মির্জাপুর (উত্তরপ্রদেশ), 5 জানুয়ারি: প্রথমে মোবাইল চুরির কথা বলে শিশুকে মারধর ! তারপর গোপনাঙ্গে লঙ্কা দেওয়ার অভিযোগে গ্রাম প্রধান-সহ 7 জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ । ঘটনাটি ঘটেছে মির্জাপুর জেলার হালিয়া থানা এলাকার একটি গ্রামে ৷
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি 31 ডিসেম্বরের। অভিযোগ, শিশুটিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গ্রামের কয়েকজন বেধড়ক মারধর করে । ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, প্রচণ্ড ঠান্ডায় গায়ের পোশাক খুলে, হাত বেঁধে লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর করা হচ্ছে ৷ এরপর লাথি মারা হয় তাকে । লাঠি ভেঙে গেলে পাথরের উপর ছুড়ে মারা হয়।
পরে আরেকটি লাঠি এনে তাকে প্রধানের সামনে বসিয়ে আবারও নির্দয়ভাবে মারধর করা হয়। এতেও ক্ষান্ত হয়নি কেউ ৷ নৃশংসভাবে বিদ্যুতের খুঁটিতে দড়ি দিয়ে বেঁধে শিশুটির গোপনাঙ্গে লঙ্কা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ফের শিশুটিকে মারতে থাকে অভিযুক্তরা ৷ আর পাশের মানুষজন তা দেখতে থাকে । সেই সময় সেখানে উপস্থিত কেউ ঘটনার ভিডিয়ো করে তা সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে । 3 জানুয়ারি ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই পুলিশ তৎপর হয় ৷
শিশুর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রাম প্রধান পান্নালাল ও তাঁর ছেলে বাবলু-সহ কৃষ্ণ বাহাদুর ওরফে ধীরজ প্যাটেল, সুরেন্দ্র কুমার, আশিস কুমার, আত্মরাম অগ্রহারি এবং মনোজ কুমার প্যাটেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ৷ তাদের সবাইকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে ৷
এই বিষয়ে অশোক কুমার সিং নামে এক পুলিশ আধিকারিক জানান, চুরির অভিযোগে শিশুটিকে মারধর করা হয়েছে । সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায । এই ঘটনায় বাবার অভিযোগে মামলা হয়েছে এবং সাত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে । তবে এই বিষয়ে পুলিশের বিরুদ্ধেও গুরুতর অভিযোগ করেছেন বাবা। তাঁর দাবি, বিচারের পরিবর্তে পুলিশ তার ছেলেকে প্রথমে 24 ঘণ্টা থানায় বসিয়ে রাখে। তাকে ফিরে পেতে দুই কুইন্টাল ধানও বিক্রি করতে হয়েছে ।