থাকার পরে প্রয়াত হয়েছেন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। সুব্রত মুখোপাধ্যায় বর্তমানে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির মৃত্যুর সময় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন "দ্বিতীয়বার পিতৃহারা হলাম।"
হাজার ব্যস্ততার মধ্যেও সব সময় প্রিয়রঞ্জনের স্মৃতি মাথায় ঘোরাফেরা করে সুব্রতর। লকডাউনে কাজ নেই, গৃহবন্দী থাকা দিনগুলিতে সারাদিনই হাতরে চলেছেন পুরনো স্মৃতি। প্রিয়রঞ্জনের পুরনো ফটো, চিঠি, কাগজ সহ আনুষঙ্গিক জিনিষ গুলোকে সব সময় নাড়াচাড়া করে চলেছেন মন্ত্রী। স্মৃতি রোমন্থনের পাশাপাশি মাঝেমধ্যে তা কাগজ-কলমে লিখে ফেলছেন তিনি । তবে দুই-একদিনের মধ্যে পুরোদমে শুরু করবেন লেখার কাজ। ছাত্র-যুব আন্দোলনের দিনগুলির পূর্ণাঙ্গ স্মৃতির কোলাজে সাজাবেন। তুলে ধরবেন বিভিন্ন তথ্য। অজানা বহু গল্প উঠে আসবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কলম থেকে। বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ছাত্র যুব - নেতা নেত্রীদের কাছে যা হবে একটি দলিল। ETV ভারতকে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রিয়দার , "স্মৃতিগুলো নিয়েই পড়ে আছি লকডাউনে। সেই সব পুরোনো দিনগুলো নিয়ে লিখছি বই।"