ETV Bharat / state

কতটা নিরাপদে আপনার LIC লগ্নি, আশঙ্কার আদৌ কি কোনও কারণ আছে ?

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক সুমন মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘LIC-র যে অংশ বিলগ্নিকরণ করা হচ্ছে, তাতে চিন্তার কিছু নেই । কারণ শেয়ারের একটা বড় অংশ এখনও থেকে যাবে সরকারের কাছেই । তাই আতঙ্কের কোনও কারণ নেই ।

Economist on LIC share
অর্থনীতিবিদ সুমন মুখোপাধ্যায়
author img

By

Published : Feb 5, 2020, 9:35 PM IST

কলকাতা, 5 ফেব্রুয়ারি : LIC-র শেয়ার IPO-র মাধ্যমে ছাড়া নিয়ে বাজেটে ঘোষণা হয়ে গেছে । দিনকয়েকের মধ্যে IPO-র মাধ্যমে শেয়ারবাজারে নথিভুক্ত হয়ে যাবে LIC-র একটা অংশ । এর জন্য সরকারের কোষাগারে আসতে চলেছে 77 হাজার কোটি টাকা । অন্তত অর্থনীতিবিদদের দাবি তেমনটাই । অর্থ মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তের পরে চিন্তায় পড়ে গেছেন গ্রাহকরা । তাঁদের চিন্তা একটাই, গচ্ছিত অর্থ নিরাপদে থাকবে তো?

অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক সুমন মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘LIC-র যে অংশ বিলগ্নিকরণ করা হচ্ছে, তাতে চিন্তার কিছু নেই । কারণ শেয়ারের একটা বড় অংশ এখনও থেকে যাবে সরকারের কাছেই । তাই আতঙ্কের কোনও কারণ নেই । এখন পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, তাতে 25 শতাংশের মতো শেয়ার আমজনতার জন্য IPO-র মাধ্যমে ছাড়া হবে । অর্থাৎ 75% শেয়ার থেকে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে । তাই সুরক্ষা নিয়ে সংশয় থাকার কথা নয়।" তাঁর মতে, ওই পরিমাণ অংশ বিলগ্নিকরণ হলে আখেরে লাভ হবে গ্রাহকদের । কারণ, এখন দেখা যায় একটি ইনসিওরেন্স ক্লেম হলেও অনেক সময় তা রিলিজ করতে সময় লাগে । কিন্তু সেখানে অংশীদারিত্ব এলে কর্মীদের উপর চাপ বাড়বে । ফলে, ফাইল তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিতে হবে । এতে আখেরে উপকৃত হবেন গ্রাহকরা ।

IPO কী? সুমনবাবু জানাচ্ছেন, IPO হল ইনিশিয়াল পাবলিক অফার । সরকারি কোনও সংস্থা বা সম্পত্তির একটা অংশ যদি বিলগ্নিকরণ করা হয় তবে সেটা IPO-র মাধ্যমেই করা হয় । যেমনটা হয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক সহ অন্য কয়েকটি ক্ষেত্রে । সহজে বললে, যদি একটি চারতলা বাড়ি থাকে তার একটি তলা যদি তার মালিক বিক্রি করে দেন সেক্ষেত্রে যেমনটা হয়, এটাও ঠিক তেমনই । অর্থাৎ বাড়ির মালিকের কাছে থাকছে বড় অংশ । LIC-র মতো সরকারি সংস্থার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি হয় IPO র মাধ্যমে । কেন্দ্রীয় সরকার এর মাধ্যমে LIC-র একটা অংশের শেয়ার বিক্রি করবে ।

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে কতটা অংশ বিলগ্নিকরণ হতে চলেছে LIC-র ? এখনও পর্যন্ত কর্পোরেশনের 100% মালিকানা কেন্দ্রীয় সরকারের । সুমন মুখোপাধ্যায় এপ্রসঙ্গে বলেন, “এবারের ডাইভার্সমেন্ট প্ল্যান আছে দুলাখ এক হাজার কোটি টাকার । তার এক তৃতীয়াংশ কেন্দ্রীয় সরকার তুলবে LIC থেকে । অর্থাৎ 70 হাজার কোটি টাকা LIC থেকে তুলবে সরকার । তবে এটাই প্রথম নয় । 2010 সালে IPO-র মাধ্যমে কোল ইন্ডিয়ার এক অংশ শেয়ারবাজারে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল । তখন তোলা হয়েছিল 15 হাজার কোটি টাকা ।"

কিন্তু কেন এটা করা হল? সুমনবাবুর উত্তর, “সরকারের এখন টাকার দরকার । বর্তমান সরকারের আমলে এখন নন পারফর্মিং অ্যাসেট (NPA) অনেক বেড়ে গেছে । এমনিতেও যে খুব একটা লাভ হচ্ছিল তা নয় । সরকার LIC-র অর্থ অন্যত্র বিনিয়োগ করছিল । তাতে ক্ষতিও হচ্ছিল । কিন্তু এখন একদিকে যেমন সরকারের হাতে অর্থ এল, অন্যদিকে যে শেয়ারহোল্ডাররা শেয়ার কিনবেন তাঁরা LIC-র কাজের দিকে নিশ্চিতভাবেই নজর রাখবেন । এখন IPO-র মাধ্যমে সরকার যদি বেশি মানুষের কাছে শেয়ার বিক্রি করে তবে একরকম বিষয় হবে । সরকারের নিয়ন্ত্রণ অনেক বেশি থাকবে । আবার যদি কোনও বিশেষ সংস্থা বেশিরভাগ শেয়ার কিনে নেয় সেক্ষেত্রে কিন্তু তাদেরও কথা শুনতে হবে । বিদেশে কোনও ইনসিওরেন্স সরকারি নয় । যে ব্যাঙ্কগুলি বেসরকারি সংস্থা চালাচ্ছে সেগুলির নন পারফর্মিং অ্যাসেটস অনেক কম । অর্থাৎ সরকারি ব্যাঙ্কের থেকে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি এক্ষেত্রে অনেক বেশি ভালো কাজ করছে।"

কী বললেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ সুমন মুখোপাধ্যায় ? দেখুন ভিডিয়ো


ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে সরাসরি সরকারের সুরক্ষা কবজ অনেকটাই কম । সেখানে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার দায়বদ্ধতাই নেয় সরকার । কিন্তু, ইনসিওরেন্সের ক্ষেত্রে পুরোটাই নিতে হবে সরকারকে । সরকার এই বিষয়ে হাত তুলে নেবে কি না সেটা আদালতের বিচার্য বিষয়। অর্থনীতিবিদের মতে, এই বাজেট পর্যন্ত যা হয়েছে তাতে আমানত সুরক্ষিত থাকবে । গ্রাহকের এই বিষয়টিতে আশঙ্কার কারণ নেই ।

কলকাতা, 5 ফেব্রুয়ারি : LIC-র শেয়ার IPO-র মাধ্যমে ছাড়া নিয়ে বাজেটে ঘোষণা হয়ে গেছে । দিনকয়েকের মধ্যে IPO-র মাধ্যমে শেয়ারবাজারে নথিভুক্ত হয়ে যাবে LIC-র একটা অংশ । এর জন্য সরকারের কোষাগারে আসতে চলেছে 77 হাজার কোটি টাকা । অন্তত অর্থনীতিবিদদের দাবি তেমনটাই । অর্থ মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তের পরে চিন্তায় পড়ে গেছেন গ্রাহকরা । তাঁদের চিন্তা একটাই, গচ্ছিত অর্থ নিরাপদে থাকবে তো?

অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক সুমন মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘LIC-র যে অংশ বিলগ্নিকরণ করা হচ্ছে, তাতে চিন্তার কিছু নেই । কারণ শেয়ারের একটা বড় অংশ এখনও থেকে যাবে সরকারের কাছেই । তাই আতঙ্কের কোনও কারণ নেই । এখন পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, তাতে 25 শতাংশের মতো শেয়ার আমজনতার জন্য IPO-র মাধ্যমে ছাড়া হবে । অর্থাৎ 75% শেয়ার থেকে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে । তাই সুরক্ষা নিয়ে সংশয় থাকার কথা নয়।" তাঁর মতে, ওই পরিমাণ অংশ বিলগ্নিকরণ হলে আখেরে লাভ হবে গ্রাহকদের । কারণ, এখন দেখা যায় একটি ইনসিওরেন্স ক্লেম হলেও অনেক সময় তা রিলিজ করতে সময় লাগে । কিন্তু সেখানে অংশীদারিত্ব এলে কর্মীদের উপর চাপ বাড়বে । ফলে, ফাইল তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিতে হবে । এতে আখেরে উপকৃত হবেন গ্রাহকরা ।

IPO কী? সুমনবাবু জানাচ্ছেন, IPO হল ইনিশিয়াল পাবলিক অফার । সরকারি কোনও সংস্থা বা সম্পত্তির একটা অংশ যদি বিলগ্নিকরণ করা হয় তবে সেটা IPO-র মাধ্যমেই করা হয় । যেমনটা হয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক সহ অন্য কয়েকটি ক্ষেত্রে । সহজে বললে, যদি একটি চারতলা বাড়ি থাকে তার একটি তলা যদি তার মালিক বিক্রি করে দেন সেক্ষেত্রে যেমনটা হয়, এটাও ঠিক তেমনই । অর্থাৎ বাড়ির মালিকের কাছে থাকছে বড় অংশ । LIC-র মতো সরকারি সংস্থার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি হয় IPO র মাধ্যমে । কেন্দ্রীয় সরকার এর মাধ্যমে LIC-র একটা অংশের শেয়ার বিক্রি করবে ।

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে কতটা অংশ বিলগ্নিকরণ হতে চলেছে LIC-র ? এখনও পর্যন্ত কর্পোরেশনের 100% মালিকানা কেন্দ্রীয় সরকারের । সুমন মুখোপাধ্যায় এপ্রসঙ্গে বলেন, “এবারের ডাইভার্সমেন্ট প্ল্যান আছে দুলাখ এক হাজার কোটি টাকার । তার এক তৃতীয়াংশ কেন্দ্রীয় সরকার তুলবে LIC থেকে । অর্থাৎ 70 হাজার কোটি টাকা LIC থেকে তুলবে সরকার । তবে এটাই প্রথম নয় । 2010 সালে IPO-র মাধ্যমে কোল ইন্ডিয়ার এক অংশ শেয়ারবাজারে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল । তখন তোলা হয়েছিল 15 হাজার কোটি টাকা ।"

কিন্তু কেন এটা করা হল? সুমনবাবুর উত্তর, “সরকারের এখন টাকার দরকার । বর্তমান সরকারের আমলে এখন নন পারফর্মিং অ্যাসেট (NPA) অনেক বেড়ে গেছে । এমনিতেও যে খুব একটা লাভ হচ্ছিল তা নয় । সরকার LIC-র অর্থ অন্যত্র বিনিয়োগ করছিল । তাতে ক্ষতিও হচ্ছিল । কিন্তু এখন একদিকে যেমন সরকারের হাতে অর্থ এল, অন্যদিকে যে শেয়ারহোল্ডাররা শেয়ার কিনবেন তাঁরা LIC-র কাজের দিকে নিশ্চিতভাবেই নজর রাখবেন । এখন IPO-র মাধ্যমে সরকার যদি বেশি মানুষের কাছে শেয়ার বিক্রি করে তবে একরকম বিষয় হবে । সরকারের নিয়ন্ত্রণ অনেক বেশি থাকবে । আবার যদি কোনও বিশেষ সংস্থা বেশিরভাগ শেয়ার কিনে নেয় সেক্ষেত্রে কিন্তু তাদেরও কথা শুনতে হবে । বিদেশে কোনও ইনসিওরেন্স সরকারি নয় । যে ব্যাঙ্কগুলি বেসরকারি সংস্থা চালাচ্ছে সেগুলির নন পারফর্মিং অ্যাসেটস অনেক কম । অর্থাৎ সরকারি ব্যাঙ্কের থেকে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি এক্ষেত্রে অনেক বেশি ভালো কাজ করছে।"

কী বললেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ সুমন মুখোপাধ্যায় ? দেখুন ভিডিয়ো


ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে সরাসরি সরকারের সুরক্ষা কবজ অনেকটাই কম । সেখানে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার দায়বদ্ধতাই নেয় সরকার । কিন্তু, ইনসিওরেন্সের ক্ষেত্রে পুরোটাই নিতে হবে সরকারকে । সরকার এই বিষয়ে হাত তুলে নেবে কি না সেটা আদালতের বিচার্য বিষয়। অর্থনীতিবিদের মতে, এই বাজেট পর্যন্ত যা হয়েছে তাতে আমানত সুরক্ষিত থাকবে । গ্রাহকের এই বিষয়টিতে আশঙ্কার কারণ নেই ।

Intro:কলকাতা, 6 ফেব্রুয়ারি: বাজেটে ঘোষণা হয়ে গেছে। দিন কয়েকের মধ্যে IPOর মাধ্যমে শেয়ারবাজারে নথিভুক্ত হয়ে যাবে লাইফ ইন্সুরেন্স কর্পোরেশনের একটা অংশ। এর জন্য সরকারের কোষাগারে আসতে চলেছে 77 হাজার কোটি টাকা। অন্তত অর্থনীতিবিদদের দাবি তেমনটাই। অর্থ মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তের পরে অনেকটাই চিন্তায় পড়ে গেছেন গ্রাহকরা। তাদের চিন্তা একটাই। গুচ্ছিত অর্থ নিরাপদে থাকবে তো?



Body:বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক সুমন মুখোপাধ্যায় বলছেন, “ লাইফ ইন্সুরেন্স কর্পোরেশনের যে অংশ বিলগ্নীকরণ করা হচ্ছে, তাতে চিন্তার কিছু নেই। কারণ শেয়ারের একটা বড় অংশ এখনও থেকে যাবে সরকারের কাছেই। সেই সূত্রে আঁতকে ওঠার কোন কারণ নেই। এখন অব্দি যা জানা যাচ্ছে তাতে 25 শতাংশের মতো শেয়ার আমজনতার জন্য আইপিওর মাধ্যমে ছাড়া হবে। অর্থাৎ 75% শেয়ার থেকে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। তাই সুরক্ষা নিয়ে সংশয় থাকার কথা নয়।" তার মতে, ওই পরিমাণ অংশ বিলগ্নীকরণ হলে আখেরে লাভ হবে গ্রাহকদের। কারণ, এখন দেখা যায় একটি ইন্স্যুরেন্সের ক্লেম হলে কর্মীদের সরকারি মানসিকতার জন্য অনেক সময় টেবিলে ফাইল ইচ্ছাকৃতভাবে ফেলে রাখা হয়। কিন্তু সেখানে অংশীদারিত্ব এলে কর্মীদের ওপর চাপ বাড়বে। ফলে ফাইল তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিতে হবে। এতে আখেরে উপকৃত হবেন গ্রাহকরা।

IPO কি?

IPO হল ইনিশিয়াল পাবলিক অফার। সরকারি কোন সংস্থা বা সম্পত্তির একটা অংশ যদি বিলগ্নীকরণ করা হয় তবে সেটা IPO র মাধ‍্যমেই করা হয়। যেমনটা হয়েছিল স্টেট ব‍্যাঙ্ক সহ অন‍্য কয়েকটি ক্ষেত্রে। সহজে বললে, যদি একটি চারতলা বাড়ি থাকে তার একটি তলা যদি তার মালিক বিক্রি করে দেন সে ক্ষেত্রে যেমনটা হয়, এটাও ঠিক তেমনই। অর্থাৎ বাড়িটির মালিকানা আগের মালিকের কাছে থাকছে বড় অংশ। একটা ছোট দেওয়া হচ্ছে। এলআইসির মত সরকারি সংস্থার ক্ষেত্রে এই বিষয়কে করা হয় IPO র মাধ‍্যমে। কেন্দ্র সরকার এর মাধ্যমে এলআইসির একটা অংশের শেয়ার বিক্রি করবে।

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে কতটা অংশ বিলগ্নীকরণ হতে চলেছে লাইফ ইন্সুরেন্স কর্পোরেশনের? এখনো পর্যন্ত কর্পোরেশনের 100% মালিকানা কেন্দ্রীয় সরকারের। সুমন মুখোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, “ এবারের ড্রাইভারর্সমেন্ট প্ল্যান আছে দু লক্ষ এক হাজার কোটি টাকার। তার এক তৃতীয়াংশ কেন্দ্রীয় সরকার তুলবে LIC থেকে। অর্থাৎ 70 হাজার কোটি টাকা এলআইসি থেকে তুলবে সরকার। এটা প্রথম নয়। 2010 সালে IPO র মাধ‍্যমে কোল ইন্ডিয়ার এক অংশ শেয়ারবাজারে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল। তখন তোলা হয়েছিল 15 হাজার কোটি টাকা। যদি কোন বাড়ির একটা তলা কাউকে বিক্রি করা হয় তবে সেই বাড়ির মালিকানা চলে যায় না। এখন যদি টিভিতে চলা বিক্রি করে দেওয়া হয় তখন বলা যেতে পারে মালিকানা হাত থেকে চলে গেল।"

কিন্তু কেন এটা করা হলো?

সুমন বাবুর উত্তর, “সরকারের এখন টাকা দরকার। বর্তমান সরকারের আমলে এখন নন পেরফর্মিং অ্যাসেট(NPA), অনেক বেড়ে গেছে। এমনিতেও খুব একটা লাভ হচ্ছিল তেমনটা নয়। সরকার এলআইসির অর্থ অন্যত্র বিনিয়োগ করছিলই। তাতে ক্ষতিও হচ্ছিল। কিন্তু এখন একদিকে যেমন সরকারের হাতে অর্থ এল, অন্যদিকে যে শেয়ারহোল্ডাররা শেয়ার কিনবেন তারা এলআইসির কাজের দিকে নিশ্চিতভাবেই নজর রাখবেন। এখন আইপিওর মাধ্যমে সরকার যদি বেশি মানুষ জনের কাছে শেয়ার বিক্রি করে তবে একরকম বিষয় হবে। সরকারের নিয়ন্ত্রণ অনেক বেশি থাকবে। আবার যদি কোন বিশেষজ্ঞ সংস্থা বেশির ভাগ শেয়ার কিনে নেয় সে ক্ষেত্রে কিন্তু তাদেরও কথা শুনতে হবে। বিদেশে কোনো ইন্সুরেন্স সরকারি নয়। দেখুন যে ব্যাংকগুলো বেসরকারি সংস্থা চালাচ্ছে সেগুলোর নন পেরফর্মিং অ্যাসেটস অনেক কম। অর্থাৎ সরকারি ব্যাংকের থেকে বেসরকারি ব্যাংকগুলো এক্ষেত্রে অনেক বেশি ভালো কাজ করছে।"


Conclusion:ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরাসরি সরকারের সুরক্ষা কবজ অনেকটাই কম। সেখানে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার দায়বদ্ধতাই নেয় সরকার। কিন্তু ইন্সুরেন্সের ক্ষেত্রে পুরোটাই নিতে হবে সরকারকে। সরকার এই বিষয়ে হাত তুলে নেবে কিনা সেটা আদালতের বিচার্য বিষয় হবে নিশ্চয়ই। অর্থনীতিবিদের মতে, এই বাজেট পর্যন্ত যা হয়েছে তাতে আমানত সুরক্ষিত থাকবে। গ্রাহকের এই বিষয়টিতে আশঙ্কার কারণ নেই। সুমন বাবুর দাবি, “ একে সব থেকে বেশি রাগ হবে এলআইসি কর্মীদের। আর সেই কারণেই তারা সব থেকে বেশি ক্ষুব্ধ এবং বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কারণ তাদের সরকারি মনোভাব ছেড়ে বেরিয়ে এসে এবার কাজ করতে হবে।"
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.